শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম » এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে যোগাযোগের ক্ষেত্রে আরেকটি নতুন মাইলফলক: প্রধানমন্ত্রী
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে যোগাযোগের ক্ষেত্রে আরেকটি নতুন মাইলফলক: প্রধানমন্ত্রী
বিবিসি২৪নিউজ,বিশেষ প্রতিবেদক ঢাকা:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রাজধানীর সঙ্গে সারা দেশের যোগাযোগের উন্নয়নে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েকে দেশের মানুষের জন্য ‘আরেকটি উপহার’ উল্লেখ করে ‘আজ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হতে তেজগাঁও পর্যন্ত অংশের উদ্বোধন করা হয়েছে। এটা আপনাদের উপহার হিসেবে দিয়ে গেলাম।’ দেশের প্রথম এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েকে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ‘নতুন মাইলফলক’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্প (কাওলা-ফার্মগেট) অংশের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও যানজট নিরসনে এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘এই এক্সপ্রেসওয়ে বিশেষ করে এয়ারপোর্ট, কুড়িল বিশ্বরোড, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, ফার্মগেট, মগবাজার, কমলাপুর এলাকার যানজট নিরসন করবে। এর ফলে রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থার দ্রুত উন্নতি হবে, কর্মঘণ্টাও নষ্ট হবে না এবং মানুষের কাজের সুযোগ সৃষ্টি হবে। ঢাকাবাসীর দীর্ঘদিনের যে একটি আকাঙ্ক্ষা, এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে তা পূরণ হবে। আমরা আজ যতদূর পর্যন্ত (সম্ভব) করলাম, পরবর্তী সময়ে বাকিটাও হয়ে যাবে।’
এই বিশাল কর্মযজ্ঞের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী।
আজ বিকাল ৪টার দিকে সুধী সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা ও প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা। অনুষ্ঠানস্থলে তাদের স্বাগত জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এর আগে বিকাল সাড়ে ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমানবন্দরের কাওলা প্রান্তে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ফলক উন্মোচন করেন। সেখানে তিনি মোনাজাতে অংশ নেন। পরে কাওলা থেকে প্রথম যাত্রী হিসেবে টোল দিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পার হন প্রধানমন্ত্রী। দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা প্রান্ত থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত সফর করেন তিনি। ১৬ মিনিট পর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ফার্মগেট প্রান্তে নামেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর পুরনো বাণিজ্য মেলার সুধী সমাবেশস্থলে হাজির হন তিনি।
পরে সুধী সমাবেশস্থলেও প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন এবং মোনাজাতে অংশ নেন। এ সময় তার সঙ্গে বোন শেখ রেহানা, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ও শেখ ফজলে নুর তাপস, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান উপস্থিত ছিলেন। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা হাফেজ মুহিবুল্লাহিল বাকী মোনাজাত পরিচালনা করেন।
সুধী সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেতু সচিব মো. মনজুর হোসেন এতে স্বাগত বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
এরপর ‘ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি’ প্রকল্পের বিষয়ে একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে প্রকল্পটির বিনিয়োগকারী সংস্থার প্রতিনিধি লি গুয়াংজিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ক্ষুদে সংস্করণ উপহার দেন। তিনি তার প্রতিষ্ঠানের পক্ষে বক্তব্যও দেন।
এদিকে সুধী সমাবেশে যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ ও তার ভ্রাতৃপ্রতীম ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়েছেন। তীব্র গরম ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে তারা সমাবেশস্থলে স্লোগানে স্লোগানে মুখর করে রাখেন।
টোল দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
এদিকে আগামীকাল রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওতে যানচলাচল শুরু হবে। বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত মাত্র ১০ থেকে ১৫ মিনিটে যাতায়াত করা যাবে। আশা করা হচ্ছে, নগর যোগাযোগ ব্যবস্থায় এটি দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব করবে, স্বপ্ন পূরণ হবে দুর্ভোগহীন রাজপথের।
হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর এলাকার কাওলা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দূরত্বের এই এক্সপ্রেসওয়ের আপাতত প্রথম অংশ কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত যান চলাচল করবে।