বৃহস্পতিবার, ২০ আগস্ট ২০২০
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবে অন্তত ৪৫ শরণার্থী নিহত
ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবে অন্তত ৪৫ শরণার্থী নিহত
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর বুধবার জানিয়েছে, লিবিয়া থেকে অবৈধভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার সময় চলতি বছরের সবচেয়ে ভয়াবহ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে পাঁচ শিশুসহ অন্তত ৪৫ জন অভিবাসী এবং শরণার্থী প্রাণ হারিয়েছেন।
ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, ৮০ জনেরও বেশি যাত্রী নিয়ে যাওয়ার সময় ছোট ওই নৌযানটির ইঞ্জিন বিষ্ফোরিত হলে তা ডুবে যায়। এতে অন্তত ৪৫ জন প্রাণ হারান। স্থানীয় জেলে ও মৎসজীবীরা ৩৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন। এখনও বেশ কয়েকজন নিখোঁজ।
ভয়াবহ ও প্রাণঘাতী ওই দুর্ঘটনার পর বুধবার যৌথ বিবৃতিতে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা (আইওএম) এমন তথ্য দিয়ে উদ্ধার অভিযান জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছে। সংস্থা দুটি বলছে ব্যাপক উদ্ধার অভিযান ছাড়া ভূমধ্যসাগরে আরও অনেকের প্রাণহানি ঘটবে।
ওই যৌথ বিবৃতিতে জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা দুটি জানিয়েছে সোমবারের ভয়াবহ ওই নৌকাডুবির যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের বেশিরভাগই আফ্রিকার দেশে সেনেগাল, মালি, শাদ এবং ঘানার বাসিন্দা।
লিবিয়া থেকে ইউরোপ যাওয়ার সময় চলতি বছর ভূমধ্যসাগরে তিন শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ২০১৪ সালে আইওএম হিসাব রাখার শুরুর পর গত কয়েক বছরে এই সংখ্যা ২০ হাজারের বেশি। তবে এই তথ্যের চেয়ে প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যাটা আরও অনেক বেশি।
২০১১ সালে সাবেক স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফি ক্ষমতা থেকে উৎখাত হওয়ার পর অভিবাসীদের জন্য একটি প্রধান ট্রানজিট পয়েন্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে লিবিয়া।
লিবিয়ায় অভিবাসীদের সাংঘাতিক ভীতিকর আচরণ করা হচ্ছে বলে খবর পাওয়া যায়, বিশেষত যদি তারা মিলিশিয়া কিংবা পাচারকারীর হাতে পড়েন, তাহলে নির্যাতন করা ছাড়াও সাথে থাকা অর্থ নিয়ে নেওয়া হয়।