বুধবার, ১ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » জেলার খবর | পরিবেশ ও জলবায়ু | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » উম্মুক্ত হলো সমুদ্রকন্যা কুয়াকাটা সৈকত
উম্মুক্ত হলো সমুদ্রকন্যা কুয়াকাটা সৈকত
বিবিসি২৪নিউজ, জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী :উম্মুক্ত হলো সূর্যদয়-সূর্যাস্তের বেলাভূমি সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা। টানা ১০০ দিন লকডাউন কাটিয়ে আজ থেকে করোনা সুরক্ষা মেনেই বুধবার (১ জুলাই) থেকে খুলেছে হোটেল মোটেল। ফলে সচল হবে অর্থনীতির চাকা। আর লোকসানের বেড়াজাল থেকে মুক্তি পাবেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, ১৮ মার্চ সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায় পর্যটকদের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে জেলা প্রশাসন। ওই সময় কুয়াকাটায় আটকা পড়া পর্যটকরা দ্রুত যার যার গন্তব্যে চলে যান। এরপরই বন্ধ হয়ে যায় কুয়াকাটার পর্যটনকেন্দ্রিক সকল ব্যবসা-বাণিজ্য।
গত বৃহস্পতিবার কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন জেলা প্রশাসনের কাছে পর্যটন নির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করার অনুমতি চাইলে জেলা প্রশাসন ১ জুলাই থেকে চালু রাখার অনুমতি দেয়।
এর আগে ৫, ৬ ও ৯ জুন কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের আয়োজনে হোটেল-মোটেল ব্যবস্থাপনা এবং পর্যটকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য কর্মীদের ৩ দিনের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
‘হোটেল রিয়াজ’র পরিচালক রিয়াজ আহমেদ বলেন, করোনা থাকবে দীর্ঘদিন। এরমধ্যে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ব্যবসা করতে হবে। যেমন একজন পর্যটক গাড়িসহ হোটেলে আগমন করলে হোটেলকর্মীরা তার গাড়িসহ মালামাল জীবাণুনাশক দিয়ে স্প্রে করবেন। এর পর পর্যটক নির্ধারিত কক্ষে যাওয়ার আগে হাত-পা ধুয়ে যাবেন। স্বাস্থ্যবিধি অনুসারে হোটেলের প্রতিটি কক্ষ ব্যবহার উপযোগী করা থাকবে।
কুয়াকাটা আবাসিক হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১৪টি শর্ত সাপেক্ষে ১ জুলাই থেকে আবাসিক হোটেল মোটেল, রেস্তোরাঁ খোলার নির্দেশ দিয়েছেন। আবাসিক হোটেল মালিকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটক রাখছে কিনা জেলা প্রশাসন ও হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে তা পর্যবেক্ষণ করবে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, স্বাস্থ্যবিধি না মানলে হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।