শিরোনাম:
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১
BBC24 News
বুধবার, ৩ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » আমেরিকা | শিরোনাম | সাবলিড » ট্রাম্পের হুমকি -কার্ফু সত্ত্বেও অ্যামেরিকা জুড়ে বর্ণবাদ বিক্ষোভ-সহিংসতায় নিহত ১১
প্রথম পাতা » আমেরিকা | শিরোনাম | সাবলিড » ট্রাম্পের হুমকি -কার্ফু সত্ত্বেও অ্যামেরিকা জুড়ে বর্ণবাদ বিক্ষোভ-সহিংসতায় নিহত ১১
৮৭৮ বার পঠিত
বুধবার, ৩ জুন ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ট্রাম্পের হুমকি -কার্ফু সত্ত্বেও অ্যামেরিকা জুড়ে বর্ণবাদ বিক্ষোভ-সহিংসতায় নিহত ১১

---বিবিসি২৪নিউজ,খান শওকত,যুক্তরাষ্ট্র থেকে: অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সেনা নামানোর হুমকি, রাস্তায় প্রচুর পুলিশ ও ন্যাশনাল গার্ডের জওয়ান, রাতে কার্ফু সত্ত্বেও অ্যামেরিকা জুড়ে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে।ডনাল্ড ট্রাম্পের হুমকিকে আমল দিলেন না বিক্ষোভকারীরা। মঙ্গলবার রাতেও অ্যামেরিকা জুড়ে বিক্ষোভ হলো।শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তার হাতে কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিন নাগরিক জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সব শহরে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভে সহিংসতায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন।বিক্ষোভে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে শিকাগো, ডেট্রয়েট, ওমাহা, ডেভেনপোর্ট, ওকল্যান্ড, ল্যুইভিলের বাসিন্দা রয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই আফ্রিকান আমেরিকান।

ওকল্যান্ডে ফেডারেল প্রোটেকটিভ সার্ভিস অফিসার ৫৩ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ ডেভ প্যাট্রিক আন্ডারউড গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। এসময় আরেকজন অফিসার গুরুতর আহত হন।

ওমাহায় ২২ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ জেমস স্কারলক নিহত হয়েছেন। তিনি ও তার দল একজন শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তিকে মারধর করছিলেন। এসময় ওই ব্যক্তি স্কারলককে লক্ষ্য করে গুলি করলে তার মৃত্যু হয়।

এছাড়া, বিক্ষোভে সহিংসতায় যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকশ’ মানুষ আহত হলেও তাদের সঠিক সংখ্যা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সংবাদমাধ্যম এপির তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েকদিনের বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৪ হাজার ৪শ’ মানুষকে আটক করা হয়। তাদের বেশিরভাগই লুট, কারফিউ ভঙ্গ এবং সড়কে ব্যারিকেড দেওয়ার অপরাধে আটক হয়েছেন। বিক্ষোভ দমনে ওয়াশিংটন, লস এঞ্জেলেস, নিউইয়র্কসহ ৪০টিরও বেশি শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে।

সোমবার (২৫ মে) মিনিয়াপোলিসে শ্বেতাঙ্গ এক পুলিশ কর্মকর্তার হাতে ৪৬ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মিনিয়াপোলিসসহ যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি শহরে পুলিশি সহিংসতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়।

ভিডিওতে দেখা গেছে, পুলিশের এক কর্মকর্তা ফ্লয়েডের ঘাড়ের ওপর হাঁটু দিয়ে তাকে মাটিতে চেপে ধরে রেখেছেন। এসময় ফ্লয়েড বলেছেন, ‘প্লিজ, আমি শ্বাস নিতে পারছি না’, ‘আমাকে মারবেন না।’

ফ্লয়েডের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি ২০ ডলারের একটি জালনোট ব্যবহার করেছিলেন। তাকে গ্রেফতার করে পুলিশের গাড়িতে নেওয়ার আগে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের দাবি, হাতকড়া পরাতে বাধা দিচ্ছিলেন তিনি।

তবে পুলিশের সঙ্গে ফ্লয়েড কীভাবে সংঘর্ষে জড়ালেন তা ভিডিওতে দেখা যায়নি।

এ ঘটনায় নিরস্ত্র ফ্লয়েডের ঘাড়ের ওপর হাঁটু রাখা ৪৪ বছর বয়সী পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক শভিনসহ চারজন পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ফ্লয়েডকে হত্যার অভিযোগে ডেরেক শভিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

হোয়াইট হাউসের সামনেও দীর্ঘক্ষণ ধরে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। তবে গত কয়েকদিনের তুলনায় মঙ্গলবার রাতের বিক্ষোভের ফারাক হলো, বিক্ষোভকারীরা হিংসা ও লুঠতরাজ বন্ধ করার দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছিলেন। নিরাপত্তা বাহিনীর বাড়াবাড়িও কম হয়েছে।

বর্ণবিদ্বেষী পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর এই বিক্ষোভের ফলে ট্রাম্প আরও চাপে পড়েছেন। বিক্ষোভের মধ্যে তিনি যে ভাবে চার্চে গিয়ে ফটো অপ করেছেন, তার প্রতিবাদে শুধু অ্যামেরিকা নয়, বিভিন্ন দেশে প্রতিবাদীরা সোচ্চার হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে কার্ফু অগ্রাহ্য করে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী হোয়াইট হাউসের সামনে জড়ো হয়েছিলেন। তাঁরা দীর্ঘক্ষণ প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।ডিডাব্লিউর প্রতিনিধি আলেকজান্দ্রা ফন নামেন ছিলেন হোয়াইট হাউসের সামনে। তিনি জানাচ্ছেন, ”রাতের কার্ফু শুরু হয়ে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও প্রচুর বিক্ষোভকারী এখানে আছেন। তাঁরা গর্জন করে বলছেন, ‘আমরা কী চাই? শান্তি। কখন চাই? এখনই।’ বেশ কিছু বিক্ষোভকারীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাঁরা বলছেন, ট্রাম্প আমাদের ভয় দেখাতে চাইছেন। উস্কানি দিচ্ছেন।”

