দুই সিটিতে নৌকা এগিয়ে
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে ১৫৫ কেন্দ্রের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৮৬ কেন্দ্রের বেসরকারি প্রাথমিক ফলাফল হাতে এসেছে।
তাতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন পেয়েছেন ৮৫ হাজার ৭৭৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুরশিদ আলম ফারুকী পেয়েছেন ৭ হাজার ৭১৬ ভোট।
যদিও, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকার অভিযোগ তুলে গত ১২ জুন (সোমবার) কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুসারে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এই প্রার্থী।
রাসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন ফলাফলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে চলে ভোটগ্রহণ।
রাজশাহী সিটি নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২। এর মধ্যে নতুন ভোটার সংখ্যা ৩০ হাজার ১৫৭। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন, নারী ভোটার ১ লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন। হিজড়া ভোটার ৬ জন।
এই সিটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম ও জাকের পার্টির প্রার্থী লতিফ আনোয়ার মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সিলেট: সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে ১৯০ কেন্দ্রের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১০০ কেন্দ্রের বেসরকারি প্রাথমিক ফলাফল হাতে এসেছে।
তাতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৯৪৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মো. নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ২৩ হাজার ৪১৭ ভোট।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে চলে ভোটগ্রহণ।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৪২টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ২৭২ জন, আর ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৮৭ জন প্রার্থী।
সিলেট সিটির মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩৬০ জন, নারী ভোটার ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৭ জন ও হিজড়া ভোটার ৬ জন।
সিলেট সিটিতে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির মো. নজরুল ইসলাম, জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবদুল হানিফ, মো. ছালাহ উদ্দিন, মো. শাহ্ জামান মিয়া ও মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা।