মঙ্গলবার, ১৮ আগস্ট ২০২০
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » করোনা বাংলাদেশে ১৭ ভাগ মানুষের কাজ নেই,ঢাকা ছেড়েছে অনেক !
করোনা বাংলাদেশে ১৭ ভাগ মানুষের কাজ নেই,ঢাকা ছেড়েছে অনেক !
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা : বাংলাদেশে করোনা সব হিসেব নিকেশ পাল্টে মঙ্গলবার এক মাসের মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক শনাক্ত হয়েছেন। পরিস্থিতি ফের জটিল হচ্ছে। মঙ্গলবারের চিত্র দেখে বিশেষজ্ঞরা এমনটাই ধারণা করছেন। শনাক্তের তালিকায় তিন হাজার ছাড়িয়ে আরও দুইশো যোগ হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪৬ জনের।বিশেষজ্ঞরা আগেই সতর্ক করেছিলেন,ঈদ পরবর্তী পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে।স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রেস রিলিজ থেকে জানা যায়, ৯১টি ল্যাবে ১৪ হাজার ৬৩০টি নমুনা পরীক্ষার পর শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ২০০ জন। সবমিলিয়ে দুই লাখ ৮২ হাজার ৩৪৪ জন শনাক্ত হয়েছেন।
করোনায় মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি আজিজুর রহমান মারা গেছেন।ওদিকে এক গবেষণায় করোনা পরবর্তী বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। গবেষণায় বলা হয়েছে অর্থনীতিকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে করোনা। পিপিআরসি ও বিআইজিডির যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত এই সমীক্ষা বলছে, কাজ না থাকায় প্রায় ১৬ ভাগ মানুষ ঢাকা ছেড়ে চলে গেছেন। চট্টগ্রাম ছেড়েছেন আট ভাগ মানুষ। সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়, এই মহামারিতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, দক্ষ, অদক্ষ শ্রমিক কাজ হারিয়েছে সবচেয়ে বেশি।
নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে নারীদের ওপর। জুন মাসেও অর্ধেকেরও বেশি নারী গৃহকর্মী কোন কাজ খুঁজে পাননি। গবেষণায় দেখা যায় মহামারি শুরুর এক মাস পর এপ্রিল মাসে গ্রামের ৫০ ভাগ এবং বস্তি এলাকায় মাত্র ৩২ ভাগ পরিবার কোনরকম আয়মূলক কাজে জড়িত ছিল। করোনার আগে প্রায় সবাই তিন বেলা খেতে পারতো। কিন্তু জুন নাগাদ বস্তি এলাকার ১১ ভাগ ও গ্রামে ছয় ভাগ পরিবার তিনবেলা খেতে পারছে না। ঢাকায় এই হার ১৫ ভাগ। গবেষণাকারীরা এটাকে গোপন ক্ষুধা বলে বর্ণনা করেছেন। গবেষণায় বলা হয়, করোনা বাংলাদেশে এক নতুন দরিদ্র শ্রেণি তৈরি করেছে। এই নতুন দরিদ্রের হিসাবে ধরলে বর্তমানে বাংলাদেশ দারিদ্র্যের হার ৪২ শতাংশ।
পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, লোকজন কাজ করার চেষ্টা করবে কিন্তু তার জন্য তাকে একটা পরিবেশ পেতে হবে। যেখানে সে সাহস পাবে। আত্মবিশ্বাস তৈরির জন্য নতুন ন্যাশনাল মুড প্রয়োজন এই মন্তব্যও করেন তিনি।