রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » আইন-আদালত | শিরোনাম | সাবলিড » গুলিস্তানে চাঁদাবাজও পাতি নেতা থেকে কমিশনার হয়ে যায়- সিইসি
গুলিস্তানে চাঁদাবাজও পাতি নেতা থেকে কমিশনার হয়ে যায়- সিইসি
বিবিসি২৪নিউজ,আদালত প্রতিনিধি:দেশের দুরবস্থার চিত্র তুলে ধরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, গুলিস্তান মহল্লায় হকারদের কাছ থেকে টাকা নেয়, কিছুদিন পরে দেখা গেল যে সেও একজন নেতা। এরপর পাতি নেতা, উপনেতা, পূর্ণ নেতা তারপর কমিশনারও বনে যায় সে।রোববার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইটিআই ভবনে নির্বাচন কমিশনে সদ্য যোগ দেয়া উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, বৈশ্বিকভাবে চিন্তা করলেও কাজ কিন্তু করতে হয় স্থানীয়ভাবে। কেননা, আমাদের কাজ করতে হয় মলম পার্টি, পকেটমার, ক্যাসিনো নেতা, পাতি নেতাদের নিয়ে।
তিনি বলেন ‘আমাদের দেশে তো মলম পার্টি নিয়ে কাজ করতে হয়। ব্যাগ টানা পার্টি নিয়ে কাজ করতে হয়। আমাদের দেশে ক্যাসিনো মেম্বার নিয়ে কাজ করতে হয়। আমাদের পকেটমার নিয়েও কাজ করতে হয়।
‘দেখা গেল যে একবার এই যে গুলিস্তানে, মহল্লায়, যারা এই যে হকারদের কাছ থেকে টাকা নেয়। কিছুদিন পর হয়তো দেখা গেল, নেতা, পাতি নেতা, উপ-নেতা তারপর পূর্ণ নেতা। তারপর কমিশনার। এগুলোও তো আমাদের দেখতে হয়। হু নোজ যে একদিন এমপি হবেন না তিনি। সুতরাং সেই ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে আমাদের কাজ করতে হয়’-যোগ করেন সিইসি।
নূরুল হুদা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ড, জার্মানিতে এমন হয়, আমাদের তেমন হয় না কেন? কয়েক দিন আগে একদল পলিটিশিয়ান এসেছিলেন। তারা এরকম বললেন। আমি তাদেরকে নিচু গলায় বললাম, আগে সুইজারল্যান্ড হতে হবে। আমাদের দেশে তো মলম পার্টি নিয়ে কাজ করতে হয়। ব্যাগ টানা পার্টি নিয়ে কাজ করতে হয়। ক্যাসিনো মেম্বার নিয়ে কাজ করতে হয়, পকেটমার নিয়ে কাজ করতে হয়, তারা কেউ হয়তো ভোটার। কেউ হয়তো কমিশনার হয়ে যায়। এগুলোও তো আমাদেরকে দেখতে হয়। এই ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে আমাদেরকে কাজ করতে হয়।
জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে সিইসির তদবিরও মাঝে মাঝে শোনা হয় না উল্লেখ করে নূরুল হুদা বলেন, স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুত করার পেছনে চারটি কমিটি কাজ করছে। কমিটিগুলো অত্যন্ত শক্তিশালী। কমিটি এমন শক্তিশালী যে, আমার কথাও শোনে না। আমি দুই-একটা তদবির করলে মাথা এদিক-ওদিক নাড়ায়। কমিটি এমন শক্তিশালী।
তিনি বলেন, কেন ইভিএম? ইভিএমের ফলেই এখন আর সেই দশটা হুন্ড, বিশটা গুণ্ডার যুগ নেই। এদের ভাড়া করতে প্রার্থীদের যেতে হবে না। যারা ভোট ছিনতাই করবে, এদের কাছে যেতে হবে না। আর নির্বাচনে যারা দায়িত্বে থাকে তাদের পেছনে যারা টাকা দিয়ে, তাদের কাছেও যেতে হবে না। একমাত্র ইভিএমই পারে, ভোটারদের কাছে প্রার্থীদের নিয়ে যেতে।