এই বিক্ষোভে রাজনীতিকরাও যোগ দিচ্ছেন। ডেমোক্র্যাট পার্টির আইনজীবী অ্যান্ড্রু উইনস্টাইন জানিয়েছেন, সেনেটর এবং প্রেসিডেন্টের পদে প্রাক্তন প্রার্থী এলিজাবেথ ওয়ারেন বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন।

ট্রাম্পের কড়া সমালোচনা করেছেন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। তিনি বলেছেন, ”ট্রাম্পের উচিত আগের প্রেসিডেন্টের মতো এই ক্ষোভ দূর করার জন্য কাজ করা। তা না করে তিনি বিক্ষোভের আগুন আরও উসকে দিচ্ছেন।” ট্রাম্পের নিজের দল রিপাবলিকান পার্টির সেনেটর মিটচ ম্যাকনেলও বলেছেন, ”আমি এই বিক্ষোভের কারণ বুঝতে পারি। এটা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই যে, অ্যামেরিকায় এখনও বর্ণবিদ্বেষ কিছুটা রয়ে গিয়েছে।” এই বিক্ষোভ, সমালোচনা সত্ত্বেও ট্রাম্প তাঁর আগের মনোভাব থেকে সরে আসেননি।অন্যদিকে জর্জ ফ্লয়েডের ছয় বছরের মেয়েকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে এসেছিলেন তাঁর মা রক্সি ওয়াশিংটন। তিনি বলেছেন, ”আমি চাই, সবাই জানুক ওই পুলিশ অফিসাররা কী ছিনিয়ে নিয়েছে। তাঁরা তো দিনের শেষে তাঁদের পরিবারের কাছে ফিরে যান। জর্জ পারে না। আমি আমার বাচ্চার জন্য এখানে এসেছি। জর্জের জন্য এখানে এসেছি। আমি চাই জর্জ ন্যায় পাক। যে যাই বলুক, আমি জানি, সে ভালো মানুষ ছিলো।’

---মঙ্গলবার রাতে অ্যামেরিকা জুড়ে বিক্ষোভ হয়েছে। নিউ ইয়র্কে বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে বলেছে, ”আমাদের সামনে হাঁটু মুড়ে বস।” পুলিশ অবশ্য তাদের জায়গাতেই দাঁড়িয়ে ছিলো। ওয়াশিংটন ও নিউ ইয়র্কে বিক্ষোভকারীরা সমানে গেয়েছেন, ‘উই শ্যাল ওভারকাম’। লস এঞ্জেলসের পুলিশ প্রধান বলেছেন, এখনও পর্যন্ত দুই হাজার ৭০০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বিক্ষোভ অন্য দেশেও ছড়াচ্ছে। বার্লিন ও লন্ডনে আগে থেকেই প্রতিবাদ চলছে। তার সঙ্গে যোগ দিয়েছে প্যারিস। সেখানে হাজার কয়েক বিক্ষোভকারী পথে নেমেছিলেন। তাঁদের হঠাতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে। দুনিয়া জুড়ে একটাই রব উঠছে, অ্যামেরিকায় বর্ণবিদ্বেষ শেষ হোক। শাস্তি পাক বর্ণবিদ্বেষী পুলিশ, যাঁরা জর্জকে খুন করেছে।

জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ড ঘিরে অ্যামেরিকা বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে৷ ইউরোপে কেমন আছে কৃষ্ণাঙ্গরা৷ অ্যামেরিকা থেকে ভালো, নাকি এখানেও তাদের বর্ণবাদের শিকার হতে হচ্ছে৷

কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার প্রতিবাদে অ্যামেরিকাজুড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে৷ সোমবার হোয়াইট হাউজের সামনে প্রতিবাদকারীদের অবস্থানের মধ্যেই চার্চে গিয়েছিলেন ডনাল্ড ট্রাম্প৷ হোয়াইট হাউজের সামনে পহেলা জুনের বিক্ষোভের ছবি থাকছে ছবিঘরে৷

অ্যামেরিকায় বিক্ষোভ থামাতে চরম পন্থাই নিতে চান প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। অন্যদিকে অটোপ্সি রিপোর্ট বলছে, কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।



আর্কাইভ

ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক স্বাভাবিক দিকে অগ্রসর হচ্ছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
নতুন আইজিপি বাহারুল ও ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত
পারমাণবিক আশ্রয়কেন্দ্র বানাচ্ছে রাশিয়া!
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ
ইলন মাস্কের রকেট উৎক্ষেপণ দেখতে হাজির ট্রাম্প
লেবাননে নিহত দুই শতাধিক শিশু: ইউনিসেফ
মার্তিনেজের ধাঁধানো গোলে জিতল আর্জেন্টিনা
পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের পরিধি বাড়ালেন পুতিন
বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ সফল হয়নি: হাসনাত
যুক্তরাষ্ট্র-ফিলিপাইন সামরিক গোয়েন্দা তথ্য চুক্তি স্বাক্ষর