মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | শিরোনাম | সাবলিড » রাফায় ইসরাইলের বিমান হামলায় নিহত শতাধিক
রাফায় ইসরাইলের বিমান হামলায় নিহত শতাধিক
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজা ভূখণ্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় ইসরাইলের বিমান হামলায় অন্তত ৬৭ জন নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। যুদ্ধ থেকে বাঁচতে ইতোমধ্যে ১৪ লাখ মানুষ সেখানে আশ্রয় নিয়েছে।স্থানীয় বাসিন্দারা ভারী বোমা হামলার বর্ণনা দিয়েছেন। ইসরাইলি হামলায় বেশ কয়েকটি বাড়ি ও মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।ইসরাইলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা রাফার কিছু অংশে ‘সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে’ হামলা চালিয়েছে। তারা আরও জানায়, হামাস জঙ্গিদের হাতে আটক দুজন ইসরাইলি জিম্মিকে উদ্ধারের মিশনের পাশাপাশি এই হামলা চালানো হয়েছে।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই অভিযানের প্রশংসা করে বলেছেন, গাজা থেকে জিম্মিদের দেশে ফিরিয়ে আনার কোনো সুযোগ ইসরাইল ছাড়বে না।
চার মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধ এবং বারবার ইসরাইলের সরে যাওয়ার আদেশ ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের আরও দক্ষিণে ঠেলে দিয়েছে। অনেকে রাফা এলাকায় তাঁবু, শিবির এবং জাতিসংঘের আশ্রয়কেন্দ্রে বাস করছে।
কিন্তু রাফা মিশরের সীমান্ত বরাবর গাজার দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত হওয়ায় এবং ইসরাইলের অভিযান গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণ অঞ্চলগুলোতে স্থানান্তরিত হওয়ায় ফিলিস্তিনিরা নিরাপদে কোথায় যেতে পারে তা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
চিকিৎসা সহায়তা গ্রুপ ডক্টর্স উইদাউট বর্ডার্সের মহাপরিচালক মেইনি নিকোলাই সোমবার ইসরাইলকে রাফায় তার আক্রমণ বন্ধ করার এবং অন্যান্য দেশকে টেকসই যুদ্ধবিরতি আনার জন্য “দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়ার” আহ্বান জানিয়েছেন।
হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন টেলিফোনে নেতানিয়াহুর সাথে কথা বলেছেন। বাইডেন তাকে বলেছেন, রাফায় আশ্রয় নেয়া ১০ লাখের বেশি মানুষের নিরাপত্তা ও সমর্থন নিশ্চিত করার জন্য একটি বিশ্বাসযোগ্য ও বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা ছাড়া ইসরাইলের সেনা অভিযান চালানো উচিত হবে না।
হামাস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের পরিকল্পিত স্থল হামলার অভিযানের আগে রবিবার নেতানিয়াহু রাফা থেকে হাজার হাজার ফিলিস্তিনির জন্য “সেফ প্যাসেজ” দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তবে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা কোথায় যেতে পারবে তা স্পষ্ট নয়।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।