শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » শিরোনাম | সাবলিড » প্রত্যেক নেতাকর্মীকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে চলতে হবে- প্রধানমন্ত্রী
প্রত্যেক নেতাকর্মীকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে চলতে হবে- প্রধানমন্ত্রী
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা মনে করি, আজকে যে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি অর্থনৈতিকভাবে এবং সেই সব অর্জনের সুফল একেবারে তৃণমূল পর্যায়ের গ্রামের মানুষ যেন পায় সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটা নেতাকর্মীকেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ নিয়ে চলতে হবে। এ বাংলাদেশকে আমরা জাতির পিতার ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলব এটিই আমাদের মূল লক্ষ্য।শুক্রবার বিকালে টুঙ্গিপাড়ায় হোয়াইট হাউজে আওয়ামী লীগের যৌথসভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নতুন কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পন করেন। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সফর শুরু হল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। ৭৫-এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকাণ্ডের ২১ বছর পর আমরা ক্ষমতায় এসে জাতির পিতা পদাঙ্ক অনুসরণ করি। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে আমরা চেষ্টা করছি।
যৌথ সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের জন্য আমরা কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও উদ্যোগ নিয়েছে। মুজিববর্ষ ঘিরে মানুষের উৎসাহ বৃদ্ধি পাচ্ছে তা বোঝা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার মাধ্যমে হত্যাকারীরা তার নাম মুছে দিয়েছিল। আজকে সেই নামটি আবার উচ্চারিত হচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নাম আর কখনও কেউ মুছে ফেলতে পারবে না। কারণ জাতির পিতা সারাটি জীবন সংগ্রাম করেছেন, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি কাজ করেছেন। এ দেশের শোষিত-বঞ্চিত মানুষের জন্য তিনি কাজ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৪ বছরের সংগ্রাম এবং ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। স্বাধীনতার জন্য ৩০ লাখ মানুষ, দুই লাখ মা-বোন আত্মত্যাগ স্বীকার করেছেন। তাদের আত্মত্যাগকে অর্থবহ করে তুলতে হবে।
বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ও উন্নয়ন প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, এখন বাংলাদেশের উন্নয়ন দৃশ্যমান হচ্ছে। আপনারা জানেন, ইতিমধ্যে দেশের দারিদ্র্যহার ২০ দশমিক ৫ ভাগ নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। দারিদ্র্যমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত থাকার কারণে দলের কয়েকজন নেতা জাতির পিতার সমাধিতে টুঙ্গিপাড়া যেতে পারেননি তার কারণও এ সময় জানান দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, সিটি নির্বাচনে যারা কাজ করছেন, তাদের যাওয়ার দরকার নেই। যারা বাকি থাকবেন তাদের নিয়ে আবার আসব। পরবর্তীতে নোটিশ নিয়ে ওয়ার্কিং কমিটির সভা করা হবে বলেও জানান তিনি। আজকে যেহেতু বেশি সময় নেই, আমাকে হয়ত অল্প সময়ের মধ্যে রওনা দিতে হবে।
এরপর উপস্থিত সব নেতার প্রতি ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন শেখ হাসিনা। হোয়াইট হাউজ থেকে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বের হয়ে হেলিপ্যাড থেকে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশে টুঙ্গিপাড়া ত্যাগ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
এর আগে বেলা ১১টায় টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রীকে। বেলা ১১টা ২০মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে যান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে জাতির পিতার সমাধির পাশে বসে কোরআন তেলাওয়াত করেন।
টুঙ্গিপাড়া এলে প্রতিবারই বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের পাশে বসে কোরআন তেলাওয়াত করে দোয়া করেন তিনি।
দুপুর ১টায় জাতির পিতার সমাধি সৌধের বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে দলীয় সভাপতি হিসেবে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে শ্রদার্ঘ অর্পন করেন। পরে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নিহত সদস্যদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এ সময় সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক অনার গার্ড প্রদান করা হয়েছে। জুমার নামাজের পর আওয়ামী লীগের নবগঠিত কেন্দ্রীয় কমিটির যৌথ সভা শুরু হয়।