সোমবার, ১ জানুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » আইন-আদালত | পরিবেশ ও জলবায়ু | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » যে দোষ করিনি, সেটার শাস্তি পেলাম : ড. ইউনূস
যে দোষ করিনি, সেটার শাস্তি পেলাম : ড. ইউনূস
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা: আদালত থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার রায়ের প্রতিক্রিয়ায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘যে দোষ করিনি সেটার শাস্তি পেলাম।’ আজ সোমবার বিকেলে ঢাকার শ্রম আদালত-৩-এ রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মামলায় ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণা উপলক্ষে বেলা পৌনে ২টার দিকে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এসেছিলেন ড. ইউনূস।
রায় সম্পর্কে জানতে চাইলে ড. ইউনূস সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটাকে যদি ন্যায়বিচার বলতে চান, বলতে পারেন।’
ড. ইউনূস আরো বলেন, ‘বছরের প্রথম দিন আদালতে এসে মনটা ভরে গেল। এখানে অনেকে এসেছিলেন রায় শোনার জন্য। আমার কী অবস্থা হয় দেখার জন্য।
আমার অনেক বন্ধুবান্ধবকে এখানে পেয়ে গেলাম, যাদের সঙ্গে বহুদিন দেখা হয়নি।’
মামলার রায় পড়ে শোনান শ্রম আদালত-৩-এর বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা। রায়ে বিবাদীদের ছয় মাসের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৩০ হাজার টাকা জরিমানা এবং আপিল করার শর্তে এক মাসের জামিন দেওয়া হয়েছে।
মামলার অন্য তিন বিবাদী হলেন, গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।
এ মামলায় উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ২৪ ডিসেম্বর আদালত আজ সোমবার রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন। ওই দিন ইউনূসের পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন। তিনি এই মামলা থেকে ইউনূসসহ বিবাদীদের খালাস চান। অপরদিকে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে আইনজীবী খুরশিদ আলম খান শুনানি করেন। তিনি ইউনূসের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছিলেন।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।