শনিবার, ৬ মে ২০২৩
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » কানাডায় বন্যা ও দাবানলে হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত
কানাডায় বন্যা ও দাবানলে হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত
বিবিসি২৪নিউজ,দেলোয়ার হোসেন, কানাডা থেকে: পশ্চিম কানাডা এক সপ্তাহ ধরে তীব্র তাপপ্রবাহের সম্মুখীন হচ্ছে। এবার প্রচণ্ড গরমের কারণে ঘর-বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। কারণ কানাডার আলবার্টার কিছু অংশে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে এবং তুষার গলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্যা শুরু হয়েছে। গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (৫ মে) পর্যন্ত ১৩ হাজারেরও বেশি মানুষকে আলবার্টা থেকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ ৭৮টি এলাকায় আগুন জ্বলছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোর মধ্যে রয়েছে উত্তরে লিটল রেড রিভার ক্রি নেশন।
যেখানে ফক্স লেকের ১ হাজার ৮৫৪ হেক্টর এলাকাজুড়ে আগুন জ্বলছে। পুড়ে যায় ২০টি বাড়ি ও থানা। প্রাদেশিক রাজধানী এডমন্টন থেকে ১৪০ কিলোমিটার (৮৭ মাইল) পশ্চিমে অবস্থিত ড্রেটন ভ্যালির প্রায় সাত হাজার মানুষকে বৃহস্পতিবার (৪ মে) রাতে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বছর আলবার্টায় ৩৪৮টি দাবানল হয়েছে এবং ২৫ হাজার হেক্টর (৬২ হাজার একর) এলাকা পুড়ে গেছে। অ্যালবার্টা ওয়াইল্ডফায়ার ইনফরমেশন ইউনিটের ম্যানেজার ক্রিস্টি টাকার বলেন, ‘অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বছরের এই সময়ে বেশি দাবানল হয়েছে। আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। উচ্চ বাতাসের কারণে দাবানল চরম আকার ধারণ করতে পারে। দমকল কর্মীদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’
এদিকে ব্রিটিশ কলম্বিয়ার নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ঘরবাড়ি ভেসে গেছে। বন্যা শুরু হয়েছে। দক্ষিণে ক্যাশে ক্রিক ও গ্র্যান্ড ফোর্কসজুড়ে রাস্তাগুলো প্লাবিত হয়েছিল। গত সপ্তাহ পর্যন্ত পশ্চিম কানাডা বেশ ঠাণ্ডা ছিল এবং বসন্তের মরসুম পুরোদমে চলছিল।
কিন্তু মে মাসের শুরুতে তাপমাত্রা অকালে ১০-১৫ ডিগ্রিতে উঠে যায়, যার ফলে তুষারপাত ও বন্যা দেখা দেয়। তদুপরি, অকাল উচ্চ তাপমাত্রা আগুনের কারণ হয়। কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় সপ্তাহান্তে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রদেশের দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ কলম্বিয়ার নদী পূর্বাভাস কেন্দ্র বৃহস্পতিবার জারি করা বন্যা সতর্কতায় বলেছে, ‘নদীর উচ্চতা শনিবার (৬ মে) থেকে সোমবার (৮ মে) পর্যন্ত সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে।