শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩১

BBC24 News
বুধবার, ২১ জুন ২০২৩
প্রথম পাতা » জাতীয় | নির্বাচন | প্রিয়দেশ | বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম » সিলেট ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন কেমন চলছে!
প্রথম পাতা » জাতীয় | নির্বাচন | প্রিয়দেশ | বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম » সিলেট ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন কেমন চলছে!
৪৬৩ বার পঠিত
বুধবার, ২১ জুন ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সিলেট ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন কেমন চলছে!

---বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলাদেশে রাজশাহী এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটারদের তেমন একটা আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। স্থানীয় সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, ভোট গ্রহণের চার ঘণ্টা পার হলেও ভোটারদের খুব বেশি উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে না।

বুধবার সকাল আটটা থেকে রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। রাজশাহী এবং সিলেট থেকে স্থানীয় সাংবাদিকরা জানাচ্ছেন, বেশিরভাগ ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি অনেক কম দেখা যাচ্ছে।

সিলেট থেকে আহমেদ নূর জানাচ্ছেন, সকালে কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে তিনি ফাঁকা দেখতে পেয়েছেন। অনেকক্ষণ পরপর একজন-দুইজন ভোটার আসছেন। এখানে মেয়র পদ নিয়ে খুব একটা আগ্রহ নেই, কাউন্সিলর প্রার্থীদের তৎপরতা দেখা যাচ্ছে।

রাজশাহী থেকে সাংবাদিক আনোয়ার আলী জানাচ্ছেন, উপশহর হাউজিং, পদ্মা হাউজিংয়ের মতো তুলনামূলক ‘অভিজাত এলাকাগুলোয়’ ভোটকেন্দ্রগুলো ভোটারদের উপস্থিতি নেই। তবে নিম্নবিত্ত এলাকাগুলোর ভোটকেন্দ্র অনেক ভোটারের উপস্থিতি দেখা গেছে।

কিন্তু কিছু কিছু কেন্দ্রে ইভিএম জটিলতার কারণে দীর্ঘসময় ধরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ভোটারদের, তিনি জানাচ্ছেন।

এই দুই সিটি কর্পোরেশনে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অংশ নিলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বীতা হচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থীর মধ্যে।

শুরু থেকে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। আর গত ১২ই জুন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থীর উপর হামলার পর সিলেট ও রাজশাহীর নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে এই দলটিও। ফলে সিলেট ও রাজশাহী-দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেই প্রতিদ্বন্দ্বীতা থাকবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে দুই সিটি কর্পোরেশনেই বিএনপির একাধিক কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন। এর আগে গাজীপুর ও বরিশাল এরকম প্রাথীদের দল থেকে বিএনপি বহিষ্কার করেছে। কিন্তু এই দুই সিটিতে নির্বাচনী তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে দলটির নেতারা।সিলেটে পরিস্থিতি
সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা তা নিয়ে তারা শঙ্কায় রয়েছেন। এছাড়া তারা নানা ধরণের হুমকি-ধামকির মধ্যে রয়েছেন বলেও জানান।

তার অভিযোগ, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিভিন্নভাবে সহযোগিতা পেলেও তারা নানা সময়ে ধর্না দিয়েও কোন সহায়তা পাননি।বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিকভাবে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

সিলেটের সাংবাদিক আহমেদ নুর বলেন, এবারের নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করার কারণে এতে প্রতিদ্বন্দ্বীতা বেশ কম। সিলেটে গত দুই মেয়াদে অর্থাৎ ২০১৩ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী জয় লাভ করেছিলো। ফলে এই নির্বাচন বিএনপি বর্জন করার কারণে তাদের বিপুল পরিমাণ সমর্থকদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ কমে গেছে। কমেছে প্রতিদ্বন্দ্বীতাও।

“মেয়র পদ নিয়ে মানুষের আগ্রহ অনেক কম এবং এটাই সত্যি,” বলেন সিলেটের সাংবাদিক আহমেদ নুর।

চারটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী সিলেট মেয়র নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। আওয়ামীলীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাহমুদুল হাসান, জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম ছাড়াও মেয়র পদে আরো চার জন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন।

এরমধ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিলেট ও রাজশাহী দুটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনই বর্জন করার ঘোষণা দেয়ার পর থেকে এই দলটির মেয়র প্রার্থীরা কোন ধরণের প্রচারণায় অংশ নেননি। তবে দলটি নির্বাচন বর্জন করলেও ইভিএমে প্রার্থীর নাম ও প্রতীক থাকবে।

তবে সিলেটের নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থীদের সংখ্যা অনেক। ৪২টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছে মোট ২৭২ জন। সংরক্ষিত ১৪টি ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে লড়ছেন আরো ৮৭ জন। যার কারণে কাউন্সিলর প্রার্থী এবং তাদের সমর্থকদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনা রয়েছে। তারা ভোটার ভোট কেন্দ্রে টানবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

