শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » শিরোনাম | সাবলিড » চীন থেকে ফিরছেন বাংলাদেশিরা, ১৪ দিন রাখা হবে নিবিড় পর্যবেক্ষণে
চীন থেকে ফিরছেন বাংলাদেশিরা, ১৪ দিন রাখা হবে নিবিড় পর্যবেক্ষণে
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক:বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যেই আজ চীন থেকে দেশে ফিরছেন ৩৬১ বাংলাদেশি। তাদের দেশে ফেরানোর পর ১৪ দিন আলাদাভাবে আশকোনা হজ ক্যাম্পে রেখে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা হবে।শুক্রবার সকালে করোনাভাইরাস নিয়ে বিমানবন্দরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। সেখানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকও উপস্থিত ছিলেন। তারা এ তথ্য জানান।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশে সর্বোচ্চ সতর্কতা নেয়া হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে হটলাইন চালু করা হয়েছে। চীন থেকে যারা দেশে আসার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন তাদের আজ ফেরানো হচ্ছে। ৩৬১ জনকে আজ দেশে আনা হচ্ছে। এজন্য একটি বিশেষ ফ্লাইট বেইজিংয়ের উদ্দেশে যাচ্ছে। ফ্লাইটটি শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে পারে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, গতকাল চীন থেকে বাংলাদেশিদের ফেরত আনার জন্য সুযোগ পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী তাদের ফেরত আনার কথা বলেন। এছাড়া যারা চীনে অবস্থান করছেন, তারা যদি দেশে ফিরে আসতে চান, তাদের ফিরিয়ে আনা হবে বলেও আশ্বাস দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
চীন থেকে বাংলাদেশিদের ফেরত আনার পর ১৪ দিন আশকোনা হজক্যাম্পে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, এই দুই সপ্তাহ সময়টাতে তাদের সঙ্গে দেখা করতে পরিবার যেন ভিড় না করেন, সে বিষয়টি সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। সেখানে বাংলাদেশিদের চিকিৎসা, থাকা ও শুশ্রূষার যাবতীয় দায়দায়িত্ব সরকার নেবে বলেও জানান দুই মন্ত্রী।
৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাসের সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর গত একমাসে প্রায় গোটা চীনে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২১৩ জন মারা গেছেন। বিশ্বের আরও ১৯টি দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এরই মধ্যে এই ভাইরাস ঘিরে বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
যে উহানে করোনাভাইরাসের সন্ধান প্রথম পাওয়া গেছে, সেই উহান শহরেরই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চার থেকে পাঁচশ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছেন। তারা সেখানে আতঙ্কের সঙ্গে দিনানিপাত করছেন। তারা দেশে ফেরার আকুতি জানিয়েছেন।