শিরোনাম:
●   গাজায়-ইসরায়েলি বর্বরতার বিরুদ্ধে উত্তাল সারা দেশ ●   বাংলাদেশের জনগণের মহত্ত্ব ভুলব না: ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত ●   যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সতর্ক চলাচলের পরামর্শ ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের ●   ইসরায়েল দ্য রেড কার্ড’ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ ●   ফ্রান্সের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছেন ট্রাম্প, ফরাসি প্রধানমন্ত্রী ●   গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ বিশ্বজুড়ে ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচির ডাক ●   ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক বিষয় সিদ্ধান্ত স্থগিতের সম্ভাবনা নেই: বাণিজ্য উপদেষ্টা ●   দেশকে বড় রকমের সংস্কার করে নতুন ভাবে গড়তে চাই : সিএনজিকে সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা ●   চীন-রাশিয়া নয়, ইউরোপের সমস্যা তারা নিজেরাই: জেডি ভ্যান্স ●   বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক উন্নয়নে রাজনৈতিক সংলাপ হতে যাচ্ছে
ঢাকা, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫, ২৪ চৈত্র ১৪৩১
BBC24 News
শনিবার, ২৯ আগস্ট ২০২০
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম » বাংলাদেশে করোনায় সবচেয়ে ঝুঁকিতে পথশিশুরা
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম » বাংলাদেশে করোনায় সবচেয়ে ঝুঁকিতে পথশিশুরা
১১৬৬ বার পঠিত
শনিবার, ২৯ আগস্ট ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বাংলাদেশে করোনায় সবচেয়ে ঝুঁকিতে পথশিশুরা

---বিবিসি২৪নিউজ, বিশেষ প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশে করোনায় সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে পথশিশুরা৷ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বা মাস্ক ব্যবহারের সঙ্গতি তাদের নেই৷ খাদ্য ও কাজের সংকটেও আছে তারা৷
ঢাকায় পথশিশুদের মাত্র দুটি সরকারি শেল্টার হোম আছে৷ তাতে সব মিলিয়ে তিনশ’ শিশু থাকতে পারে৷ আর বেসরকারি উদ্যোগে কিছু শেল্টার হোম আছে, যেখানে পথশিশুরা রাতে থাকতে পারে৷ কোনো খাবার দেয়া হয় না৷ এর বাইরে আহসানিয়া মিশনের উদ্যোগে পঞ্চগড়ে ‘আহসানিয়া মিশন শিশু নগরী’ পথ শিশুদের জন্য সবচেয়ে বড় আশ্রয় কেন্দ্র৷ সেখানে ২৫০ জন শিশু থাকে৷ তাদের খাবার, শিক্ষা, চিকিৎসা সব কিছুই দেয়া হয় বলে জানায় আহসানিয়া মিশন৷ এটি জার্মানির কিন্ডারনটহিল্ফে’র সহায়তায় পরিচালিত হয়৷

পথশিশুদের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনবে কে?

কিন্তু সব মিলিয়ে কয়েকশ’ শিশুর জন্য কয়েকটি শেল্টার হোম থাকলেও বাংলাদেশে পথশিশু আছে ১৩ লাখ৷ ঢাকায়ই আছে সাড়ে চার লাখ৷ এই শিশুরা করোনার মধ্যেও পথেই থাকছে৷ দলবদ্ধভাবে থাকছে৷ খোলা রাস্তা, বাসস্ট্যান্ড, রেলওয়ে স্টেশন বা খোলা জায়গায় ঘুমাচ্ছে৷ কেউ করোনায় আক্রান্ত হলেও বুঝতে পারছে না৷ চিকিৎসা তো অনেক পরের কথা৷

