মঙ্গলবার, ৪ আগস্ট ২০২০
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | ইউরোপ | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » দুর্নীতির দায়ে দেশ ছাড়লেন স্পেনের সাবেক রাজা
দুর্নীতির দায়ে দেশ ছাড়লেন স্পেনের সাবেক রাজা
বিবিসি২৪নিউজ,জহিরুল হক,ইউরোপ-স্পেন থেকে: স্পেনের সাবেক রাজা হুয়ান কার্লোসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির একটি অভিযোগের তদন্ত শুরু হওয়ায় দেশ ত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। স্পেনের রাজপ্রাসাদ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
৮২ বছর বয়সী মি. কার্লোস দেশ ছেড়ে যাবার সিদ্ধান্তটি এক চিঠির মাধ্যমে তার ছেলে ফিলিপেকে জানিয়েছেন। ছয় বছর আগে ছেলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন মি. কার্লোস।
তবে সাবেক এই রাজা জানিয়েছেন, তদন্তের জন্য যদি তার সাথে কথা বলার প্রয়োজন হয় তাহলে তার সাথে যোগাযোগ করা যাবে।
সৌদি আরবে একটি দ্রুত গতির রেল প্রকল্প নির্মাণের চুক্তিতে হুয়ান কার্লোস-এর বিরুদ্ধে জন্য জুন মাসে দুর্নীতি অভিযোগ তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল স্পেনের সুপ্রিম কোর্ট।
সাবেক এই রাজা এখন কোথায় বসবাস করবেন সেটি এখনো পরিষ্কার নয়। তবে স্পেনের কিছু সংবাদ মাধ্যম রিপোর্ট করেছে যে মি. কার্লোস এখন দেশে নেই।
দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে এভাবে দেশ ছেড়ে যাওয়া একজন সাবেক রাজার জন্য খুবই অপমানজনক।
১৯৭৫ সালে স্পেনের স্বৈরশাসক জেনারেল ফ্রাঙ্কোর মৃত্যুর পর দেশটিকে গণতন্ত্রের পথে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে হুয়ান কার্লোস বেশ দক্ষতার সাথে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
রাজ সিংহাসনে ৪০ বছর থাকার পর ২০১৪ সালে তিনি ছেলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
হুয়ান কার্লোস এবং তার ছেলে ফিলিপে।
এর আগে তার জামাতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত শুরু হয়েছিল। এছাড়া স্পেনের আর্থিক মন্দার সময় রাজ পরিবার হাতি শিকারের জন্য ভ্রমণে গিয়ে তীব্র বিতর্কের মুখে পড়েছিল।
ছেলের কাছে চিঠিতে সাবেক এই রাজা লিখেছেন, ” স্পেনের জনগণ, প্রতিষ্ঠান এবং রাজা হিসেবে তুমি যাতে ভালো কাজ করতে পারো সেজন্য আমি এখন দেশ ছেড়ে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
দুর্নীতির অভিযোগ কী?
সৌদি আরবের মক্কা-মদিনা রেল প্রকল্পের জন্য ৬০০ কোটি ডলারের কাজ পায় স্পেনের একটি কোম্পানি। ২০১৪ সালে ক্ষমতা হস্তান্তরের পর সৌদি প্রকল্পের সাথে হুয়ান কার্লোসের দুনীতির সংশ্লিষ্টতা প্রমাণের উদ্যোগ নেয় দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
কারণ, তিনি যতক্ষণ পর্যন্ত রাজা ছিলেন, ততক্ষণ পর্যন্ত তার দায়মুক্তি ছিল। এই তদন্ত সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতেও গড়িয়েছে।
স্পেনের দুর্নীতি-বিরোধী কর্মকর্তারা সন্দেহ করেন, সাবেক এই রাজার কিছু অঘোষিত অর্থ সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে গচ্ছিত রয়েছে। স্পেনের সরকার বলেছে, ‘বিচার সবার জন্য সমান’ এবং তদন্তে সরকার কোন ‘হস্তক্ষেপ’ করবে না।