শিরোনাম:
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
BBC24 News
বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট ২০২৪
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » জাতিসংঘের চিঠির জবাব দিল বাংলাদেশ
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » জাতিসংঘের চিঠির জবাব দিল বাংলাদেশ
৩৯৬ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

জাতিসংঘের চিঠির জবাব দিল বাংলাদেশ

---বিবিসি২৪নিউজ,কূটনৈতিক প্রতিবেদক ঢাকা: বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বিক্ষোভকারীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগ, হতাহতের ঘটনা, নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের খবরে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিচার ও জড়িতদের জবাবদিহি নিশ্চিতে সব মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের নিরপেক্ষ, স্বাধীন ও স্বচ্ছ তদন্ত চায় সংস্থাটি।

এছাড়া ভবিষ্যতে এ ধরনের নির্যাতনের পুনরাবৃত্তি বন্ধ, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা এবং শান্তিপূর্ণ সভা–সমাবেশের অধিকার রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সামগ্রিক ব্যবস্থার সংস্কার জরুরি। চলমান সংকট নিরসনে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে প্রস্তুত জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে লেখা চিঠিতে এমন মন্তব্য করেছেন। গত ২৩ জুলাই তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে ওই চিঠি লেখেন।

প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেন, প্রায় পুরোপুরি ইন্টারনেট বন্ধ ও যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত হওয়া সত্ত্বেও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে মানুষের নিহত ও আহত হওয়ার একাধিক খবর পেয়েছে তার দপ্তর। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বিক্ষোভ দমনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বুলেটের ব্যবহার, নির্বিচারে গ্রেপ্তার, আটক, নির্যাতন ও নিগৃহীত করাসহ মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করেছে। তারা এটাও জানতে পেরেছেন যে বিক্ষোভকারীরা সরকারসংশ্লিষ্ট হিসেবে পরিচিত বিভিন্ন গোষ্ঠীর সহিংস আক্রমণের শিকার হয়েছে। সেখানে তাদের সুরক্ষার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। আর্মড পুলিশ, বিজিবি ও র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের মতো আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন আরও ঝুঁকি তৈরি করে। তারা বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের বিষয়েও অবগত, যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটিয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার লিখেছেন, ‘জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সর্ববৃহৎ জনবল মোতায়েনকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তার অবিচল সমর্থক। তবে বিক্ষোভের সময় মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগ, নির্বিচারে গ্রেপ্তার এবং নির্যাতনের খবর গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে।’

জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে ও জনপরিসরে সংলাপের সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সব অভিযানকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মান অনুযায়ী পরিচালনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ভলকার তুর্ক। তিনি মনে করেন, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য বিচার ও জড়িত ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিতে সব মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের নিরপেক্ষ, স্বাধীন ও স্বচ্ছ তদন্ত জরুরি। ভবিষ্যতে এ ধরনের নির্যাতনের পুনরাবৃত্তি বন্ধ, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা এবং শান্তিপূর্ণ সভা–সমাবেশের অধিকার রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সামগ্রিক ব্যবস্থার সংস্কার জরুরি। চলমান সংকট নিরসনে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশকে সহায়তা করতে প্রস্তুত বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সব অংশীজনের মধ্যে আস্থা স্থাপন ও উত্তেজনা প্রশমনে একটি তথ্যানুসন্ধানী মিশন পাঠাতে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দফতর প্রস্তুত রয়েছে।

এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে লেখা চিঠির জবাবে গত সোমবার (২৯ জুলাই) সরকারের পক্ষ থেকে ভলকার তুর্ককে চিঠি পাঠিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন।

ওই চিঠিতে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারকে বলা হয়েছে, পরিস্থিতির সুযোগ নেওয়া তৃতীয় পক্ষের সন্ত্রাসী কার্যক্রম এবং শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পার্থক্যের বিষয়ে পরিষ্কার হতে হবে। বর্তমানে ঘটনার বিচারিক ও প্রশাসনিক তদন্ত চলছে। এ সময় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন ও এর সংশ্লিষ্টদের বাংলাদেশ নিয়ে চূড়ান্ত মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকা উচিত, তা না হলে সেটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমসহ মানুষের ধারণা অন্যদিকে প্রভাবিত করতে পারে। তদন্তের আগে একপক্ষীয় প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে কোনো বিবৃতি দেওয়া থেকেও বিরত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারকে।

এতে আরও বলা হয়েছে, তিন সপ্তাহ কোটা সংস্কার নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে। এ সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে যোগাযোগের প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে এবং তাদের সর্বোচ্চ আদালতের প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে। এ সময়ে আন্দোলনকারীরা যাতে নিরাপদ পরিবেশে আন্দোলন করতে পারে, তা নিশ্চিত করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরবর্তী সময়ে এ আন্দোলনে কিছু রাজনৈতিক দল, ধর্মীয় চরমপন্থি ও জঙ্গিগোষ্ঠী তৃতীয় পক্ষ হিসেবে অনুপ্রবেশ করে। আর এ তৃতীয় পক্ষের নেতৃত্ব দিয়েছে বিএনপি–জামায়াতে ইসলামী জোট এবং তাদের ছাত্রসংগঠনগুলো। তারা ভুল তথ্য ছড়িয়ে ও উসকানিমূলক স্লোগান দিয়ে শিক্ষার্থীদের ভুল পথে পরিচালিত করে এবং কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘাত ও সহিংসতার উসকানি দেয়। পরিস্থিতি খারাপ হলে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের আড়ালে দুঃখজনকভাবে কিছু মানুষ নিহত হয় এবং কিছু গুরুতর বর্বরতার ঘটনা ঘটে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এ সময় তৃতীয় পক্ষ এ আন্দোলনকে নিজেদের দখলে নিয়ে নেয় এবং সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের রাজত্ব কায়েম করে।

চিঠিতে ঘটনার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হয়েছে, পরিস্থিতির সুযোগ নেওয়া তৃতীয় পক্ষের সন্ত্রাসী কার্যক্রম এবং শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পার্থক্যের বিষয়ে পরিষ্কার হতে হবে। বর্তমানে ঘটনার বিচারিক ও প্রশাসনিক তদন্ত চলছে। এ সময় জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন এবং এর সংশ্লিষ্টদের বাংলাদেশ নিয়ে চূড়ান্ত মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে। যাতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমসহ মানুষের ধারণা অন্যদিকে প্রভাবিত না হয়। তদন্তের আগে একপক্ষীয় প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে কোনো বিবৃতি দেওয়া থেকেও বিরত থাকতে অনুরোধ করেছেন। তদন্তের আগে একপক্ষীয় প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে কোনো বিবৃতি দেওয়া থেকেও বিরত থাকতে চিঠিতে অনুরোধ করা হয়েছে হাইকমিশনারকে। কিছু স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীন বিচার বিভাগ ও পেশাদার নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ে ঢালাও মন্তব্য করা থেকে হাইকমিশনারকে বিরত থাকতে চিঠিতে অনুরোধ করা হয়েছে।



আর্কাইভ

গণহত্যায় শহিদ পরিবার পাবে ৫ লাখ, আহতরা ১ লাখ টাকা
ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী
বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য দেওয়ার আহ্বান জাতিসংঘের
ত্রাণ তহবিলে টাকা ব্যাংকে কেন?
সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম গ্রেপ্তার
ঢাকায় আসছে জাতিসংঘের তদন্তদল
ময়মনসিংহের সীমান্ত থেকে সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্ত আটক
দেশ পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকা ও ওয়াশিংটন অর্থনৈতিক সহযোগিতা থাকবে: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিদল
সরকারের সঙ্গে ২০০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের