রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম | সাবলিড » পদ্মা সেতু করে বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছি- বাংলাদেশ পারে-শেখ হাসিনা
পদ্মা সেতু করে বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছি- বাংলাদেশ পারে-শেখ হাসিনা
বিবিসি২৪নিউজ,বিশেষ প্রতিবেদক ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে আমরা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছি, বাংলাদেশ পারে। বিশ্ব ব্যাংক অর্থ প্রত্যাহার করায় বহু হোমরা চোমরারা তখন বলেছিল, পদ্মা সেতু হবে না। আমরা করে দেখিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার কালশী বালুর মাঠে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। ২.৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ মিরপুর-কালশী ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আমার দেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানাই। তারা আমাদের পাশে ছিল বিধায় পদ্মা সেতু করতে পেরেছি।
তিনি বলেন, দেশে বহু উন্নয়ন হচ্ছে। আমরা মেট্রোরেল করেছি। একসঙ্গে ১০০ সেতুর উদ্বোধন করেছি। পাতাল রেল হচ্ছে।
এ অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে উপস্থিত আছেন স্থানীয় সরকার ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা উত্তর সিটি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, চিফ অব আর্মি স্টাফ জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিম।
ইসিবি চত্বর থেকে মিরপুর পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন এবং কালশী সার্কেলের ওপর ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ২৩৩৫ মিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভারটি নির্মিত হয়েছে। এ ড়া এই প্রকল্পের আওতায় ইসিবি স্কোয়ার থেকে কালশী পর্যন্ত ৩.৭০ কিলোমিটার রাস্তা প্রশস্ত করা হয়েছে। একনেক ২০১৮ সালের ৯ জানুয়ারি প্রকল্পটিকে অনুমোদন দেয়।
বিএনসিসি ও বাংলাদেশ আর্মি (২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড) ১ হাজার ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি সম্পন্ন করেছে।
প্রকল্প বিবরণী অনুযায়ী, ফ্লাইওভারটি ইংরেজি ‘ওয়াই’ অক্ষরের মতো। এই প্রকল্পে যাত্রীদের ভ্রমণ সহজ করার লক্ষ্যে আগের চার লেনবিশিষ্ট রাস্তাগুলোকে ছয় লেন করা হয়েছে।
প্রধান চার লেনবিশিষ্ট ফ্লাইওভারটি ইসিবি স্কোয়ার থেকে কালশী ও মিরপুরের ডিওএইচএস হয়ে গেছে। দুই লেনবিশিষ্ট র্যা ম্পটি কালশী মোড় থেকে শুরু হয়ে কালশী সড়কে যাবে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) পাবলিক রিলেশন অফিস জানায়, প্রকল্পটির আওতায় একটি পিসি গ্রিডার ব্রিজ, দুটি ফুলওভার ব্রিজ, একটি পাবলিক টয়লেট, দুটি পুলিশ বক্স, একটি ৭.৪০ কিলোমিটার আরসিসি ড্রেন, একটি ১৭৫৫ মিটার আরসিসি পাইপ ড্রেন, ৩ হাজার ৩৮৩ মিটার যোগাযোগ তার, পৃথক সাইকেল লেন ও ছয়টি বাস বে নির্মাণ করা হয়েছে