সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » তৌহিদ-জয়শংকরের বৈঠক : ‘ঢাকা ও দিল্লি সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ
তৌহিদ-জয়শংকরের বৈঠক : ‘ঢাকা ও দিল্লি সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ
বিবিসি২৪নিউজ,অনলাইন ডেস্ক : আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কে একটি অস্বস্থিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বাংলাদেশ মনে করে, ঢাকা ও দিল্লি মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে অস্বস্তিকর উপাদান রয়েছে, কিন্তু সেগুলো যেন সম্পর্ক উন্নয়নে বাধার কারণ না হয়ে দাঁড়ায়। আলোচনা ও সংলাপের মাধ্যমে দুইপক্ষের অমীমাংসিত সমস্যা সমাধানে এগোনো যেতে পারে বলে মনে করে সরকার। এ প্রেক্ষাপটে নিউ ইয়র্কে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকরের মধ্যে বৈঠক হতে যাচ্ছে সোমবার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন বলেন, ‘যে কোনও দুই প্রতিবেশীর মধ্যকার মতপার্থক্য আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নিরসন হতে পারে। এর জন্যে দরকার সদিচ্ছা।’
সাধারণভাবে বলা যায় যে, মতপার্থক্য থাকলে আলোচনার জন্য একটি ‘কমন গ্রাউন্ড’ এবং দুই দেশের মানুষের জন্য যেটি ভালো হয়; সেটি খোঁজার চেষ্টা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, সম্পর্ক হতে হবে উভয়ের জন্য সম্মানজনক ও পারস্পরিকভাবে লাভজনক।’
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবস্থান
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয় ৫ আগস্ট। এটি কোনও গোপন বিষয় নয় যে, আওয়ামী লীগ সরকারকে সবসময় সমর্থন দিয়ে আসছিল ভারতের একাধিক সরকার। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই প্রক্রিয়ায় দুই দেশের মানুষে-মানুষে যোগাযোগ অবহেলিত হয়েছে। রাজনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে শুধু আওয়ামী লীগকেই কাছে টেনে নেওয়া এবং অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে একটি দূরত্ব বজায় রাখার কৌশল নিয়েছিল ভারত। এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশিদের একটি বড় অংশের মনে ভারত-বিরোধী মনোভাবে জন্ম হয়।
এ বিষয়ে সাবেক একজন কূটনৈতিক বলেন, ‘আদর্শ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক তৈরি হয় দুই দেশের মানুষের মধ্যে এবং সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এর পরিবর্তন হয় না। কিন্তু বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কটি সেভাবে তৈরি হয়নি।’
কূটনীতিতে প্রতিবেশী পরিবর্তন করা যায় না এবং সেটিকে মাথায় রেখে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক করা দরকার জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কিন্তু ওই সম্পর্কে অনেক সময়ে একটি গোষ্ঠীকে বিশেষ সুবিধা দিলে, সেটির ফলাফল ভালো হয় না। সাম্প্রতিক সময়ে আমরা বাংলাদেশ ও ভারত সম্পর্কে এর প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি।’
আলোচনার বিষয়বস্তু
নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে কয়েকটি খাতে সংস্কার করে নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক শক্তির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার জন্য কাজ করছে। নির্বাচন সময় পর্যন্ত সংস্কার কাজ করা এবং দেশ চালানোর বিভিন্ন দেশ, বিশেষ করে প্রতিবেশীর সহায়তা প্রয়োজন হবে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্কের গুরুত্ব আমরা জানি। এই সম্পর্কের ভিত্তি হতে হবে অবশ্যই পারস্পরিক শ্রদ্ধা। এই মূল্যবোধ গ্রহণ করে এগুলে সম্পর্কে একটা গতিময়তা থাকে এবং দুই পক্ষই লাভবান হতে পারে। দুই দেশের জনগণ লাভবান হতে পারে।’