শনিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » জাতীয় | নির্বাচন | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » বাংলাদেশে সংঘর্ষ, সহিংসতা ও প্রাণহানিতে শেষ হলো নির্বাচনী প্রচারণা
বাংলাদেশে সংঘর্ষ, সহিংসতা ও প্রাণহানিতে শেষ হলো নির্বাচনী প্রচারণা
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা: সারাদেশে সংঘর্ষ, সহিংসতা ও প্রাণহানির মাধ্যমে (৫ জানুয়ারি) সকাল ৮ টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে বাংলাদেশের ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের প্রচার কাজ।
এখনও ভোট গ্রহণের ১ দিন বাকি আছে। বিএনপিসহ ১৬ টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলবিহীন এই নির্বাচনে গত ৩ জানুয়ারি একদিনে সংর্ঘষের ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু সংবাদ পাওয়া যায়।
এছাড়া গত ৯ ডিসেম্বর থেকে সারাদেশে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় ৫ জনের প্রাণহাহির ঘটনা ঘটেছে।
আর স্থানীয় পত্রিকাগুলোর হিসেব অনুযায়ী, গত ১৮ ডিসেম্বর নির্বাচনী প্রচার শুরুর পর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে ১৫৬টি জায়গায় নির্বাচনী সংঘাত ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় বহু মানুষ হতাহত হয়েছে।
মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামালের সংগঠন মানবাধিকার সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশনের হিসেবে অনুযায়ী- ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ৯০ টি নির্বাচনী সংর্ঘাতের ঘটনায় ২৭৯ জন আহত হয়।
তিন জন গুলিবিদ্ধ ও তিন জন নিহত হয়।
আর এক ১ জানুয়ারি থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচনী সংহিসতায় ৩ জন গুলিবিদ্ধ ও ২ জন মারা যায়।
বিএনপিবিহীন “আসন ভাগাভাগির” এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তার মিত্রদের ৩২ টি আসন ছেড়ে দিয়েছে।
নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে ২৬ টি ও ১৪ দলীয় শরিকদের ৬ টি আসন ছাড় দেয় ক্ষমতাসীন দল।
এছাড়া নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক করতে দলের নেতাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হতেও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে উৎসাহ দেওয়া হয়েছিলো।
যার ফলে, এবারের সংসদ নির্বাচনে ৩৮২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলো। সারাদেশে অধিকাংশ সংঘর্ষ হয়েছে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রার্থী বনাম মনোনয়ন বঞ্চিত দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে।
গত ২৬ নভেম্বর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতাদের সঙ্গে গণভবনে মত বিনিময় সভায় দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন- ২০১৪ সালের নির্বাচনের মতো কোনও আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাস দেখতে চান না। সব আসনেই যেন ‘ডামি (বিকল্প)’ প্রার্থী থাকে।
দলীয় প্রধানের এমন বার্তা পেয়ে এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোটের মাঠে লড়ছেন। দলও তাদের নির্বাচন থেকে সরাতে কোনও উদ্যোগ নেয়নি বরং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোটের স্বার্থে উৎসাহিত করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ গত বুধবার ছয় জেলার নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বলেন, “এই নির্বাচনে যেমন আমাদের নৌকার প্রার্থী আছে, সেই সঙ্গে আমরা এই নির্বাচনকে উন্মুক্ত করে দিয়েছি, কাজেই আপনাদের ভোট আপনারা যাকে খুশি পছন্দের প্রার্থীকে দিতে পারবেন। আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব—এটা আমাদের স্লোগান। কাজেই আপনাদের পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দেবেন, কোনও রকম গণ্ডগোল আমি চাই না।”
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও একাধিকবার বলেছেন, “সময়ের প্রয়োজনে কৌশল পরিবর্তন করে এগোচ্ছে আওয়ামী লীগ। নেত্রীর গাইডলাইন ফলো করে ডামি বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে বাধা নেই।”
দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।
নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারে শেষের ঠিক আগের দিন বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) নির্বাচনী সহিংসতায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ২ জনকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মুন্সিগঞ্জ
