শিরোনাম:
●   সাইবার মামলায় গ্রেপ্তার না : নাহিদ ইসলাম ●   বিশ্বমঞ্চে প্রেরণা হবে বাংলাদেশ: জাতিসংঘে ভাষণে ড. ইউনূস ●   ইউনূস-গুতেরেস বৈঠক: বাংলাদেশকে সবধরনের সমর্থন দেবে জাতিসংঘ ●   বাংলাদেশে নিরাপত্তার মধ্যেও প্রতিমা ভাঙচুর হচ্ছে ●   ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক আরও এগিয়ে যাবে : ড. ইউনূস ●   শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের সম্মুখীন করা উচিত: ড. ইউনূস ●   পারমাণবিক অস্ত্রনীতিতে বদল আনলেন পুতিন ●   মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ড. ইউনূস ●   বাংলাদেশকে ৩.৫ বিলিয়ন ডলার দিবে বিশ্বব্যাংক ●   চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় খুলতে চাই : ড. ইউনূস
ঢাকা, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১
BBC24 News
শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম » বিশ্বমঞ্চে প্রেরণা হবে বাংলাদেশ: জাতিসংঘে ভাষণে ড. ইউনূস
প্রথম পাতা » বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম » বিশ্বমঞ্চে প্রেরণা হবে বাংলাদেশ: জাতিসংঘে ভাষণে ড. ইউনূস
৪২ বার পঠিত
শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বিশ্বমঞ্চে প্রেরণা হবে বাংলাদেশ: জাতিসংঘে ভাষণে ড. ইউনূস

---বিবিসি২৪নিউজ,এম ডি জালাল, জাতিসংঘের সদরদপ্তর যুক্তরাষ্ট্র (নিউইয়র্ক) থেকে : বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের ছাত্রবিপ্লবের বীরগাথা তুলে ধরলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আহ্বান জানিয়েছেন ছাত্র-জনতার বিপ্লবে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নতুন বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্ববাসীকে নতুনভাবে সম্পৃক্ত হতে। একই সঙ্গে গাজায় অনতিবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে বাংলায় দেওয়া যুগান্তকারী ভাষণে এসব বিষয় তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপট এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশে সংঘটিত ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বীরগাথা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের এ ‘অভ্যুত্থান’ আগামী দিনগুলোয় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষকে মুক্তি ও ন্যায়বিচারের পক্ষে দাঁড়াতে প্রেরণা জুগিয়ে যাবে। নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জেনারেল অ্যাসেম্বলি হলে সাধারণ আলোচনায় তাঁর দেওয়া ভাষণে বাংলাদেশের ছাত্ররা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে কীভাবে সফল অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে এবং মানুষের মধ্যে নতুন স্বপ্নের বীজ বপন করেছে তা তুলে ধরেন।
ছাত্রদের নেতৃত্বে জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে যুগান্তকারী পরিবর্তন সংঘটিত হয়েছে উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এ ঘটনার প্রেক্ষিতে আজ আমি বিশ্ব সম্প্রদায়ের এ মহান সংসদে উপস্থিত হতে পেরেছি। আমাদের গণমানুষের বিশেষ করে তরুণ সমাজের অফুরান শক্তি আমাদের বিদ্যমান রাষ্ট্রকাঠামো ও প্রতিষ্ঠানগুলোর আমূল রূপান্তরের এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে।ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, ছাত্র ও যুব সমাজের আন্দোলন প্রথম দিকে মূলত ছিল বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন। পর্যায়ক্রমে তা গণ আন্দোলনে রূপ নেয়। এরপর সারা পৃথিবী অবাক বিস্ময়ে দেখেছে কীভাবে সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ একনায়কতন্ত্র, নিপীড়ন, বৈষম্য, অবিচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজপথে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দৃঢ়ভাবে রুখে দাঁড়িয়েছিল।

