মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | ইউরোপ | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে ইইউ
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে ইইউ
বিবিসি২৪নিউজ,ইইউ প্রতিনিধি: ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত (ইইউ) বেশ কয়েকটি দেশ আগামী মে মাস শেষ হওয়ার আগেই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারে বলে জানিয়েছেন ইইউর পররাষ্ট্রনীতি বিভাগের প্রধান জোসেপ বরেল। খবর আল আরাবিয়ার।
সোমবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক জোট ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সম্মেলনের সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
বরেল বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য স্পেন, আয়ারল্যান্ড, মাল্টা এবং স্লোভেনিয়া এক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে। গত মার্চ মাসেই এই তিনটি দেশ জানিয়েছিল, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে কাজ করছে তারা।
এদিকে ইউরোপীয় দেশগুলোর এমন সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল বলছে, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে ‘সন্ত্রাসের জন্য পুরস্কার’, যা প্রজন্মের পুরনো দ্বন্দ্বের আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের সম্ভাবনা হ্রাস করবে।
এরআগে গত সপ্তাহে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত বলে ঘোষণা দেয় ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্র জ্যামাইকার সরকার। একই সঙ্গে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মানবিক সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশটি।
গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জ্যামাইকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কামিনা জনসন স্মিথ বলেছেন, তার দেশ সামরিক পদক্ষেপের পরিবর্তে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান দেখতে চায়।
এদিকে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য জ্যামাইকার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছে।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যের মর্যাদা দেয়ার বিষয়ে সম্প্রতি এক ভোটাভুটি হয়। তবে যু্ক্তরাষ্ট্রের ভেটোতে প্রস্তাবটি বাতিল হয়ে যায়।
কাউন্সিলের ১৫ সদস্যকে এই বিষয়ে খসড়া প্রস্তাবে ভোট দেয়ার আহবান জানানো হয়, আলজেরিয়ার উত্থাপিত এই প্রস্তাবে বলা হয়, “ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে জাতিসংঘের সদস্যপদ দেয়া হোক”।
নিরাপত্তা কাউন্সিলের ১২টি সদস্য দেশ এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়, যার মধ্যে আছে যুক্তরাষ্ট্রের তিন মিত্র– ফ্রান্স, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ড এতে ভোট প্রদানে বিরত থাকে।
যদি নিরাপত্তা কাউন্সিলে এ প্রস্তাব পাশ হতো, তাহলে সাধারণ পরিষদে এ নিয়ে ভোট হতো, এবং ফিলিস্তিনের সদস্য হতে সেখানে দুই তৃতীয়াংশ ভোট হলেই চলতো।ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো প্রদানকে ‘অনৈতিক’ বলে বর্ণনা করেন, আবার ইসরায়েল জাতিসংঘের এই প্রস্তাবকেই লজ্জাজনক বলে অভিহিত করে।