---স্ট্রিট চিলড্রেন অ্যাক্টিভিস্টস নেটওয়ার্ক (স্ক্যান) করোনার শুরুর দিকে ৪৫২ জন পথশিশুর মধ্যে একটি জরিপ করে৷ ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বেছে নেয়া এই শিশুদের জরিপ থেকে জানা যায়, তাদের কেউই মাস্ক ব্যবহার করে না৷ তারা মনে করে, করোনা ধনীদের রোগ, এটা গরিবদের হয় না৷ করোনা সম্পর্কে অসচেতন এই শিশুরা নিয়মিত খাবারও পায় না৷ অনেকে খাবার বিতরণ করলেও পথ শিশুরা তা সবসময় পায় না৷ তাদের কাজ নেই৷ তাদের কেউ কোভিড আক্রান্ত কিনা তা-ও তারা বুঝতে পারে না৷ তারা মনে করে, সর্দি হয়েছে৷বাংলাদেশে পথশিশুদের জন্য আলাদা কোনো চিকিৎসার উদ্যোগও নেই৷ তাদের পক্ষে সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা নেয়াও ভীষণ কঠিন৷ অন্যদিকে সরকারি বা বেসরকারি কোনো পর্যায়েই পথ শিশুদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার তথ্য রাখা হয়নি৷ নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বলছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোনো পথ শিশু মারা গেছে এমন কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই।রিচালক ও স্ট্রিট চিলড্রেন অ্যাক্টিভিস্টস নেটওয়ার্ক-এর সভাপতি জাহাঙ্গীর নাকির বলেন, ‘‘আমরা সরকারের কাছে করোনার সময় এই পথশিশুদের খাদ্য, চিকিৎসা এবং আশ্রয়ের একটি প্রস্তাব দিয়েছিলাম৷ আমরা বলেছিলাম, সরকার চাইলে আমরা এটা সমন্বয় করতে পারি৷ সরকার খাদ্য দিক৷ আমরা যে শিশুদের পরিবার আছে তাদের পরিবারে ফিরিয়ে দেয়ার উদ্যোগের কথাও বলেছিলাম৷ কিন্তু সরকারের এ নিয়ে কোনো প্রজেক্ট না থাকায় সেটা করা যায়নি৷’’

তিনি বলেন, ‘‘এখন পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও এই করোনায় পথ শিশুদের, কাজ নেই, খাবার নেই, থাকার জায়গা নেই৷ তারা চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে। নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পথ শিশুদের নিয়ে আলাদা একটি প্রকল্প আছে৷ প্রকল্প পরিচালক আবুল হোসেন বলেন, ‘‘করোনায় সমস্যা হয়েছে, আমরা আমাদের শেল্টার হোমে বাইরের শিশুদের নিতে পারিনি৷ আর ভেতরের শিশুদের বাইরে যেতে দিতে পারিনি৷ তবে এখন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে বাইরের শিশুদের নেয়া শুরু হয়েছে৷ শেল্টারে থাকা শিশুদের চিকিৎসার ব্যবস্থাও আছে৷’’

তবে এই সময়ে আরো অনেক শিশু রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছে৷ যাদের বাবা-মায়ের এখন কাজ নেই, তারা ঘর থেকে খাবারের জন্য বের হচ্ছে৷ আবার যে শিশুরা আগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করত তাদেরও কাজ নেই৷ তারাও এখন পথশিশু৷ আবুল হোসেন দাবি করেন, সরকার চেষ্টা করছে, অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে যাতে কোনো শিশুই নজরের বাইরে না থাকে৷ করোনায় সময় এসব শিশুর অন্তত এক বেলা খাবার দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলেও দাবি তার৷

তিনি মনে করেন, ‘‘১০ লাখেরও বেশি পথশিশুর কথা বলা হলেও এখন তাদের সংখ্যা কমছে৷ আর স্কুল খুলে গেলে আরো কমে যাবে৷ কারণ, স্কুলে এখন খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়৷’’

এদিকে করোনায় পথশিশুদের এই খারাপ অবস্থা নিয়ে এই পর্যায়ে ভাবতে শুরু করেছে সরকার৷ নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় পথশিশুদের নিয়ে কাজ করে এরকম সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এই মাসেই একটি বৈঠক করেছে৷



আর্কাইভ

গাজায়-ইসরায়েলি বর্বরতার বিরুদ্ধে উত্তাল সারা দেশ
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সতর্ক চলাচলের পরামর্শ ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের
ইসরায়েল দ্য রেড কার্ড’ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ বিশ্বজুড়ে ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচির ডাক
ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক বিষয় সিদ্ধান্ত স্থগিতের সম্ভাবনা নেই: বাণিজ্য উপদেষ্টা
শুল্ক নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করবেন প্রধান উপদেষ্টা
ইউরোপ-আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে
পাপুয়া নিউ গিনির উপকূলে ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি
ঢাকার বায়ু আজ অস্বাস্থ্যকর
ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলা-গাজায় প্রতিদিন ১০০ শিশু হতাহতের শিকার- জাতিসংঘ