ভয় নিয়ে কাজে ফিরছেন চীনারা
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনাভাইরাসের আতঙ্ক এখনও কাটেনি। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। রোববারও মহামারী এ ভাইরাসে মারা গেছেন অন্তত ৯৭ জন, যা এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ।প্রাণহানির এ ঝুঁকির মধ্যেই সোমবার কাজে ফিরতে শুরু করেছেন চীনারা। দেশটির বেশকিছু অঞ্চলে অফিস-আদালত, কলকারখানা আংশিক চালু হয়েছে। করোনা আতঙ্কের মধ্যে কর্মস্থলের ওপর থেকে সরকারি কড়াকড়ি শিথিল করার পর কাজে ফিরতে শুরু করেছেন চীনারা। খবর রয়টার্সের।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথমবারের মতো ধরা পড়ে করোনাভাইরাস। এরপর থেকে প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।
মানুষ থেকে মানুষে সহজেই ছড়িয়ে পড়ায় ভাইরাসটির সংক্রমণ এড়াতে বেশ কয়েকটি শহরে যান চলাচল ও কলকারখানা বন্ধ ঘোষণা করে চীন।
জানুয়ারির শেষের দিকে চীনা নববর্ষের ছুটি শেষে সেগুলো আবার চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে না আসায় ছুটি আরও ১০ দিন বাড়ানো হয়।
বর্ধিত ছুটি শেষে সোমবার থেকে আবার কর্মচাঞ্চল্য শুরু হয়েছে অফিস-আদালতে। দেশটিতে এখনও অসংখ্য কর্মক্ষেত্র বন্ধ। কিছু কিছু লোক বাসায় বসেই অফিসের কাজ করছেন।
দেশটির অন্যতম ব্যস্ত শহর বেইজিংয়ের রেল-মেট্রোরেলগুলো প্রায় যাত্রীশূন্য। দিনের শুরুতে রাস্তায় অল্প কিছু পথচারী দেখা গেছে, যাদের সবারই মুখে ছিল মাস্ক পরা।
চীনের ফরেন এক্সচেঞ্জ বিভাগের কর্মকর্তা জিন ইয়ং গণপরিবহনের পরিবর্তে বাইকে চড়েই অফিসে যান। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাস্ক পরতে বলা হয়েছে। মুখোমুখি বৈঠকে বসতে নিষেধ করা হয়েছে।
মানুষে মানুষে সংস্পর্শ রুখতে অফিসের ক্যান্টিনগুলোও বন্ধ রাখা হয়েছে। চেন নামের আরেক সরকারি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির কর্মচারী বলেন, আমি বরাবরই সাবওয়ে (ট্রেন) ধরে অফিসে যাই। আজ ক্যাবে চড়ে আসায় ২০০ ইউয়ান খরচ হয়েছে।