সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » আইন-আদালত | শিরোনাম | সাবলিড » গর্ভস্থ শিশুর লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ কেন অবৈধ নয়, হাইকোর্টের রুল
গর্ভস্থ শিশুর লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ কেন অবৈধ নয়, হাইকোর্টের রুল
বিবিসি২৪নিউজ,আদালত প্রতিনিধি: মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় শিশুর লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাই কোর্ট। সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।গর্ভবতী নারী ও অনাগত সন্তানের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মাতৃগর্ভে থাকা শিশুদের লিঙ্গ পরিচয় জানার উদ্দেশ্যে পরীক্ষা ও লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ বন্ধে গতকাল হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী ইশরাত হাসান।এর আগে ১ ডিসেম্বর এ বিষয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। স্বাস্থ্য সচিব, নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সমাজ কল্যাণ সচিবকে এ নোটিশ পাঠানো হয়।
নোটিশে তাদেরকে তিন দিনের মধ্যে সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ডায়াগনোস্টিক, ক্লিনিকের কর্তৃপক্ষকে মাতৃগর্ভে থাকা শিশুদের লিঙ্গ পরিচয় জানার উদ্দেশ্যে পরীক্ষা ও লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ বন্ধে নির্দেশনা জারি করতে বলা হয়। নোটিশের জবাব না পাওয়ায় এ রিট দায়ের করা হয়েছে।
আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, আমাদের দেশে এখনো বেশির ভাগ মানুষের ছেলে সন্তানই কাম্য। কারণ তারা মনে করেন, ছেলেরা বংশের ধারক, তারা বেশি শক্তিশালী ও আয় বেশি করে। এমনকি অনেক মহিলাও মনে করেন, ছেলে সন্তান তাদেরকে ভবিষ্যতে সুরক্ষা দেবে। এ অবস্থায় যদি পরীক্ষার মাধ্যমে মাতৃগর্ভে থাকা সন্তানের লিঙ্গ পরিচয় জানা যায় এবং তা মা-বাবার কাঙ্খিত না হলে গর্ভবতী মায়ের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার ওপর প্রভাব ফেলে।
মা যদি হতাশায় ভোগে তবে বাচ্চার মানসিক বিকাশ ঠিকভাবে হয় না। চীন-ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মাতৃগর্ভে থাকা সন্তানের লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই বাংলাদেশে নারী ও শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পেটের শিশুদের লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ বন্ধ হওয়া জরুরি।
তিনি বলেন, গর্ভবতী মা ও শিশুর সুস্থতা জানতে পরিবার যেকোনো পরীক্ষা করতেই পারে। কিন্তু শুধু পেটে থাকা সন্তান ছেলে না মেয়ে তা জানার উদ্দেশ্যে ডাক্তারি পরীক্ষা বা ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্টে লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ কাম্য নয়।