
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | শিরোনাম | সাবলিড » বেইজিং- ওয়াশিংটন বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু, এলএনজি কেনা বন্ধ করেছে চীন: রিপোর্ট
বেইজিং- ওয়াশিংটন বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু, এলএনজি কেনা বন্ধ করেছে চীন: রিপোর্ট
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীন দশ সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রের তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি ‘সম্পূর্ণ’ বন্ধ করে দিয়েছে। এর ফলে বেইজিং এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ জ্বালানি সহযোগিতায় প্রসারিত হয়েছে। শিপিং তথ্যের বরাত দিয়ে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদপত্র ফিনান্সিয়াল টাইমস এ খবর জানিয়েছে।
ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য উত্তেজনার মধ্যে মার্কিন হাইড্রোকার্বনের ওপর ৯৯% পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছে চীন। কেননা বেশিরভাগ দেশের ওপর শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করা হলেও চীনকে এই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। দেশটির মোট ১৪৫% পর্যন্ত শুল্কের সম্মুখীন হবে।
এর প্রতিশোধ হিসেবে বেইজিং মার্কিন পণ্যের ওপর ১২৫% শুল্ক আরোপ করেছে এবং গুরুত্বপূর্ণ উচ্চ-প্রযুক্তি খনিজ পদার্থের রপ্তানি সীমিত করেছে।
চীনা-ভিত্তিক জ্বালানি ব্যবসায়ীদের বরাত দিয়ে ফিনান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারি থেকে টেক্সাসের কর্পাস ক্রিস্টি থেকে ৬৯,০০০ টনের একটি এলএনজি ট্যাঙ্কার ফুজিয়ান প্রদেশে পৌঁছানোর পর থেকে চীন আর কোনো এলএনজি নেয়নি, যা জ্বালানি বাণিজ্যে তীব্র ভাঙনের ইঙ্গিত দেয়।
কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার অন গ্লোবাল এনার্জি পলিসির গ্যাস বিশেষজ্ঞ অ্যান-সোফি করবো বলেন, এর দীর্ঘমেয়াদী পরিণতি হবে। আমি মনে করি না, চীনা এলএনজি আমদানিকারকরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কখনো কোনো নতুন এলএনজি চুক্তি করবে।
এই সপ্তাহের শুরুতে রাশিয়ায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত বলেছিলেন, বেইজিং রাশিয়া থেকে এলএনজি আমদানি বাড়ানোর জন্য প্রস্তুত। আমি নিশ্চিতভাবে জানি যে, অনেক ক্রেতা আছেন। অনেক ক্রেতা রাশিয়ান সরবরাহকারীদের সাথে যোগাযোগ স্থাপনে সাহায্য করার জন্য দূতাবাসের কাছে আবেদন করছেন। আমার মনে হয়, অবশ্যই আরও (আমদানি) হবে।
তিনি আরও বলেন, রাশিয়া থেকে চীন পর্যন্ত প্রস্তাবিত ‘পাওয়ার অফ সাইবেরিয়া-২’ গ্যাস পাইপলাইন নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তবে রুটটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
অস্ট্রেলিয়া এবং কাতারের পরে রাশিয়া চীনের তৃতীয় বৃহত্তম এলএনজি সরবরাহকারী হয়ে উঠেছে। গত বছর চীন এশিয়ায় রাশিয়ান এলএনজির শীর্ষ ক্রেতা ছিল।