শুক্রবার, ৫ মে ২০২৩
প্রথম পাতা » আনন্দ-বিনোদন | পরিবেশ ও জলবায়ু | লাইফস্টাইল » সিটাডেল’ প্রিয়াঙ্কা চ্যালেঞ্জ!
সিটাডেল’ প্রিয়াঙ্কা চ্যালেঞ্জ!
বিবিসি২৪নিউজ,বিনোদন ডেস্ক: প্রিয়াঙ্কা চোপড়া সম্প্রতি আলোচনায় এসেছেন তার নতুন সিরিজ সিটাডেল নিয়ে। অ্যামাজন প্রাইমে সম্প্রতি এটি মুক্তি পেয়েছে। সিরিজটি পাশ্চাত্যেও চেয়ে উপমহাদেশীয় দর্শকেরাই বেশি দেখছেন। তাই মনে করা হচ্ছে- সিরিজের পিআর হিসেবেই প্রিয়াঙ্কা চোপড়া নানানভাবে নিজেকে আলোচনায় রাখতে চাইছেন। সম্প্রতি তাই এমনই একটি ইন্টারভিউতে নিজের জীবনের এক ক্রাইসিসের কথা তুলে ধরেন।প্রিয়াঙ্কা বিশ্বসুন্দরীর তকমা জিতেছিলেন ২০০০ সালে। তার বছর তিনেক পরে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। নারীপ্রধান ছবির জোয়ার যখন আসছে বলিউডে, তখন একের পর এক ছবিতে অভিনয়ের জোরে প্রতিষ্ঠা করেছেন নিজেকে। তা সত্ত্বেও নাকি একাধিক বার নিজের গায়ের রঙের জন্য কথা শুনতে হয়েছে প্রিয়াঙ্কাকে। নায়িকাসুলভ না হওয়ার জন্য নানা কথা শুনতে হয়েছে।
তবে শুধু বলিউডে নয়, আমেরিকায় পড়াশোনা করতে গিয়েও গায়ের রং নিয়ে অপদস্থ হন অভিনেত্রী। ভারতে ফিরতেই একেবারে অন্য মূর্তি ধারণ করেন অভিনেত্রীর বাবা অশোক চোপড়া। বাড়ির জানালায় বসান লোহার গ্রিল! এমনকি, ঢিলেঢালা পোশাক পরার নিদানও দিয়েছিলেন অভিনেত্রীর বাবা।
সকলেরই প্রায় জানা, প্রিয়াঙ্কা তার বাবার কতটা ঘনিষ্ঠ ছিলেন। বাবা অশোক চোপড়ার মৃত্যুর পর ‘ড্যাডি’স লিটল গার্ল’ লেখা ট্যাটু করান। যে কোনও সাফল্যে মিস করেন বাবাকে। তবু কিশোরী প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে একেবারে কড়া আচরণ করেন অভিনেত্রীর বাবা।এক সাক্ষাত্কারে এই অভিনেত্রী জানান, একটি ছেলে তাদের বাড়ির বারান্দায় উঠে পড়েছিলেন। তারপর থেকে তার বাবার আতঙ্ক বেড়ে যায়। এই ঘটনার পর তাকে ঢিলে পোশাক পরতে বলা হয়। জিন্স-টপ ছেড়ে চুড়িদার পরতে বলা হয়। স্বাধীন ভাবে চলাফেরার ক্ষেত্রেও ছিল নিষেধ। একা ছাড়া হত না তাকে। সর্বক্ষণ একজন ড্রাইভার থাকতেন তার সঙ্গে। সেই সময় বাবার ব্যবহারে অবাক হয়ে যান অভিনেত্রী।
যদিও পরে বাবার দুশ্চিন্তা বুঝতে পারেন। এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত তারকা প্রিয়াঙ্কা। বলিউড থেকে হলিউডে উড়ান দিচ্ছেন তিনি নিয়মিত। যদিও বিদেশের মাটিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সময় লেগেছিল প্রায় ১০ বছর। তবে হার মানেননি তিনি। বর্তমানে হলিউডের অন্যতম নামকরা ওয়েব সিরিজ সিটাডেল-এর মুখ্য চরিত্রে তিনি।এই সিরিজ নিয়ে প্রিয়াঙ্কা বলেন,‘এখন হলিউডের যে কোনো সিরিজে কাজ করলে তা আর একজন ইন্ডিয়ান কাজ করছে, সেটা ভাবা হয় না। বরং সবার সাথে প্রতিযোগিতা করেই আমার টিকে থাকতে হয়। এটাই আমার চ্যালেঞ্জ ছিল।