মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০২৩
প্রথম পাতা » পরিবেশ ও জলবায়ু | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » রাষ্ট্রদূতদের বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহারে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না: পররাষ্ট্রসচিব
রাষ্ট্রদূতদের বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহারে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না: পররাষ্ট্রসচিব
বিবিসি২৪নিউজ,কূটনৈতিক প্রতিবেদক,ঢাকা: বাংলাদেশে থাকা কূটনীতিকদের চলাচলের সময়ে পুলিশ এসকর্ট বা বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহারের ফলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। দেশগুলোর অনুরোধের ভিত্তিতে পুলিশের পরিবর্তে আনসার দিয়ে নিরাপত্তা বিকল্প ব্যবস্থা রাখছে সরকার বলেও জানান তিনি। তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানে না আনসার বাহিনী।
মঙ্গলবার বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে কূটনীতিকদের বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহারের বিষয়টি পররাষ্ট্র সচিবের কাছে ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়। এর ফলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে কিনা– উত্তরে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, আমার মনে হয় না। দুই দেশের মধ্যে যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বাস্তব অবস্থার ওপর ভিত্তি করে হয়। আর এটি একটি প্রটোকলসংক্রান্ত বিষয়।
আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়েছে কিনা–এর উত্তরে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর গণসংযোগ কর্মকর্তা ও সহকারী পরিচালক জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো চিঠি পাইনি। তবে সরকার যে নির্দেশনা দেবে, তা যথাযথভাবে পালন করা হবে।
এ বিষয়ে সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রিন্সিপাল উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, মার্কিন দূতাবাস বা তাদের কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার সুনির্দিষ্ট খুঁটিনাটি নিয়ে কিছু বলব না। কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে যে ভিয়েনা সনদ রয়েছে তা অনুযায়ী যেকোনো স্বাগতিক দেশকে অবশ্যই সকল কূটনৈতিক মিশন ও তাদের কর্মকর্তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, একটি দেশ হিসেবে বিভিন্ন দূতাবাস বা রাষ্ট্রদূত যাঁরা আছেন, তাঁদের নিরাপত্তায় আমরা কখনোই আপস করব না। এটুকু আমরা নিশ্চয়তা দিচ্ছি। ভিয়েনা সনদে যে বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়েছে, স্বাগতিক দেশ হিসেবে আমরা অবশ্যই সেগুলোর প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং মেনে চলব।
কূটনীতিকদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা প্রত্যাহারের কারণ হিসেবে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, এখন ঢাকা বা বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত। আমাদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেটি একটি কারণ। দ্বিতীয়ত, আমাদের পুলিশ কম, আরেকটি কারণ হচ্ছে, আমরা বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে বিশেষ আনসার বাহিনী রেখেছি।
কূটনীতিকদের নিরাপত্তা দিতে আনসারকে অর্থ দিতে হবে কিনা– জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, কোনো দেশে বিনামূল্যে দেওয়া হয় না। সামান্য অর্থ পরিশোধের ব্যবস্থা থাকতে পারে।
কূটনীতিকদের গাড়িতে পতাকা উড়ানো বন্ধ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে কোনো আলোচনা হয়নি। নিউইয়র্ক বা জেনেভায় সেখানে কখনোই পতাকা ওড়ানোর কোনো পদ্ধতি নেই।