সোমবার, ২৯ মে ২০২৩
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » বিশ্বনেতাদের অভিনন্দনে সিক্ত এরদোগান
বিশ্বনেতাদের অভিনন্দনে সিক্ত এরদোগান
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে বিজয়ের পর দেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ২০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। তিনি বলেছেন, এই জয় সাড়ে আট কোটি তুর্কির। দেশের সব মানুষ নির্বাচনে জিতেছে।
বিজয় নিশ্চিত হওয়ার পর তাৎক্ষনিকভাবে ইস্তানবুলে উপস্থিত সমর্থকদের উদ্যেশ্যে এরদোয়ান বলেন, আগামী পাঁচ বছরের জন্য তুরস্ক শাসনের দায়িত্ব আবারও আমাদের হাতে দেওয়ার জন্য দেশের প্রতিটি নাগরিককে ধন্যবাদ জানাই।
তিনি বলেন, ১৪ মে ও ২৮ মে’র ভোটে দেশের সাড়ে ৮ কোটি মানুষ জয়ী হয়েছে। আমি বলতে চাই, আমরা এমন জয় পেয়েছি যেখানে কেউ হারেনি। সুতরাং আজ তুর্কিরাই জয়ী হয়েছে।
এরদোগান আরও বলেন, জনগণের সমর্থনে আমরা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা সম্পন্ন করেছি। নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের উৎসব উদযাপনের জন্য জনগণের জন্য তুরুস্কের জনগণকের ধন্যবাদ জানাই। আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা আপনাদের আস্থাবান থাকব, ঠিক যেভাবে আমরা ২১ বছর ধরে আস্থাবান আছি।
রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় তুরস্কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ শুরু হয়। এই ভোট গ্রহণ চলে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় জিতে যান এরদোগান। তিনি পেয়েছেন ৫২ দশমিক ১৫ শতাংশ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী কিলিচদারওলু পেয়েছেন ৪৭ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট।
নিয়ম অনুযায়ী, দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে প্রার্থীকে ৫০ শতাংশ ভোট পেতে হয়। ১৪ মে অনুষ্ঠিত প্রথম পর্বের ভোটে এগিয়ে থাকলেও নির্বাচিত হতে পারেননি বর্তমানে ক্ষমতাসীন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। অল্পের জন্য তাঁর ভাগ্য ঝুলে যায়। প্রথম দফার নির্বাচনে তিনি পেয়েছিলেন ৪৯ দশমিক ৫২ শতাংশ ভোট। অন্যদিকে এই নির্বাচনে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কিলিচদারোগলু পেয়েছিলেন ৪৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ ভোট। ফলে দেশটির নিয়ম অনুযায়ী রোববার পুনরায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হলো।তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোটে বিজয়ী হওয়ায় রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা।
এর মধ্যে রয়েছেন কাতারের আমির শেখ হামিম বিন হামাদ আল থানি, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ, ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্ট ভিক্টর অরবান এবং বসনিয়ার প্রেসিডেন্ট বাকের, উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট শাভকাত মিরজিয়াভ।
তবে সবার আগে অভিনন্দনবার্তা পাঠান উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট। অভিনন্দনবার্তায় তিনি বলেন, এ বিজয়ের মাধ্যমে তুরস্কের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণ যে তাদের নেতা এরদোগানের সঙ্গেই আছেন, তা আবারও স্পষ্ট হয়েছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, এরদোয়ানের বিজয় প্রমাণ করে তুর্কি জনগণ তার নিঃস্বার্থ কাজ ও স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতির প্রশংসা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এরদোগানকে তার বিজয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এক টুইটবার্তায় বাইডেন বলেন, দ্বিপক্ষীয় ইস্যু ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলোতে ন্যাটোর মিত্র হিসেবে একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব।
তা ছাড়া অ্যান্টনি ব্লিংকেন তুরস্ককে একটি মূল্যবান ন্যাটো মিত্র ও অংশীদার বলে অভিহিত করেছেন।
জয়ের জন্য এরদোগানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও। দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারত্ব জোরদার হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অভিনন্দন জানিয়ে জার্মান চ্যান্সেলর উল্লেখ করেছেন, উভয় দেশের জনগণ ও অর্থনীতি কতটা গভীরভাবে জড়িত। তা ছাড়া একটি নতুন উদ্দীপনার সঙ্গে সাধারণ এজেন্ডাকে এগিয়ে নেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।
সৌদির বাদশাহ সালমানও এরদোগানকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থাগুলো এ তথ্য জানিয়েছে।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ফ্রান্স ও তুরস্ক এগিয়ে যেতে থাকবে।
অভিনন্দন জানিয়েছেন, ইইউ কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল ও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেইন। দুজনেই তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের ইঙ্গিত দিয়েছেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, ন্যাটো মিত্র হিসেবে নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলাসহ যুক্তরাজ্য ও তুরস্কের মধ্যে শক্তিশালী সহযোগিতা অব্যাহত রাখার জন্য কাজ করবেন।
এ ছাড়া আর্মেনিয়া, সুইডেন, ইসরাইল, ইরান, সুদান, সার্বিয়া, পাকিস্তান, ভেনিজুয়েলা, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপ্রধানরাও এরদোগানকে অভিনন্দন ও সম্পর্ক জোরদারের কথা জানিয়েছেন।