বুধবার, ৮ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » কোডিভ-১৯ এর প্রাদুর্ভাবে অর্থনৈতিক বিপর্যয় ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়বে
কোডিভ-১৯ এর প্রাদুর্ভাবে অর্থনৈতিক বিপর্যয় ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়বে
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা: কোডিভ-১৯ এর প্রাদুর্ভাবে সারাবিশ্ব স্থবির হয়ে পড়েছে। বিশ্ব অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। করোনা পরিস্থিতি দীর্ঘ হলে লকডাউনের কারণে কর্মহীনতা ও দরিদ্রতা লাগামহীন হারে বেড়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর সঙ্গে আরো নানান কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।করোনা মহামারিজনিত ক্ষয়ক্ষতি ও অর্থনৈতিক বিপর্যয়- এই দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে সমন্বিত জনস্বাস্থ্য প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কৌশল নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
বুধবার (৮ জুলাই) জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা জানান। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে এর প্রভাব দিন দিন বাড়ছে। বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে অনেকগুলো প্রতিরোধ/প্রতিকারমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে এবং দ্রুততম সময়ে সঠিক কৌশল অনুসরণ করায় এ পর্যন্ত এ দুর্যোগ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে।
‘কোভিড-১৯ এর কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবিলা ও স্বাস্থ্যখাতের সুরক্ষায় সরকার ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। করোনা ভাইরাস মহামারিতে উন্নত দেশগুলোই এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত এই ভাইরাস মোকাবিলায় কোনো কার্যকর টিকা বা চিকিৎসা আবিষ্কৃত হয়নি। ’
তিনি বলেন, করোনা বিস্তাররোধে লকডাউন কার্যকর কৌশল হলেও এই পরিস্থিতি দীর্ঘকাল অব্যাহত থাকলে কর্মসংস্থান, অর্থনীতি, মানসিক স্বাস্থ্য এবং সামাজিক শৃঙ্খলার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। বাংলাদেশের জনসংখ্যার একটি বিশাল অংশ দৈনিক মজুরির ওপর নির্ভরশীল। এই পরিস্থিতিতে কর্মহীনতা ও দরিদ্রতা লাগামহীন হারে বেড়ে অন্য কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে।
আওয়ামী লীগের সদস্য আলী আজমের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে দৃষ্ট দুর্যোগে আমরা বিস্তৃত পরিসরে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রেখেছি। এ পর্যন্ত সারা দেশে দুই কোটি ৩৫ লাখ ৫৩ হাজার ৫৫টি পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক জণগোষ্ঠীর সুরক্ষায় দুই লাখ ১১ হাজার ১৬৭ মেট্রিক টন চাল এবং নগদ ২৫ কোটি ৮৬ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এতে উপকারভোগী জনসংখ্যা ১০ কোটি ৪৩ লাখ ৬৫ হাজার ৮০০ জন মানুষ। শিশুখাদ্য বিতরণে ২৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। উপকারভোগী শিশুর সংখ্যা ১৪ লাখ ২৭ হাজার ৭৮ জন।
আওয়ামী লীগের আরেক সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা বলেন, করোনার কারণে বিভন্ন দেশে কর্মহীন হয়ে পড়া বাংলাদেশি কর্মীরা যেন করোনা পরবর্তী সময়ে পুনরায় কর্মে নিয়োগ পেতে পারে সেজন্য সরকার কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে (১২ জুন পর্যন্ত) ১৪ হাজার ৯৫৭ জন প্রবাসী শ্রমিক দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।