তার মতে, বিএনপির মেয়র প্রার্থী না থাকলেও তাদের ৪২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন যারা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার কারণে দল থেকে বহিষ্কৃত। এদের একটা বড় জনসমর্থন রয়েছে এবং তারা তাদের ভোটারদেরকে কেন্দ্রে টানবেন। এই ভোটারদের ভোট কে পাবে সেটি একটি বড় প্রশ্ন।জামায়াতের নিবন্ধন না থাকার কারণে তাদের মেয়র প্রার্থী নেই। তবে এই দলটিরও ২০-২৫ জন কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন। তাদের সমর্থকদের ভোটও বড় প্রভাব ফেলবে।

তিনি বলেন, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ নির্বাচন বর্জন করলেও তাদের একটা ভোট ব্যাংক সিলেটে রয়েছে। তাদের প্রচারণা খুব গোছানো ছিল। জাতীয় পার্টির প্রার্থীর চেয়েও এগিয়ে ছিলো এই দলটি। ফলে তাদের সমর্থকরা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে না, এটা মোটামুটি নিশ্চিত।

রাজশাহীর চিত্র কেমন?
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী মোট চার জন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম স্বপন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুরশিদ আলম এবং জাকির পার্টির লতিফ আনোয়ার।

জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন বিবিসি বাংলাকে বলেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন সু্ষ্ঠু হবে বলে মনে করেন তিনি। তবে ইভিএম নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে বলেও জানান।

তিনি বলেন, “নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, কিন্তু ইভিএম-এ কী হবে না হবে সেটা আলাদা ব্যাপার।”

মি. ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ইভিএম মেশিনে কিভাবে ভোট দিতে হয় সে বিষয়ে মানুষকে জানানোর ব্যবস্থা করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে বার বার অনুরোধ করেছেন তারা। তবে মানুষকে সচেতন করতে রাজশাহীতে এ নিয়ে খুব একটা প্রচারণা চালানো হয়নি।

আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন সবশেষ রাজশাহীর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এবার নির্বাচনেও দলটির পক্ষ থেকে প্রার্থী হয়েছেন তিনি।বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনেও জয়ের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী তিনি। নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলেও মনে করেন তিনি। বুধবারের নির্বাচনে ৬০ শতাংশের বেশি ভোট পড়বে বলেও আশা করছেন এই প্রার্থী। তবে এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা কম বলেও স্বীকার করেন তিনি।

তিনি বলেন, মেয়র পদে শক্ত কোন প্রতিদ্বন্দ্বী নেই বলে ভোটের উত্তাপটা একটু কম। তবে কর্মী সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা আছে। কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন অনেক। তারা তাদের ভোটার নিয়ে আসবেন কেন্দ্রে। তাই উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হবে।

---মেয়র পদে আরো দুই জন প্রার্থী আছেন জাতীয় পার্টির একজন ও জাকের পার্টির একজন। তাদের দলের অস্তিত্ব এখানে তেমনভাবে নেই। তাদের নেতাকর্মী ও সমর্থকও খুবই কম। ফলে তাদের প্রচার-প্রচরণা যেমন কম ছিল তেমনি তারা ভোটও খুব একটা বেশি পাবেন না।”

রাজশাহীর সাংবাদিক আনোয়ার আলি হিমু বলেন, মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা খুব কম কারণ, মেয়র পদে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের যে প্রার্থী রয়েছেন স্থানীয়ভাবে তার রাজনৈতিক প্রভাব অনেক বেশি।

এর পাশাপাশি বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এরই মধ্যে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। ফলে প্রতিদ্বন্দ্বীতা আরো কমে গেছে।

মেয়রপ্রার্থীদের নিয়ে আগ্রহ না থাকলেও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচারণায় বেশ উত্তেজনা লক্ষ্য করা গেছে বলে জানান স্থানীয় এই সাংবাদিক। এই কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে বিএনপি এবং জামায়াতের প্রার্থী রয়েছেন।

বিগত সময়ে রাজশাহীতে যে ভোট হয়েছে তাতে সেখানে কখনোই ৬০ শতাংশের নিচে ভোট পড়েনি। তবে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে খুব একটা আগ্রহ দেখা যায়নি বলে জানান মি. আলি।

এদিকে নির্বাচন উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার সকাল থেকেই শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর টহল বাড়ানো হয়েছে। ভোট কেন্দ্রের ভেতরে ও বাইরে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে।

এর আগে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল যে, ক্যামেরায় দেখে নির্বাচন কমিশন থেকেই ভোট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে।



আর্কাইভ

ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক স্বাভাবিক দিকে অগ্রসর হচ্ছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
নতুন আইজিপি বাহারুল ও ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত
পারমাণবিক আশ্রয়কেন্দ্র বানাচ্ছে রাশিয়া!
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ
ইলন মাস্কের রকেট উৎক্ষেপণ দেখতে হাজির ট্রাম্প
লেবাননে নিহত দুই শতাধিক শিশু: ইউনিসেফ
মার্তিনেজের ধাঁধানো গোলে জিতল আর্জেন্টিনা
পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের পরিধি বাড়ালেন পুতিন
বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ সফল হয়নি: হাসনাত
যুক্তরাষ্ট্র-ফিলিপাইন সামরিক গোয়েন্দা তথ্য চুক্তি স্বাক্ষর