বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » জাতিসংঘ সদরদপ্তরে-রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ওআইসিকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান বাংলাদেশের
জাতিসংঘ সদরদপ্তরে-রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ওআইসিকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান বাংলাদেশের
বিবিসি২৪নিউজ,এম ডি জালাল, জাতিসংঘ সদরদপ্তর (নিউইয়র্ক) যুক্তরাষ্ট্রের থেকে: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থাকে (ওআইসি) পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ে ওআইসি কন্টাক্ট গ্রুপের সভায় প্রদত্ত বক্তব্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ আহ্বান জানান।
মিয়ানমারের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা মুসলিমদের বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার পর ৬ বছর ধরে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে তা তুলে ধরেন আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ মানবিক কারণে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হওয়ার ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি, জনসংখ্যা এবং পরিবেশের ওপর মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করছে।
আব্দুল মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনে ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই করা সত্ত্বেও উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি। প্রত্যাবাসনকে ঘিরে অনিশ্চয়তার কারণে রোহিঙ্গা জনগণ হতাশায় ভুগছে এবং ক্যাম্প ও আশেপাশের এলাকার নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের স্থায়ী ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে এই সঙ্কটের স্থায়ী সমাধান করা বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আব্দুল মোমেন বলেন, “রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের সুবিধার্থে বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে কাজ করছে”।
তিনি আরও বলেন, “বৈশ্বিক বিভিন্ন সংকটের কারণে রোহিঙ্গা সংকটের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ ও সমর্থন কমে যাচ্ছে। ২০২৩ সালের জন্য রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার প্রয়োজনীয় তহবিলের মাত্র ৩০ শতাংশ পাওয়া গেছে। ফলে তাদের জন্য খাদ্য রেশন কমে গেছে”।
আব্দুল মোমেন ওআইসি সদস্য দেশগুলোর মানবিক সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন না হওয়া পর্যন্ত তাদের সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
তিনি আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের মাধ্যমে মিয়ানমারের জবাবদিহির জন্য গাম্বিয়ার উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
উল্লেখ্য, কানাডা, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্সসহ অন্য দেশগুলোও এই মামলায় অংশ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
সভায় গাম্বিয়ার আইনমন্ত্রী মামলার সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে সভাকে অবহিত করেন।
আব্দুল মোমেন বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের দুর্দশা লাঘবে ওআইসিকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান এবং স্থায়ী রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে সমন্বিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সভা পরিচালনা করেন ওআইসির মহাসচিব হিসেইন ব্রাহিম তাহা। সভায় তুরস্ক, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, গাম্বিয়া, জিবুতি, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ব্রুনেই ও সেনেগালের প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নেন।