শনিবার, ৭ মার্চ ২০২০
প্রথম পাতা » জেলার খবর | প্রিয়দেশ » বিয়েবাড়ির নৌকাডুবি: ২ লাশ উদ্ধার, বউসহ নিখোঁজ ৩০
বিয়েবাড়ির নৌকাডুবি: ২ লাশ উদ্ধার, বউসহ নিখোঁজ ৩০
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজশাহীর পদ্মায় বিয়েবাড়ির দুটি নৌকাডুবির ঘটনায় আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের নাম মনি খাতুন (৪২)।শনিবার সকালে জেলার চারঘাট এলাকায় মনি খাতুনের বোরকা পরা মরদেহ নদীতে ভেসে ওঠে। নিহত মনি কনে সুইটি খাতুনের চাচি। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো দুজনে।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসাপাতালে মরিয়ম খাতুন (৬) নামে এক শিশু মারা গেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে উদ্ধারকাজে যোগ দিতে সকালে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পাঁচ সদস্যের একটি দল ঢাকা থেকে রাজশাহী পৌঁছেছে। রাজশাহী মহানগরীর শ্রীরামপুর এলাকার বিপরীতে মাঝপদ্মায় যেখানে নৌকা দুটি ডুবেছে সেখানেই তারা উদ্ধার কাজ শুরু করেছেন।
কিছুটা দূরে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। ভাটিতে চারঘাট এলাকায় ফায়ার সার্ভিসের আরেকটি দল উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন। স্পিডবোট নিয়ে ঘুরছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরাও।
পদ্মার ওপারে রাজশাহীর পবা উপজেলার চরখিদিরপুরে বৌ-ভাতের অনুষ্ঠান শেষে বর বউকে নিয়ে এপারে ফিরছিলেন কনেপক্ষের স্বজনরা। সন্ধ্যা ৭টার দিকে মাঝপদ্মায় নৌকা দুটি ডুবে যায়। এরপর বরসহ ১২ জন উদ্ধার হন। তবে কনেকে এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় আহতদের মধ্যে মরিয়ম নামে এক শিশুকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এখন পর্যন্ত ঠিক কতজন নিখোঁজ রয়েছেন তা নিশ্চিত নয় ফায়ার সার্ভিস। কনের বাড়ি রাজশাহী শহরসংলগ্ন পবা উপজেলার ডাঙেরহাট এলাকায়।
উদ্ধার হওয়ার পর রানা নামের এক যুবকের ভাষ্যমতে, দুটি নৌকা পাশাপাশি আসছিলো। প্রথমে একটি নৌকার তলা ফেটে পানি উঠতে শুরু করে। এতে নৌকাটি ডুবে যায়। এ সময় এই নৌকার যাত্রীদের অপর আরেকটি নৌকায় নেয়া হচ্ছিল। তখন অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে এ নৌকাটিও ডুবে যায়।
এখনও অন্তত ৩০ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে ধারণা করছেন রানা।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রাজশাহী সদর স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আব্দুর রউফ শনিবার সকালে বলেন, নিখোঁজের সংখ্যা কেউ বলছেন ৩০ জন, আবার কেউ বলছেন ৩৫।
আসলে কতজন যে নিখোঁজ হয়েছেন তা আমরা নিশ্চিত নই। আমাদের উদ্ধার তৎপরতা চলছে। একটা রাত যেহেতু পার হয়ে গেছে এখন নদীর ভাটিতে মরদেহ ভেসে উঠবে। সে জন্য ভাটিতেও আমাদের দল কাজ করছে।