শুক্রবার, ২৬ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | শিরোনাম | সাবলিড » আমেরিকায় বাস্তবের চেয়ে ১০ গুণ বেশি করোনা রোগী : সিডিসি
আমেরিকায় বাস্তবের চেয়ে ১০ গুণ বেশি করোনা রোগী : সিডিসি
বিবিসি২৪নিউজ,খান শওকত,আমেরিকায় থেকে : সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) জানিয়েছে, আমেরিকায় সরকারি হিসাবে যে পরিমাণ মানুষ করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন, বাস্তবে তারচেয়ে ১০ গুণ বেশি আক্রান্ত হতে পারে।
সিডিসির পরিচালক ড. রবার্ট রেডফিল্ড শুক্রবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, “এই মুহূর্তে আমাদের অনুমান, একজন রোগী শনাক্ত হয়ে থাকলে আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা আসলে ১০ জন।” এ হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ইতোমধ্যে দুই কোটি ৪০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে বলে মনে করছেন দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
ড. রবার্ট রেডফিল্ড বলেন, যাদের করোনার লক্ষণ আছে তাদের পরীক্ষায় বিধিনিষেধ আছে। আবার যাদের লক্ষণ দেখা দেয়নি তাদের তো পরীক্ষাই করা হচ্ছে না। এ কারণেই প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
এ মার্কিন ভাইরোলজিস্ট বলেন, “মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে আমরা যে পদ্ধতিতে রোগ শনাক্তের চেষ্টা করেছি, তাতে সম্ভবত মাত্র ১০ শতাংশ রোগীকে চিহ্নিত করতে পেরেছি আমরা।”
তিনি আরো বলেন, জনগণের শতকরা ৫ থেকে ৮ ভাগের ক্ষেত্রে এই ভাইরাস দৃশ্যমান হয়েছে। তাই তিনি সামাজিক দূরত্ব রক্ষা, মুখে মাস্ক ব্যবহার এবং হাত ধোয়ার জন্য মার্কিনিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, আমেরিকায় ইতোমধ্যে ২৪ লাখ ২২ হাজার ৩১০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। দেশটিতে মারা গেছেন এক লাখ ২৪ হাজার ৪১৬ জন।
এদিকে, ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটন পূর্বাভাস দিয়েছে যে, অক্টোবর নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসে মারা যেতে পারেন এক লাখ ৮০ হাজার মানুষ। তবে মার্কিনিদের যদি শতকরা ৯৫ ভাগ মাস্ক পরেন তাহলে এই সংখ্যা কমে এক লাখ ৪৬ হাজার হতে পারে।
এদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ইউরোপে গত কয়েক মাসের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো কোভিড-১৯ আক্রান্তের সাপ্তাহিক সংখ্যা বেড়ে গেছে।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক ড. হ্যান্স হেনরি ক্লুগে বলছেন, ইউরোপের ১১টি দেশে সংক্রমণ এমনভাবে বেড়ে গেছে যে ‘অত্যন্ত উল্লেখযোগ্যভাবে’ রোগের পুনরুত্থান দেখা যাচ্ছে। দেশগুলো হচ্ছে- সুইডেন, ইউক্রেন, আলবেনিয়া, আরমেনিয়া, আজারবাইজান, বসনিয়া-হারজেগোভিনা, কাজাখস্তান, কসোভো, কিরগিজস্তান, নর্থ ম্যাসিডোনিয়া ও মলদোভা।