রবিবার, ১১ অক্টোবর ২০২০
প্রথম পাতা » পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীনের সহযোগিতা চাই-বাংলাদেশ!
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীনের সহযোগিতা চাই-বাংলাদেশ!
বিবিসি২৪নিউজ,কুটনৈতিক প্রতিবেদক,ঢাকাঃ মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া এখনো শুরু না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। আজ (রোববার) ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। সাক্ষাৎকালে ড. আবদুল মোমেন রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে চীনের সহযোগিতা কামনা করেন বলে উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে। সে সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হলে তারা এ এলাকার নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠবে। কিছু রোহিঙ্গা মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি দুদল রোহিঙ্গার সংঘর্ষে আটজন মারা গেছে। তাছাড়া কাটা তারের বেড়া না থাকায় এ সব ঘটনা উত্তরোত্তর বাড়ছে।’
প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া দেরি হওয়ায় দিনে দিনে রোহিঙ্গা এবং বিদেশি সাহায্যকারী প্রতিষ্ঠানের ওপর স্থানীয় জনগণের অসন্তুষ্টি ঘণীভূত হচ্ছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।এ ছাড়া সাক্ষাৎকালে সীমান্তে মিয়ানমারের সৈন্য সমাবেশ ঘটানোর ফলে বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয়টি পররাষ্ট্রমন্ত্রী তুলে ধরেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং আজ রোববার ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন
ড. মোমেন উল্লেখ করেন, রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সাহায্য প্রদান এবং জীবনমানের উন্নয়ন এ সমস্যা সমাধানের জন্য যথেষ্ঠ নয়। বরং তাদের প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান দরকার। চীনের রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে তাঁর সঙ্গে একমত প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পিরোজপুরে চীনের নাগরিক হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে এবং সরকার এ বিষয়ে অত্যন্ত তৎপর। এ ঘটনার প্রধান আসামিসহ দুজনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনা মহামারির কারণে আটকে পড়া চীনে অধ্যয়নরত বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রীদের ভিসা নবায়নের বিষয়ে চীন সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান ড. মোমেন। ছাত্রছাত্রীদের বিষয়ে চীন সরকার দ্রুত সিদ্ধান্ত নিবে বলে চীনের রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন। লি জিমিং বলেন, ইতোমধ্যে ব্যবসায়ী ও পারিবারিক পুনর্মিলনের ক্ষেত্রে ভিসা দেওয়া শুরু হয়েছে।
সাক্ষাৎকালে চীনের রাষ্ট্রদূত জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচিত ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বইটি চীনা ভাষায় অনুবাদ করা হচ্ছে এবং তা খুব শিগগিরই প্রকাশিত হবে। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তিনি ধন্যবাদ জানান। এ ছাড়া চীনের রাষ্ট্রদূত বাংলাদশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে লেখা সেদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র একটি চিঠি হস্তান্তর করেন। এতে হংকং চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে উল্লেখ করায় ড. মোমেনকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ধন্যবাদ জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক চীন নীতির প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।