রবিবার, ২৫ জুন ২০২৩
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | শিরোনাম | সাবলিড » রক্তপাত এড়াতে সৈন্যদের ফিরিয়ে নেওয়ার কথাও বলেছেন ওয়াগনার প্রধান প্রিজোগিন
রক্তপাত এড়াতে সৈন্যদের ফিরিয়ে নেওয়ার কথাও বলেছেন ওয়াগনার প্রধান প্রিজোগিন
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মস্কোর ৪০০ কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছে যাওয়ার পর ওয়াগনার বাহিনী রাশিয়ার রাজধানী অভিমুখে যাত্রা ‘বন্ধ’ রাখার ঘোষণা দিয়েছে; রক্তপাত এড়াতে সৈন্যদের ফিরিয়ে নেওয়ার কথাও বলেছেন ইয়েভগেনি প্রিগোজিন।
বিবিসি ওয়াগনার যোদ্ধাদের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রচার করা এক ভয়েস নোটের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বেলারুশ প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে আলোচনার সময় ওয়াগনার বাহিনী প্রধান তার যোদ্ধাদের আর অগ্রসর হবেন না বলে রাজি হন। রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন রুশিয়া ২৪ নিউজ চ্যানেলের উদ্ধৃতি দিয়ে বিবিসি এ ঘটনার লাইভ প্রতিবেদনে জানায়, পরিস্থিতি যাতে আরও খারাপের দিকে না যায় সেজন্য প্রিগোজিন তা মেনে নিয়েছেন।
ওয়াগনার বাহিনী প্রধান উত্তেজনা কমাতে লুকাশেঙ্কোর প্রস্তাব মেনে নিয়ে রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধযাত্রা থামাতে রাজি হয়েছেন বলে বেলারুশের প্রেসিডেন্টের প্রেস সার্ভিসের বরাতে জানিয়েছে রুশিয়া ২৪।
রাশিয়ার রোস্তভ-অন-ডন নগরীতে রাশিয়ান সাউদার্ন আর্মি মিলিটারি কমান্ড সেন্টারের সদর দপ্তরের ভেতর থেকে শনিবার কথা বলছেন ওয়ানগার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন।
রাশিয়ার রোস্তভ-অন-ডন নগরীতে রাশিয়ান সাউদার্ন আর্মি মিলিটারি কমান্ড সেন্টারের সদর দপ্তরের ভেতর থেকে শনিবার কথা বলছেন
এতে ওয়াগনার বাহিনীর যোদ্ধাদের জন্য নিরাপত্তাসহ উত্তেজনা কমানোর সম্ভাব্য ও গ্রহণযোগ্য সমাধান খোঁজার কথা বলা হয়েছে।
এর আগে মস্কোর ৪০০ কিলোমিটারের মধ্যে ওয়াগনার বাহিনী পৌঁছে গেলে সেটিকে ‘কঠিন পরিস্থিতি’ বলে বর্ণনা করেন নগরীর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন।
শনিবার টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে তিনি মস্কোকে ‘সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে’ বলে জানিয়েছেন।
একই সঙ্গে ঝুঁকি কমাতে তিনি আগামী সোমবারকে ‘নন-ওয়ার্কিং ডে’ বা ‘কর্মহীন দিবস’ বলেও ঘোষণা করেছেন বলে জানায় বিবিসি।
তিনি মস্কোর বাসিন্দাদের যতদূর সম্ভব ভ্রমণ এড়িয়ে চলাও পরামর্শ দিয়েছেন। বলেছেন, ‘সবগুলো নাগরিক পরিষেবাকে উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে’।
রাশিয়ার মিলিশিয়া বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের কথিত ‘বিদ্রোহী’ তৎপরতাকে কেন্দ্র করে মহাসংকটে পড়েছে রাশিয়া। ইউক্রেইন যুদ্ধে রাশিয়ার বড় অস্ত্র ওয়াগনার বাহিনী এখনো উল্টো প্রচণ্ড আক্রোশ নিয়ে মস্কোর পথেই রওয়ানা হয়েছে।