সাভার-আশুলিয়ায় তিনদিনে ২ ধর্ষণ
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক: সাভার ও আশুলিয়ায় গত ৩ দিনে পৃথক স্থানে দুই শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও ১ পোশাক শ্রমিক ও এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।জানা যায়, সাভারের আড়াপাড়া এলাকায় সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা ও আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকায় আরও এক সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা করা হয়। এছাড়া ঘোষবাগ এলাকায় নারী শ্রমিককে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্রিষ্ঠ থানা পুলিশ ও জিরাবো এলাকায় ধর্ষিতা শিশুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
ধর্ষণের ঘটনায় আটককৃতরা হলেন, আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকার আলহাজ (৫৫) এবং পটুয়াখালী জেলার দশমিনা সদর থানার আবুল হোসেনের ছেলে ইকবাল হোসেন (৩৪)। ইকবাল আশুলিয়ার ঘোষবাগ এলাকার ভাড়া বাসায় থেকে কাজ করেন।
পুলিশ জানায়, গতকাল রাতে সাভারের আড়াপাড়া এলাকায় একটি বাড়িতে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে এক ব্যক্তি। পরে শিশুটি চিৎকার দিলে ওই ব্যক্তি পালিয়ে গেলে আজ সকালে ওই শিশুর বাবা সাভার মডেল থানায় অভিযুক্ত নয়ন মোল্লাকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। অন্যদিকে গত ১১ জানুয়ারি শনিবার বিকেলে আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকায় বাড়ির পাশের একটি মাঠে বন্ধুদের সাথে খেলছিল সাত বছরের এক শিশু।
এসময় প্রতিবেশী আলহাজ নামের এক ব্যক্তি কৌশলে শিশুটিকে মাঠের এক পাশে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। পরে শিশুটি চিৎকার দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে দৌঁড়ে পালিয়ে এসে তার পরিবারকে বিষয়টি জানায়। পরে শিশুর পরিবার রবিবার রাতে এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ আজ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করে।
এছাড়া ধর্ষণের শিকার নারী পোশাক শ্রমিক আশুলিয়ার ঘোষবাগ এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় সুইং অপারেটর পদে কাজ করেন। গত ১১ জানুয়ারি শনিবার দুপুরে ভুক্তভোগি ওই নারী তৃতীয় তলায় তার খালাতো বোনের কক্ষে যান। এসময় কক্ষে তার খালাতো বোনের দেবর ইকবাল ছাড়া কেউ ছিলো না। পরে ওই নারীকে একা পেয়ে তার হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে বখাটে ইকবাল। এঘটনায় ভুক্তভোগির অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই ইকবালকে ঘোষবাগ এলাকা থেকে আটক করা হয়।
এদিকে আশুলিয়ার জিরাবো এলাকায় পাঁচ বছর বয়সী শিশু ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, শনিবার বিকেলে জিরাবো এলাকায় বাসার পাশে একটি মাঠে খেলছিলো ভুক্তভোগি শিশু। পরে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে শিশুটি বমি করতে থাকলে স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ধর্ষণের বিষয়টি জানান তার পরিবারকে। এরপর সোমবার সকালে তাকে ঢামেক হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করেন।
এবিষয়ে আশুলিয়া থানার ওসি শেখ রিজাউল হক দিপু বলেন, অভিযুক্তদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।