বুধবার (৩ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাস ও আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ফয়সালের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
ওই ঘটনায় নৌকার সমর্থক সোহেল রানা ও ডালিম সরকার গুলিবিদ্ধ হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ডালিম সরকারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ডালিম সরকারের মামা আব্দুর রহমান জীবন ভয়েস অফ আমেরিকা বলেন, “আমার ভাগিনা মৃনাল কান্তি দাসের সমর্থক ছিলো। বুধবার (৩ জানুয়ারি) রাতে নৌকার নির্বাচনী প্রচার ক্যাম্পের পাশে বসে ছিলেন। ওই সময় প্রতিপক্ষের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়। পরে হাসপাতালে মারা যায়। তবে, এখানে পূর্ব শত্রুতার বিষয়টি আছে। নির্বাচন ও পূর্ব শত্রুতা ২টাকে কাজে লাগানো হয়েছে।”
অভিযোগের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ ফয়সাল ভয়েস অফ আমেরিকা বলেন, “এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন।”
পিরোজপুর
একইদিন বুধবার (৩ জানুয়ারি) পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগ সমর্থিত) মো. শামীম শাহনেওয়াজ ও আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রুস্তম আলী ফরাজী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয় জাহাঙ্গীর পঞ্চায়েত।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। নিহত জাহাঙ্গীর স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শামীম শাহনেওয়াজ সমর্থক ছিলেন।
নিহত জাহাঙ্গীরের স্ত্রী বুলি বেগম বলেন, “আমার স্বামী শামীম শাহনেওয়াজের সমর্থক হওয়ায় তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমি স্বামী হত্যার বিচার চাই।”
এই ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। এই মামলার এজহার সংগ্রহ করে। এজাহারে নাম উল্লেখ করে ৭ জন এবং অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেন মো. রুস্তম আলী ফরাজী।
তিনি ভয়েস অফ আমেরিকা বলেন, “আমি শান্তিপ্রিয় মানুষ। আমার কর্মীরা নিরীহ। এটা নির্বাচনী কোনও হত্যাকাণ্ড নয়। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্যা হয়েছে বলে আমাকে জানিয়েছে জেলার ডিসি-এসপি। এই হত্যার সঙ্গে আমার কোনও কর্মী-সমর্থক জড়িত নয়।”
বরিশাল
গত ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনী জনসভায় বরিশাল যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর জনসভায় অংশ নিতে আসা বরিশাল-৪ আসনের নৌকার প্রার্থী শাম্মী আহমেদ (পরে দ্বৈত নাগরিকত্ব-এর কারণে মনোনয়ন বাতিল হয়) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথের অনুসারীদের সংঘর্ষে স্থানীয় কৃষক লীগ নেতা সিরাজ সিকদার মারা যান।
সিরাজ সিকদার শাম্মী আহমেদের অনুসারী ছিলেন।
সিরাজ সিকদারের ছেলে মাসুদ বলেন, “আমার বাবা শাম্মী আহমেদের সমর্থক ছিলো। ২৯ ডিসেম্বর বরিশালে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশ ছিলো। সেই সমাবেশে আমার বাবার ওপর পঙ্কজ দেবনাথের অনুসারীরা হামলা করে। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা বাবাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
যদিও হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেন পঙ্কজ দেবনাথ।
তিনি ভয়েস অফ আমেরিকা বলেন, “এখানে আমার কিংবা শাম্মী আহমদের অনুসারী নেই। সবাই আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনার কর্মী। আমরা বঙ্গবন্ধুর আর্দশের অনুসারী। তবে, সিরাজ সিকদার কারও হামলায় মারা যায়নি। আমরা যখন সমাবেশে যোগ দিতে যাই তখন শাম্মী আহমদের সশস্ত্র আনসারী হামলা করে। আর এই ঘটনার মধ্যে ভয়ের পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার কারণে সিরাজ সিকদার মারা যায়।”
মাদারীপুর
মাদারীপুর-৩ আসনে দুই পক্ষের নির্বাচনী সহিংসতায় গত ২৩ ডিসেম্বর নিহত হয় স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী এসকেন্দার খাঁ।
তিনি এই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাহমিনা বেগমের সমর্থক।
অভিযোগ রয়েছে, একই আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুস সোবহান গোলাপের সমর্থকরা কুপিয়ে এসকেন্দার খাঁকে গুরুতর জখম করে। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ছেলে শিক্ষার্থী মো. কিরণ হোসেন বলেন, “আমার বাবা স্থানীয় লক্ষীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা ছিলো। তিনি তাহমিনা বেগমের অনুসারী ছিলেন। নির্বাচনে তার পক্ষে কাজ করেছিলো। আর এই কারণে নৌকা প্রার্থীর সমর্থকরা আমার বাবাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে-কুপিয়ে হত্যা করেছে।”
হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে বলে উল্লেখ করে কিরণ হোসেন বলেন, “মামলায় ইতোমধ্যে ৪ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা এই হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।”
আওয়ামী লীগের মননোনয়ন বঞ্চিত তাহমিনা বেগম বলেন, “এসকেন্দার খাঁ আমার অনুসারী ছিলেন। মৃত্যুর আগের দিন একটি প্রচার টিমের কাজ শেষ করে বাসায় যান। পরেন দিন আরেকটি এলাকায় নির্বাচনে প্রচারে যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নৌকার সমর্থকরা তাকে কুপিয়ে তাকে হত্যা করে। কারা-কারা তাকে মেরেছে সেটি তিনি তার পরিবারের সদস্যদের বলে গেছেন।”
তবে, এ নিয়ে অনেকবার চেষ্টা করেও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুস সোবহান গোলাপের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ময়মনসিংহ
গত ১৯ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ-৪ স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হক শামীমের নির্বাচনী ক্যাম্প তৈরিকে কেন্দ্র করে ৩ সহোদর ভাইয়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষ গুরুতর আহত আওয়ামী লীগ কর্মী রফিকুল ইসলামকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
পিরোজপুর
গত ৯ ডিসেম্বর পিরোজপুর-১ আসনে নৌকার প্রার্থী ও মৎস্য মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আবদুল আউয়ালের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় লালন ফকির নামে এক যুবক মারা যায়।
ফরিদপুর
গত ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর সবচেয়ে বেশি হামলার ঘটনা ঘটেছে ফরিদপুর-৩ আসনে। সেখানে আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত (অব্যাহতি পাওয়া ফরিদুপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা) স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শামীম হকের সমর্থকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে।
তবে, এই আসনে কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।
স্বতন্ত্র প্রার্থী একে আজাদের পক্ষ থেকে নির্বাচনী সহিংসতায় থানায় ৭টি মামলা ও ৮টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। এ কে আজাদের প্রধান নির্বাচনী সমন্বয়ক মো. শহিবুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হকের নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়ক ও ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ বলেন, “(বৃহস্পতিবার) রাতেই একে আজাদের সমর্থকরা আমাদের ১৪টি নির্বাচনী ক্যাম্প পুড়িয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় আমরা থানায় ১৪ টি মামলার আবেদন করেছি। আমরা প্রতিনিয়ত অভিযোগ দিয়ে যাচ্ছি। এখন পযন্ত কতগুলো মামলা করা হয়েছে তা জানা নেই।”
এই প্রসঙ্গে জানতে ফরিদপুর কোতায়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হাসানুজ্জামান ফোন করা হলে বলেন, “দেখে জানাতে হবে।” এরপর তিনি আর ফোন ধরেননি।
গত ৩১ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, “আওয়ামী লীগের প্রার্থী কিংবা কোনো প্রার্থীর সহযোগী সহিংসতায় যদি জড়ায়, সে ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন যে আইনগত ব্যবস্থা নেবে আমরা তা সমর্থন করি। কোনও প্রকার নির্বাচন বিরোধী সহিংস কর্মকাণ্ড আমরা সমর্থন বা প্রশ্রয় দেব না।”
সার্বিক বিষয়ে নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “এটাকে তো আমি নির্বাচন বলি না। এটা হচ্ছে ভোটাভুটির খেলা। কারণ নির্বাচনের যে পূর্ব শর্ত তার কোনটি নেই এখানে। যেমন, এখানে প্রার্থীদের থেকে বিকল্প মত ও দল বেছে নেওয়ার সুযোগ নেই ভোটারদের। একইসঙ্গে এখানে কোনো রকম অনিশ্চতা নেই। ফলাফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত কেউ জানবে না, কে জয়ী হচ্ছেন। কিন্তু, এই নির্বাচনে কে জয়ী হতে যাচ্ছে তা আগে জানা যাচ্ছে। অভিনব ভোটের খেলায় এখানে অর্থের অপচয় হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “এই যে কতগুলো প্রাণহানী ঘটলো, অনেকে আহতও হয়েছে- এইগুলো অপ্রয়োজনীয় ছিলো। কারণ আপনি নির্বাচন করছেন একতরফা। তাছাড়া বিরোধী দল বিহীন এই নির্বাচনের তো এখন (সময়) বাকি আছে। সেখানে কি হয় সেটা তো দেখার বিষয় আছে।”