মঙ্গলবার, ৭ মার্চ ২০২৩
প্রথম পাতা » এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » বাংলাদেশ- কাতার সামরিক সমঝোতা চুক্তি সই: নিয়োগ পেলেন সশস্ত্র বাহিনীর ১১২৯ সদস্য
বাংলাদেশ- কাতার সামরিক সমঝোতা চুক্তি সই: নিয়োগ পেলেন সশস্ত্র বাহিনীর ১১২৯ সদস্য
বিবিসি২৪নিউজ,তারেক আহমেদ দোহা (কাতার) থেকে:বাংলাদেশ ও কাতারের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সামরিক সহায়তা সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) কাতারের দোহায় এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। এই চুক্তির ফলে কাতারের সশস্ত্র বাহিনীতে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নিয়োগ করা যাবে। আপাতত ১১২৯টি নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। এটি একটি ওপেন চুক্তি, যে কারণে পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ আর্ম ফোর্সেস যেকোনও সংখ্যক সদস্য নিয়োগ করতে পারবে। আপাতত নিয়োগকৃতদের মধ্যে অফিসারের সংখ্যা কম, সৈনিকের সংখ্যা বেশি।
চুক্তি স্বাক্ষরের পর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার উজ জামান বলেন, ‘কাতারের আর্মড ফোর্স হলো প্রফেশনাল আর্মড ফোর্স। আমি মনে করি আমাদের আর্মড ফোর্সেসের সঙ্গে কাজ করলে তারাও উপকৃত হবে। এর মাধ্যমে দুই দেশের আর্মড ফোর্সেসের মধ্যে সেতুবন্ধন স্থাপিত হবে। পাশাপাশি দুই দেশের জনগণের মধ্যেও সেতুবন্ধন স্থাপিত হবে।
গত বছর ডিফেন্স অ্যাগ্রিমেন্ট হয়েছে, এরই আওতায় এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো জানিয়ে ওয়াকার উজ জামান বলেন, ‘গত অক্টোবরে এমওইউ যেটা স্বাক্ষর হয়েছে, তারই ধারাবাহিকতায় আজ এই অ্যাগ্রিমেন্ট।’ এসময় তিনি চুক্তিটি স্বাক্ষরের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ওয়াকার উজ জামান উল্লেখ করেন, ‘এই চুক্তি এখানেই শেষ না। ভবিষ্যতে আরও লোক নেওয়া সম্ভব হবে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী থেকে। আপাতত ১১২৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে আমাদের দেশে যথেষ্ট রেমিট্যান্স যাবে। আমরা হিসাব করেছি ৩ মিলিয়ন ডলার প্রতিমাসে রেমিট্যান্স যাওয়া সম্ভব হবে। কাতারে আমাদের সৈন্যদের থাকা-খাওয়া সব ফ্রি থাকবে।’
সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন কাতারে নিযুক্ত ডিফেন্স অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার উজ জামান, কাতার সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অফ স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল সালেম হামাদ আকিল আল নাযিত, কাতারে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ।