বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » আইন-আদালত | প্রশাসন | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » সরকার রুটিন কাজ করে যাবে : আইনমন্ত্রী
সরকার রুটিন কাজ করে যাবে : আইনমন্ত্রী
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে, এ রকম কাজ সরকার করবে না বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, যেহেতু তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, এখন নির্বাচনের কাজকর্ম নির্বাচন কমিশন দায়িত্বশীলভাবে করবে। যে সরকার আছে, সেই সরকার গতানুগতিক রুটিন কাজগুলো করে যাবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এখন থেকে রুটিন কাজ করে যাবে। তবে নির্বাচনের কারণে পলিসি পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।
পলিসি বলতে আইন হবে না, বদলি হবে না, এমন কিছু কি না, জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, আইন তো হবেই না, কারণ সংসদ বসবে না। কিন্তু এমন কথা আমি বলতে পারি না।
এটি একটি স্বাধীন দেশ। যদি প্রয়োজন হয়, অধ্যাদেশ দিয়ে আইন জারি করতে হবে, কোনো বিশেষ কারণে, বিশেষ ব্যবস্থায় অত্যন্ত জরুরি কারণে। সেখানে আইন হবে না, এ কথা আমি বলতে পারি না।
রুটিন কাজের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, গতানুগতিক অফিস চলার বিষয়ে, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বেতনের বিষয়ে, প্রতিদিনকার সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে, এসব বিষয়ে অবশ্যই এ সরকার কাজ করবে।
তিনি আরও বলেন, উন্নয়ন কাজ যেগুলো আছে, সেগুলো চলমান থাকবে। তবে নতুন করে কোনো উন্নয়ন কাজ শুরু হবে না। নতুন করে কোনো প্রকল্প নেওয়া হবে না। নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে, এ রকম কাজ আমরা করব না।
মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন হবে না বলে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীরাও থাকবেন কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেই সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর।
পুলিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে, বিচার বিভাগ আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে- এ নিয়ে তিনি বলেন, বিচার বিভাগ মোটেও আমার অধীনে নয়। ম্যাজিস্ট্রেটরাও নন। বিচার বিভাগ স্বাধীন এবং অধস্তন আদালতগুলো সংবিধান অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের আওতায়। আমি বহুবার বলেছি, আইন মন্ত্রণালয় হলো নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের একটি সেতুবন্ধন।
পুলিশকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নাকি নির্বাচন কমিশন চালাবে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বিষয়টি হলো, যদি পুলিশের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য থাকে, তাহলে তারা সেটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানাবে এবং নির্বাচন কমিশন যেটা বলেছে, সেটা যৌক্তিক হলে নির্বাচন কমিশন সেটা করবে।