সার্বিয়ায় যুবকের গুলিতে নিহত ৮
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডের দক্ষিণের শহর ম্লাদেনোভাকে এক যুবকের এলোপাতাড়ি গুলিতে ৮ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন। চলন্ত গাড়ি থেকে বন্দুকধারী একটি স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে গুলি ছুড়েছে বলে জানা গেছে।বেলগ্রেডের একটি স্কুলে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের গুলিতে ৯ জন নিহত ও ৭ জন আহত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে এ ঘটনা ঘটলো।
সার্বিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রাতিস্লাভ গাসিক সবশেষ গোলাগুলিকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ বলে উল্লেখ করেছেন।
এসব হামলা গত কয়েক বছরের মধ্যে সার্বিয়ায় সংঘটিত সবচেয়ে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড।
শুক্রবার সকালে সার্বিয়ার গণমাধ্যমগুলো জানায়, বৃহস্পতিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় ডুবোনার একটি পার্কে এক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে তর্ক-বিতর্কের পর ২০ বছর বয়সী এক যুবক রাইফেল নিয়ে ফিরে আসে। এরপর সেই অস্ত্র দিয়ে লোকজনকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। পরে তিনি গাড়ি থেকেও লোকজনকে গুলি করে হত্যা করে এবং আরও অনেককে আহত করে চলে যায়। বিশেষ পুলিশ বাহিনী ম্লাদেনোভাক ও ডুবোনা এলাকায় পৌঁছেছে।
ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা যায়, বন্দুকধারীকে সনাক্তের চেষ্টা করার সময় পুলিশ কর্মকর্তারা বিভিন্ন চেকপয়েন্টে গাড়ি থামাচ্ছে। একটি হেলিকপ্টার, ড্রোন এবং একাধিক পুলিশি টহলদল অপরাধীকে খুঁজছে।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড্যানিকা গ্রুজিচিচ এবং সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির প্রধান আলেকজান্ডার ভুলিন শুক্রবার ভোরে ওই এলাকা পরিদর্শন করেন।
এর আগে গত বুধবার বেলগ্রেডে ১৩ বছর বয়সী এক বালক তার স্কুলের ৮ সহপাঠী ও এক নিরাপত্তারক্ষীকে গুলি করে হত্যা করে।
সার্বিয়ায় গণহত্যার ঘটনা তুলনামূলকভাবে বিরল। সেখানে খুব কঠোর বন্দুক আইন রয়েছে। তবে দেশটির সাধারণ মানুষের হাতে বন্দুকের মালিকানা ইউরোপের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০১৯ সালে অনুমান করা হয়েছিল, সার্বিয়ায় প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৩৯ জনেরও বেশি লোকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। এই হার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মন্টিনিগ্রোর পরে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ।