শিরোনাম:
ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩১
BBC24 News
সোমবার, ৬ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » সম্পাদকীয় » করোনা ঝুঁকিতে কেন, “বিজিএমইএ” খোলা ও বন্ধের খেলা ?
প্রথম পাতা » সম্পাদকীয় » করোনা ঝুঁকিতে কেন, “বিজিএমইএ” খোলা ও বন্ধের খেলা ?
১৬৩৩ বার পঠিত
সোমবার, ৬ এপ্রিল ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

করোনা ঝুঁকিতে কেন, “বিজিএমইএ” খোলা ও বন্ধের খেলা ?

---বিবিসি২৪নিউজ,আশরাফ আলী: সরকার ৪ এপ্রিল নতুন করে ছুটির মেয়াদ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধের পূর্বনির্ধারিত তারিখ আসার আগেই কিন্তু সেদিকে কর্ণপাত না করে কোনো সিদ্ধান্ত না দিয়ে বসে থাকে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

দরিদ্র গার্মেন্ট শ্রমিকরা চাকরি বাঁচাতে কাজে যোগদানের জন্য ফেরি, ট্রাক, পিকআপ ভ্যান ইত্যাদিতে গাদাগাদি করে, এমনকি দলবদ্ধ হয়ে হেঁটে ঢাকা অভিমুখে রওনা করার পরও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি।

শেষ পর্যন্ত শনিবার রাতে বিজিএমইএ তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকদের ১১ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা বন্ধের অনুরোধ করে। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। হাজার হাজার শ্রমিক গাদাগাদি করে ফেরি, ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানে ওঠার কারণে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার যে স্বাস্থ্যগত নির্দেশনা, সেটি রক্ষিত হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে অনেকের মধ্যে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা তো বটেই, খোদ একজন মন্ত্রী পর্যন্ত বলেছেন, গাদাগাদি করে এভাবে শ্রমিকদের ঢাকায় আসতে দেয়ার মধ্য দিয়ে বড় ঝুঁকিতে পড়ে গেছি আমরা। কেন এমন পরিস্থিতি তৈরি হল?

এ প্রশ্নের অনেক জবাব হয়তো আছে; কিন্তু সবচেয়ে বড় জবাব হল আমরা সব ক্ষেত্রে সমন্বয়হীন একটি জাতি। যে কোনো কিছু একেবারে শেষ পর্যায়ে না গেলে আমরা প্রস্তুতি নিতে পারি না। সবই করা হয়; কিন্তু পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার পর। ভালো থাকতে কখনই নয়। অনেকটা ‘গাধায় পানি ঘোলা করে খায়’ প্রবাদের মতো। আশার কথা, শেষ পর্যন্ত গার্মেন্ট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এবং শ্রমিকদের ফিরে যেতে বলা হয়েছে। যদিও হাজার হাজার শ্রমিকের গাদাগাদি করে দীর্ঘ সময় ফেরি, ট্রাক, পিকআপ ভ্যানে এবং দলবেঁধে চলার মধ্য দিয়ে অনেকের মধ্যে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এখন প্রয়োজন দরিদ্র শ্রমিকদের কষ্ট ও বাড়তি ভাড়ার অর্থ ব্যয়ের কষ্ট লাঘবের উদ্যোগের পাশাপাশি তাদের সবার করোনা টেস্ট করা এবং প্রয়োজন সাপেক্ষে কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা।

এটা সত্য, তৈরি পোশাক এখন পর্যন্ত আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও রফতানির প্রধান খাত। বর্তমান সংকটময় মুহূর্তে মেডিকেল দ্রব্যাদির কিছু অর্ডার ধরার সুযোগ হয়তো আছে; কিন্তু মনে রাখতে হবে- সেটা কখনই জীবনকে হুমকির মুখে ফেলে নয়। ধৈর্যধারণ করে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারলে সাময়িক লোকসান কাটিয়ে ওঠা কঠিন কিছু হবে না। সে উদ্দেশ্যে এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। রফতানিমুখী শিল্পকে রক্ষায় ৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিলের ঘোষণা তো আগেই ছিল। বর্তমান পরিস্থিতিতে চিকিৎসা থেকে নিয়ে সব খাতে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। সরকারের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত জেনে সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত কর্তৃপক্ষগুলোকে নিজেদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মনে রাখতে হবে, সবার আগে জীবনের নিরাপত্তা, দেশের নিরাপত্তা। সরকার এরই মধ্যে ছুটির মেয়াদ ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়েছে। পুলিশ সদর দফতর জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঢাকায় প্রবেশ এবং ঢাকা থেকে বের হওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এ অবস্থায় আবারও যেন শ্রমিকদের কাজে যোগদানের ক্ষেত্রে হযবরল পরিস্থিতি তৈরি না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। মহামারী পরিস্থিতিতে সব মহল থেকে দায়িত্বশীল ও আন্তরিক আচরণ কাম্য। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। মনে রাখতে হবে, আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহ আমাদের জন্য অগ্নিপরীক্ষা। আসুন, সবাই মিলে এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই।



আর্কাইভ

ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক স্বাভাবিক দিকে অগ্রসর হচ্ছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
নতুন আইজিপি বাহারুল ও ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত
পারমাণবিক আশ্রয়কেন্দ্র বানাচ্ছে রাশিয়া!
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ
ইলন মাস্কের রকেট উৎক্ষেপণ দেখতে হাজির ট্রাম্প
লেবাননে নিহত দুই শতাধিক শিশু: ইউনিসেফ
মার্তিনেজের ধাঁধানো গোলে জিতল আর্জেন্টিনা
পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের পরিধি বাড়ালেন পুতিন
বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ সফল হয়নি: হাসনাত
যুক্তরাষ্ট্র-ফিলিপাইন সামরিক গোয়েন্দা তথ্য চুক্তি স্বাক্ষর