বাংলাদেশের তরুণরা যে প্রজ্ঞা, সাহস ও প্রত্যয় দেখিয়েছে তা আমাদের অভিভূত করেছে উল্লেখ করে নোবেলজয়ী ড. ইউনূস বলেন, বন্দুকের গুলি উপেক্ষা করে বুক পেতে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল আমাদের এই তরুণরা।অবৈধ রাষ্ট্রক্ষমতার বিরুদ্ধে প্রবলভাবে সোচ্চার হয়েছিল তরুণীরা। স্কুলপডুয়া কিশোর-কিশোরীরা নিঃশঙ্কচিত্তে উৎসর্গ করেছিল তাদের জীবন। শত শত মানুষ চিরতরে হারিয়েছে তাদের দৃষ্টিশক্তি।
তিনি বলেন, আমাদের মায়েরা, দিনমজুরেরা ও শহরের অগণিত মানুষ তাঁদের সন্তানদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নেমেছিল রাজপথে। তপ্ত রোদ, বৃষ্টি, মৃত্যুভয় তোয়াক্কা না করে তাঁরা সত্য ও ন্যায়সংগত আকাক্সক্ষার বিরুদ্ধে দীর্ঘকালব্যাপী রাষ্ট্রযন্ত্রকে পরিচালনা করার অশুভ ষড়যন্ত্র পরাভূত করেছিল।

জনগণের এ আন্দোলনে আমাদের জানামতে, ৮০০-এর বেশি জীবন আমরা হারিয়েছি স্বৈরাচার শক্তির হাতে।
নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, ছাত্র-জনতার অদম্য সংকল্প ও প্রত্যয় স্বৈরাচারী ও অগণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা থেকে আমাদের মুক্তি এনে দিয়েছে। তাদের এ সম্মিলিত সংকল্পের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ব সম্প্রদায়ের মাঝে একটি দায়িত্বশীল জাতির মর্যাদায় উন্নীত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, উদারনীতি, বহুত্ববাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতার ওপর মানুষের গভীর বিশ্বাস থেকেই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় হয়। ১৯৭১ সালে যে মূল্যবোধ বুকে ধারণ করে আমাদের গণমানুষ যুদ্ধ করেছিল, সেই মূল্যবোধ বহুবছর পর আমাদের জেনারেশন জি (প্রজন্ম জি) নতুনভাবে দেখতে শিখিয়েছে। এ রকমটি আমরা দেখেছিলাম ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে বাংলাকে মাতৃভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার সময়ও। বাংলাদেশের তরুণরা প্রমাণ করেছে মানুষের স্বাধীনতা, মর্যাদা ও অধিকার সমুন্নত রাখার অভিপ্রায় কোনো উচ্চাভিলাষ নয়; বরং এটা সবার নিশ্চিত প্রাপ্য।

বক্তৃতায় তিনি বাংলাদেশের নতুন যাত্রায় বিশ্ববাসীকে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের ছাত্র-জনতা তাঁদের অদম্য সংকল্প ও প্রত্যয়ের মাধ্যমে একটি স্বৈরাচারী ও অগণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা থেকে আমাদের মুক্তি এনে দিয়েছে। আমাদের মুক্তি ও গণতান্ত্রিক আকাক্সক্ষা বাস্তবে রূপ দিতে আমি বিশ্ব সম্প্রদায়কে আমাদের নতুন বাংলাদেশের সঙ্গে নতুনভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানাই। ’

গণতন্ত্র, আইনের শাসন, সমতা ও সমৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক সমাজ হিসেবে আত্মপ্রকাশের অভিপ্রায় বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন ও সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানান অধ্যাপক ইউনূস।অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ইউনূস বলেন, যে রাষ্ট্রকাঠামো দুঃসহ হয়ে গেছে, তার পুনর্গঠনের জন্য আমাদের তরুণেরা এবং দেশের আপামর জনসাধারণ একমত হয়ে আমার এবং আমার উপদেষ্টা পরিষদের ওপর আস্থা রেখে সরকার পরিচালনার এক মহান দায়িত্ব অর্পণ করেছে।

