শনিবার, ৩০ মে ২০২০
প্রথম পাতা » আমেরিকা | আর্ন্তজাতিক | শিরোনাম | সাবলিড » যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে-সহিংসতা অব্যাহত !
যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে-সহিংসতা অব্যাহত !
বিবিসি২৪নিউজ,খান শওকত, যুক্তরাষ্ট্র থেকে: যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে জর্জ ফ্লয়েড নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির ওপরে পুলিশি নির্যাতন ও তার মৃত্যুকে ঘিরে বিক্ষোভ ও অগ্নি সংযোগ অব্যাহত রয়েছে Iআটলান্টাতে CNN সেন্টারে বিক্ষোভকারীদের হামলা, অগ্নিসংযোগ কারফিউ উপেক্ষা করে সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পরিস্থিতিকে শান্ত করার উদ্যোগ না নিয়ে, বরঞ্চ টুইটারের মারফত উস্কানির পথ বেছে নিয়েছেন I তিনি বিক্ষোভকারীদের “Thugs ” বলে অবিহিত করেন I তিনি বলেন, লুটতরাজ করা হলে গুলি চালানো হবে I এর আগে বৃহষ্পতিবার টুইটার মারফত জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন I ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বহুবার বর্ণবাদী ঘটনায় সম্পৃক্ত হয়েছেন I
ওদিকে প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, নাম নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে উস্কানি ছড়িয়ে দেবার জন্য দোষারোপ করেন I তিনি বলেন অবাস্তব টুইটার করার সময় এটা নয়, এটা সত্যিকার নের্তৃত্ব দেবার সময় I যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপলিসে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে I
যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপলিস শহরে জর্জ ফ্লয়েড নামের কৃষ্ণাঙ্গ এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত সেই পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, শুক্রবার দেশটির ওই অঙ্গরাজ্যের কর্মকর্তারা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
২৫ মে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর মিনিয়াপলিসে পুলিশ জর্জ ফ্লয়েড নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করলে এই বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণ করা ১০ মিনিটের ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, হাঁটু দিয়ে এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির গলা চেপে ধরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ সদস্য। নিহত ব্যক্তি নিরস্ত্র ছিলেন। নিঃশ্বাস নিতে না পেরে তাকে কাতরাতে দেখা যায়। কৃষ্ণাঙ্গদের দাবি, বর্ণবিদ্বেষের বলি হয়েছেন জর্জ ফ্লয়েড।
শুক্রবার মিনেসোটার ডিপার্টমেন্ট অফ পাবলিক সেফটির কমিশনার জন হ্যারিংটন বলেন, এক ভিডিওতে দেখা গেছে পুলিশ কর্মকর্তা ডারেক চাউভিন সোমবার হ্যান্ডকাপ লাগা অবস্থায় ফ্লয়েডের ঘাড়ে হাঁটু দিয়ে কমপক্ষে পাঁচ মিনিট চেপে ধরে থাকেন। তিনি জানান, এরইমধ্যে ডারেক চাউভিন নামে পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে।
জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে দেশটির বিভিন্ন রাজ্য এখন উত্তাল। ওই কৃষ্ণাঙ্গকে পুলিশ যে অত্যাচার করেছে তা পথচারীরা মোবাইল ফোনে রেকর্ড করেন। সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে জনগণ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা ফ্লয়েডের নামে শ্লোগান দিচ্ছে এবং বলছে ‘আমি শ্বাস নিতে পারছি না’।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মিনিয়াপলিসের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশেষ বাহিনী মার্কিন ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।