রবিবার, ৯ জুন ২০২৪
প্রথম পাতা » অস্ট্রেলিয়া | খেলাধুলা | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারালো অস্ট্রেলিয়া
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারালো অস্ট্রেলিয়া
বিবিসি২৪নিউজ,স্পোর্টস ডেস্ক: কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বোধনী ম্যাচের পর থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এই আসরে বলার মতো রান করতে দেখা যায়নি কোনও দলকে। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড ম্যাচে ছুটলো রানের ফোয়ারা। বার্বাডোসের কেনসিংটন ওভালে ২০১ রানের পাহাড় গড়ে অজিরা। জবাব দিতে নেমে ৬ উইকেটে ১৬৫ রানে থেমেছে ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়া জিতেছে ৩৬ রানে। ১৭ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারালো অস্ট্রেলিয়া। শেষবার ২০০৭ সালে কেপটাউনে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে হারায় তারা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড, আর গত বছর ওয়ানডেতে বিশ্ব জয় করেছিল অস্ট্রেলিয়া। দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের লড়াইয়ের ঝাঁজ টের পাওয়া যাচ্ছিল কদিন ধরেই। ম্যাচের শুরুটাও হয়েছে আক্রমণাত্মক। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়ার প্লেতে ঝড় তোলে অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও ট্র্যাভিস হেড। মাত্র ৫ ওভারে ৭০ রান তুলে এই জুটি ভেঙে যায় মঈন আলীর কাছে। ১৬ বলে ২ চার ও ৪ ছয়ে ৩৯ রান করে বোল্ড হন ওয়ার্নার। পরের ওভারে হেডকে বোল্ড করে আরেকটি ধাক্কা দেন জোফরা আর্চার। ১৮ বলে ২ চার ও ৩ ছয়ে ৩৪ রান করেন এই ওপেনার।
জোড়া আঘাতে ভেঙে পড়েনি অস্ট্রেলিয়া। অধিনায়ক মিচেল মার্শ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল দাঁড়িয়ে যান। তাদের জুটিতে দশম ওভারে দলীয় স্কোর একশ ছোঁয়। আদিল রশিদকে ছক্কা মেরে গ্যালারি স্ট্যান্ডের সোলার প্যানেল ভেঙে ফেলেন মার্শ। এই শক্ত জুটি ভেঙে দেন লিয়াম লিভিংস্টোন। তৃতীয় উইকেটে ৬৫ রান যোগ করে বিদায় নেন মার্শ। ২৫ বলে দুটি করে চার ও ছয়ে ৩৫ রান করেন তিনি। পরের ওভারে ম্যাক্সওয়েল প্যাভিলিয়নে ফেরেন রশিদের বলে। ২৫ বলে তার ব্যাটে আসে ২৮ রান।
এরপর ক্রিস জর্ডান তোপ দাগালেও মার্কাস স্টয়নিসের ক্যামিওতে দুইশ ছোঁয় অস্ট্রেলিয়া। ১৭ বলে দুটি করে চার ও ছয়ে ৩০ রান করেন এই ব্যাটার। টিম ডেভিড ১১ ও ম্যাথু ওয়েড ১৭ রান করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ৭ উইকেটে ২০১ রান করে অজিরা।
ইংল্যান্ডের পক্ষে দুটি উইকেট নেন জর্ডান।
লক্ষ্যে নেমে যেমন শুরু করা দরকার, তেমনটাই করেছিল ইংল্যান্ড। ফিল সল্ট ও জস বাটলার আগ্রাসী ব্যাটিং করেন। পাওয়ার প্লেতে ওপেনিং জুটিতে আসে ৫৪ রান। তাতে লড়াইয়ের আভাস দেয় তারা। অ্যাডাম জাম্পা বল হাতে নিয়ে ব্রেকথ্রু আনেন। মোমেন্টাম হারায় ইংল্যান্ড। অজি লেগ স্পিনারের বলে সল্ট ও বাটলার প্যাভিলিয়নে হাঁটেন। ৭৩ রানের জুটি ভেঙে যায় অষ্টম ওভারের প্রথম বলে। ২৩ বলে ৪ চার ও ২ ছয়ে ৩৭ রানে জাম্পার শিকার সল্ট। এই স্পিনার তার পরের ওভারে বাটলারকে প্যাট কামিন্সের ক্যাচ বানান। ২৮ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ে ৪২ রান করেন অধিনায়ক।
তারপর ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা তাল মেলাতে পারেননি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে তারা। মিচেল স্টার্ক খরুচে বোলিং করলেও জশ হ্যাজেলউড, কামিন্স ও স্টয়নিস আঁটসাঁট বোলিং করেন।
সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন কামিন্স ও জাম্পা। তবে দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এনে দেওয়ায় ম্যাচসেরা হন জাম্পা, ৪ ওভারে ২৮ রান দেন তিনি।
বৃষ্টির কারণে স্কটল্যান্ডের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নিশ্চিতভাবে দুশ্চিন্তায় পড়েছে ইংল্যান্ড। দুই ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট এক। আর অস্ট্রেলিয়া ওমানের পর ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের শীর্ষে।