শিরোনাম:
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
BBC24 News
শনিবার, ৩ আগস্ট ২০২৪
প্রথম পাতা » আমেরিকা | আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু » বাংলাদেশ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান ২২ আইনপ্রণেতার
প্রথম পাতা » আমেরিকা | আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু » বাংলাদেশ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান ২২ আইনপ্রণেতার
৪০১ বার পঠিত
শনিবার, ৩ আগস্ট ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বাংলাদেশ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান ২২ আইনপ্রণেতার

---বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন দেশটির ২২ আইনপ্রণেতা।

শুক্রবার লিখিত চিঠিতে তারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রের আরও অবনতি রোধ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিলে যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। চিঠিতে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগও আনা হয়েছে।

মার্কিন ডেমোক্র্যাট সিনেটর এডওয়ার্ড জে মারকি, প্রতিনিধি জিম ম্যাকগভর্ন ও বিল কিটিং এই চিঠির উদ্যোক্তা। এতে মার্কিন পার্লামেন্ট কংগ্রেসের উভয় কক্ষের আরও কয়েকজন আইনপ্রণেতা স্বাক্ষর করেছেন। সিনেটর এডওয়ার্ড জে মারকির নিজস্ব ওয়েবসাইটে চিঠিটি প্রকাশ করা হয়েছে।

সিনেটর মারকির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, সিনেটর এডওয়ার্ড জে. মারকি এবং প্রতিনিধি জিম ম্যাকগভর্ন ও বিল কিটিং তাদের সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আজ শুক্রবার একটি দ্বিদলীয় চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের অবনতিশীল অবস্থায় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশ ছাত্র আন্দোলনকারী ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে মারাত্মক সংঘর্ষ হচ্ছে, যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টিই তুলে ধরে।

ব্লিঙ্কেনের কাছে লেখা চিঠিতে আইনপ্রণেতারা লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ সরকার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করে এমন পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। এর মধ্যে রয়েছে—চলতি বছরের জানুয়ারিতে গভীর ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান, শ্রম নীতিমালার উন্নয়নে ব্যর্থ হওয়া, অতি সম্প্রতি বন্দুক, টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে সহিংসভাবে বিক্ষোভ দমন করা এবং ইন্টারনেট পরিষেবা প্রায় সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া উল্লেখযোগ্য।’

আইনপ্রণেতারা আরও লিখেছেন, ‘এই উদ্বেগজনক ও অব্যাহত প্রবণতার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আশা করি, যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভিত্তি হিসেবে কাজ করা যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও নীতি আছে, সেসব গণতান্ত্রিক নীতিমালা সমুন্নত রাখতে আপনি (মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরকে নেতৃত্ব দেবেন।’

চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই সব সহিংসতার নিন্দা করতে হবে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মতো সমালোচনামূলক নাগরিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে এবং বাংলাদেশি জনগণের বিরুদ্ধে উপরিউক্ত অপব্যবহারের জন্য জড়িত সরকারি কর্মকর্তাদের জবাবদিহি করতে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ছাড়া বাংলাদেশে গণতন্ত্রের আরও অবনতি রোধ করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে অংশীদার হয়ে বাংলাদেশি জনগণের একটি প্রতিনিধিত্বশীল গণতান্ত্রিক সরকারের অধিকারকে সমর্থন করতে হবে। সেই সরকার মানবাধিকার সমুন্নত রাখবে ও ব্যক্তিস্বাধীনতাকে সম্মান করবে।’

চিঠিতে স্বাক্ষর করা অন্যান্য আইনপ্রণেতারা হলেন—সিনেটর ক্রিস ভ্যান হোলেন, সিনেটর ডিক ডারবিন, সিনেটর টিম কেইন, সিনেটর টামি বল্ডউইন, সিনেটর জেফ মার্কলে ও সিনেটর ক্রিস মারফি।

এ ছাড়া মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের যেসব সদস্য স্বাক্ষর করেছেন তারা হলেন—সেথ মল্টন, লরি ট্রাহান, জো উইলসন, দিনা টাইটাস, গ্রেস মেং, গেরি কনলি, গাবে আমো, আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজ, ইলহান ওমর, নাইডিয়া ভেলাজকুয়েজ, ড্যান কিলডি, বারবারা লি ও জেমস ময়লান।



আর্কাইভ

গণহত্যায় শহিদ পরিবার পাবে ৫ লাখ, আহতরা ১ লাখ টাকা
ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী
বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য দেওয়ার আহ্বান জাতিসংঘের
ত্রাণ তহবিলে টাকা ব্যাংকে কেন?
সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম গ্রেপ্তার
ঢাকায় আসছে জাতিসংঘের তদন্তদল
ময়মনসিংহের সীমান্ত থেকে সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্ত আটক
দেশ পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকা ও ওয়াশিংটন অর্থনৈতিক সহযোগিতা থাকবে: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিদল
সরকারের সঙ্গে ২০০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের