সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম » গাজায় এখনই পূর্ণ প্রবেশাধিকার প্রয়োজন : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
গাজায় এখনই পূর্ণ প্রবেশাধিকার প্রয়োজন : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
বিবিসি২৪নিউজ, আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতির সময় তারা ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার জন্য উপত্যকাজুড়ে ‘পদ্ধতিগত প্রবেশাধিকার’ দরকার বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদরস আধানম গেব্রেয়াসুস।
গতকাল রবিবার (১৯ জানুয়ারি) থেকে ইসরায়েল-হামাসের মধ্যকার যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়েছেন তেদরস আধানম গেব্রেয়াসুস।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে তিনি বলেন, এই যুদ্ধবিরতি লাখ লাখ মানুষের জন্য বিপুল আশা নিয়ে আসবে, যাঁদের জীবন সংঘাতের কারণে বিধ্বস্ত হয়েছে।
ডব্লিউএইচওর প্রধান উল্লেখ করেন, ধ্বংসের মাত্রা, কাজের জটিলতা, সংশ্লিষ্ট সীমাবদ্ধতার পরিপ্রেক্ষিতে গাজার স্বাস্থ্যগত বিপুল চাহিদা পূরণ করা, স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করা একটি জটিল ও চ্যালেঞ্জিং কাজ হবে।
এদিকে, ফিলিস্তিনি অঞ্চলে জাতিসংঘের ত্রাণ সহায়তা সংস্থার (ওসিএইচএ) অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান জোনাথন হুইটল জানিয়েছেন, রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ত্রাণবাহী ট্রাকের প্রথম বহর প্রবেশ শুরু করে।
তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে মানবিক সহায়তা প্রদানকারী অংশীদারদের পক্ষ থেকে সমগ্র গাজাজুড়ে ত্রাণ সরবরাহ এবং বিতরণের ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। কোন এলাকা দিয়ে এসব ত্রাণ প্রবেশ করেছে সে সম্পর্কে জাতিসংঘ বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মিশরের একটি সূত্র জানিয়েছে যে, ১৯৭টি ট্রাক ত্রাণ এবং পাঁচটি জ্বালানি বহনকারী ট্যাঙ্কার ইসরাইল ও গাজার মধ্যবর্তী কেরেম শালোম এবং মিশর ও ইসরাইলের মধ্যবর্তী আল-ওগা ও নিতজানা ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করেছে।
জাতিসংঘ খাদ্য সংস্থা জানিয়েছে, তাদের ত্রাণবাহী ট্রাকগুলো উত্তর দিকে জিকিম এবং দক্ষিণ দিকে কেরেম শালোম সীমান্ত দিয়ে গাজায় প্রবেশ করেছে।
অন্য কিছু ত্রাণবাহী ট্রাককে রাফাহ সীমান্ত দিয়ে গাজায় প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) এক্স পোস্টে লিখেছে, প্রথমে যে ট্রাকগুলো প্রবেশ করতে শুরু করেছে তাতে গমের ময়দা এবং জরুরি খাদ্য সহায়তা রয়েছে।