তিনি বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর আমরা গভীর বিস্ময় ও হতাশার সঙ্গে দেখতে পাচ্ছি, কীভাবে সর্বগ্রাসী দুর্নীতি একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে, কীভাবে রাষ্ট্রের মূল প্রতিষ্ঠানগুলো নির্মম দলীয়করণের আবর্তে বন্দি করে রাখা হয়েছিল, কীভাবে জনগণের অর্থসম্পদ নিদারুণভাবে লুটপাট করা হয়েছিল, কীভাবে একটি বিশেষ স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী সমস্ত ব্যবসাবাণিজ্য অন্যায়ভাবে নিজেদের হাতে কুক্ষিগত করে দেশের সম্পদ অবাধে বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। এক কথায়, প্রতিটি পর্যায়ে ন্যায়, নীতি ও নৈতিকতা অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এ রকমই এক অবস্থায় দেশ পুনর্গঠন এবং জনগণের কাক্সিক্ষত রাষ্ট্রব্যবস্থা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আমাদের ওপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অতীতের ভুলগুলো সংশোধন করে প্রতিযোগিতামূলক ও শক্তিশালী অর্থনীতি এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলাই এ মুহূর্তে আমাদের মূল লক্ষ্য।

ড. ইউনূস তাঁর ভাষণে উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সব রাজনৈতিক দল এখন স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশ করতে পারছে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা মানুষের মৌলিক অধিকার সমুন্নত ও সুরক্ষিত রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমাদের দেশের মানুষ মুক্তভাবে কথা বলবে, ভয়ভীতি ছাড়া সমাবেশ করবে, তাঁদের পছন্দের ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে- এটাই আমাদের লক্ষ্য। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংরক্ষণ এবং সাইবার ডোমেনসহ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সুসংহতকরণেও আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

জাতিসংঘসহ বহুপক্ষীয় বিশ্বকাঠামোয় বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও অবদান অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ যেসব আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক এবং দ্বিপক্ষীয় চুক্তির পক্ষভুক্ত, সেগুলো প্রতিপালনে আমাদের সরকার বদ্ধপরিকর।

বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, মর্যাদা ও স্বার্থ সংরক্ষণের ভিত্তিতে বাংলাদেশ বিশ্বের সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী।

দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, মাত্র সাত সপ্তাহের মধ্যে আমাদের সরকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।গাজায় অনতিবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান : গাজায় মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর চলমান নৃশংসতা অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বহুমুখী সংকটে জর্জরিত বর্তমান বিশ্বে যুদ্ধ এবং সংঘাতের ফলে ব্যাপক ভিত্তিতে মানুষের অধিকার খর্ব হচ্ছে।

তিনি বলেন, বিশ্ববাসীর উদ্বেগ এবং নিন্দা সত্ত্বেও গাজায় গণহত্যা থামছে না। ফিলিস্তিনের বিদ্যমান বাস্তবতা কেবল আরব কিংবা মুসলমানদের জন্যই উদ্বেগজনক নয়; বরং তা সমগ্র মানবজাতির জন্যই উদ্বেগের।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, একজন মানুষ হিসেবে প্রত্যেক ফিলিস্তিনির জীবন অমূল্য। ফিলিস্তিনের জনগণের বিরুদ্ধে যে মানবতাবিরোধী অপরাধ হচ্ছে, তার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়বদ্ধ করতে হবে।

যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর চলমান নৃশংসতা বিশেষত নারী এবং শিশুদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যে নিষ্ঠুরতা বিশ্ব দেখছে, তা থেকে নিস্তারের জন্য বাংলাদেশ অনতিবিলম্বে সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছে।

দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানই মধ্যপ্রাচ্যে টেকসই শান্তি আনতে পারবে, তাই জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সবাইকে এর বাস্তবায়নের জন্য এখনই উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ করেন অধ্যাপক ইউনূস।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আড়াই বছর ধরে ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এ যুদ্ধের প্রভাব সর্বব্যাপী। এমনকি বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও এর প্রভাব অনুভূত হচ্ছে। আমরা তাই উভয় পক্ষকেই সংলাপে বসে বিরোধ নিরসনের মাধ্যমে যুদ্ধের অবসান ঘটানোর আহ্বান জানাচ্ছি।রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চেয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সংঘটিত ব্যাপকভিত্তিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালত এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে চলমান বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করাও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা যাতে নিজ দেশে স্বাধীন এবং মর্যাদাপূর্ণ জীবন ধারণ করতে পারে, সে লক্ষ্যে অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের ধারাবাহিক প্রচেষ্টা প্রশংসার দাবিদার। এ লক্ষ্যে রোহিঙ্গারা যাতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করে তাঁদের নিজভূমি রাখাইনে ফিরে যেতে পারে, তার পথ সুগম করা দরকার। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সাত বছর ধরে মিয়ানমার থেকে আগত ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়ে আসছে। এর ফলে আমরা বিশাল সামাজিক-অর্থনৈতিক-পরিবেশগত ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা থেকে সৃষ্ট এ সংকট বাংলাদেশ ও আমাদের অঞ্চলের জন্য প্রথাগত ও অপ্রথাগত উভয় ধরনের নিরাপত্তাঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।



এ পাতার আরও খবর

ইউনূস-গুতেরেস বৈঠক: বাংলাদেশকে সবধরনের সমর্থন দেবে জাতিসংঘ ইউনূস-গুতেরেস বৈঠক: বাংলাদেশকে সবধরনের সমর্থন দেবে জাতিসংঘ
মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ  : ড. ইউনূস মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ড. ইউনূস
বাংলাদেশকে ৩.৫ বিলিয়ন ডলার দিবে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ৩.৫ বিলিয়ন ডলার দিবে বিশ্বব্যাংক
বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনটা খুব গোছানো ছিল, কেউ জানতেন না, কারা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন:ক্লিনটনকে ড. ইউনূস বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনটা খুব গোছানো ছিল, কেউ জানতেন না, কারা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন:ক্লিনটনকে ড. ইউনূস
জাতিসংঘে ইউনূস-বাইডেন বৈঠক, বাংলাদেশকে সবধরনের সহযোগিতা করবে: যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘে ইউনূস-বাইডেন বৈঠক, বাংলাদেশকে সবধরনের সহযোগিতা করবে: যুক্তরাষ্ট্র
জাতিসংঘ মহাসচিবের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে: ড. ইউনূস জাতিসংঘ মহাসচিবের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে: ড. ইউনূস
বাংলাদেশে বড় ধরনের পুনর্গঠনে, সহযোগিতার আশ্বাস জাতিসংঘের বাংলাদেশে বড় ধরনের পুনর্গঠনে, সহযোগিতার আশ্বাস জাতিসংঘের
ঢাকার যানজটের সমাধান চান: প্রধান উপদেষ্টা ঢাকার যানজটের সমাধান চান: প্রধান উপদেষ্টা
দেশ পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা দেশ পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

আর্কাইভ

সাইবার মামলায় গ্রেপ্তার না : নাহিদ ইসলাম
বাংলাদেশে নিরাপত্তার মধ্যেও প্রতিমা ভাঙচুর হচ্ছে
ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক আরও এগিয়ে যাবে : ড. ইউনূস
শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের সম্মুখীন করা উচিত: ড. ইউনূস
চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় খুলতে চাই : ড. ইউনূস
বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক আরও জোরালো হবে : ড. ইউনূস
রোহিঙ্গা সংকটের রাজনৈতিক সমাধান চাই: জাতিসংঘে: ড. ইউনূস
জাতিসংঘে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে ড. ইউনূস
জাতিসংঘ মহাসচিবের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে: ড. ইউনূস
রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান শীঘ্রই : জেলেনস্কি