শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » আনন্দ-বিনোদন | লাইফস্টাইল » ভারতীয় ছবি আমদানি প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন
ভারতীয় ছবি আমদানি প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন
বিবিসি২৪নিউজ, বিনোদন ডেস্ক: দেশের হলগুলোতে হিন্দি ছবি চালানোর বিরুদ্ধে কম আন্দোলন হয়নি। তবে যারা আন্দোলন করেছিলেন তাদের অনেকেই পরবর্তীতে হিন্দি ছবি আমদানির পক্ষে মত দিয়েছেন। চলচ্চিত্রের ১৯ সংগঠন আমদানির পক্ষে মত দেয়, যার ফলশ্রুতিতে দীর্ঘদিন পর দেশে হিন্দি সিনেমার আমদানি প্রক্রিয়া শুরু হয়। সাফটা চুক্তির আওতায় শাহরুখ খানের ‘পাঠান’, ‘জাওয়ান’ ও সালমান খানের ‘কিসি কা ভাই কিসিকা জান’ আমদানি করে প্রযোজনা ও পরিবেশক প্রতিষ্ঠান অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্ট। তবে এবার সিনেমা আমদানি প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নিয়ম মেনে আগে ছবি আমদানির অনুমতি চেয়েও সেটা পায়নি দেশের অন্যতম প্রযোজনা ও পরিবেশক প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া। অন্যদিকে পরে একই অনুমতি পেয়ে যায় অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্ট। জানা গেছে, চুক্তি মেনে দেশে ‘টাইগার থ্রি’ ও ‘মানুষ’ সিনেমা আমদানি করতে চেয়ে অনুমতি পায়নি জাজ মাল্টিমিডিয়া। ভারতীয় চলচ্চিত্র আমদানিতে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি না পাওয়া নিয়ে বুধবার সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদ (১৯ সংগঠন) এক লিখিত অভিযোগ দেয় জাজ মাল্টিমিডিয়া। অভিযোগে বলা হয়, ভারতীয় চলচ্চিত্র ‘টাইগার-৩’ ও ‘মানুষ’ আমদানি সাপেক্ষে যথারীতি আপনাদের ১৯ সংগঠনের প্রত্যয়নপত্র ও আমদানির সকল কাগজপত্রসহ তথ্য মন্ত্রণালয়ে মাননীয় তথ্য সচিব বরাবর আবেদন করি।
উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে ২/১১/২০২৩ইং তারিখে মন্ত্রণালয়ে আমদানি বিষয়ক মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। মিটিং-এ ‘টাইগার-৩’ চলচ্চিত্রটি অনুমোদন করা হয় এবং ‘মানুষ’ চলচ্চিত্রটি পরবর্তী সময়ে অনুমতি প্রদান করা হবে এই মর্মে সিদ্ধান্ত হয়। অতিব দুঃখের বিষয় আমাদের ‘টাইগার-৩’ চলচ্চিত্র এর অনুমোদিত ফাইলটি ০২/১১/২০২৩ইং তারিখে রেজ্যুলেশন ও সচিব মহোদয়ের অনুমোদনসহ বেলা ৩:০০ ঘটিকায় মন্ত্রী মহোদয় বরাবর উপস্থাপিত হয় এবং তার এক সপ্তাহ পর ‘মানুষ’ চলচ্চিত্রটি আমদানির জন্য পুনরায় আবেদন করা হয়। কিন্তু আমদানি ও রপ্তানি বিষয়ে একাধিকবার মিটিং হওয়া সত্ত্বেও ‘মানুষ’ চলচ্চিত্র আমদানির বিষয়টি উপস্থাপন হয়নি। আমদানি অনুমতি পেতে ব্যর্থ হলে ছবিটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে আমদানি চুক্তি বাতিল করার জন্য আমাকে বারবার তাগিদ দেয়া হয়। পরবর্তীতে আমি ২৩/১১/২০২৩ইং তারিখে ‘মানুষ’ চলচ্চিত্রটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমদানি চুক্তি বাতিল করি ও বিষয়টি মন্ত্রণালয় বরাবর অবহিত করি। অভিযোগে বলা হয়, আমরা ‘মানুষ’ সিনেমার চুক্তি বাতিল করার পর অন্য একটি পরিবেশক প্রতিষ্ঠান ছবিটি দেশে আমদানির অনুমোদন পায়। এ ছাড়াও ভারতীয় চলচ্চিত্র ‘অ্যানিমেল’ মন্ত্রণালয় হতে আমদানির অনুমোদন পায়। অথচ আমাদের জমা দেয়া ভারতীয় চলচ্চিত্র ‘টাইগার-৩’ অনুমতি পায়নি। অতএব উপরোক্ত বিষয়টি বিবেচনা করে বিষয়টি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত পরবর্তীতে ভারতীয় চলচ্চিত্র আমদানির অনুমোদন প্রদান না করার জন্য বিনয়ের সহিত অনুরোধ করা হলো। বিষয়টি নিয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ১৯ সংগঠনের একজন মানবজমিনকে বলেন, এটি একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হচ্ছে। না হলে একজন পাবে, আরেকজন নিয়ম মেনে আবেদন করেও আমদানির অনুমতি কেন পাবে না! এদিকে জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে ৪ঠা ডিসেম্বর ১৯ সংগঠনের একটি সভা ডাকা হয়েছে। সেখানে ‘অ্যানিমেল’ এর অনাপত্তিপত্র পাওয়া এবং ‘টাইগার থ্রি’ ও ‘মানুষ’ এর অনুমতি না পাওয়া বিষয়ে আলোচনা হবে।