রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » বেলুনকাণ্ডে চীনকে সতর্ক করলো যুক্তরাষ্ট্র
বেলুনকাণ্ডে চীনকে সতর্ক করলো যুক্তরাষ্ট্র
বিবিসি২৪নিউজ,ইইউ প্রতিনিধি: রাশিয়াকে সামরিক সহায়তায় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-কে সতর্ক করলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। একই সঙ্গে চীনের একটি ‘গুপ্তচর’ বেলুন যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমা লঙ্গনের জন্য বেইজিংয়ের সমালোচনাও করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) মিউনিখ সম্মেলনের ফাঁকে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র সঙ্গে বিরল সাক্ষাৎ হয় ব্লিংকেনের। বৈঠকে ইউক্রেন-রাশিয়া ইস্যু এবং বেলুনকাণ্ডের বিষয়টি আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে। বৈঠকে অ্যান্টনি ব্লিংকেনকে অনেকটা ক্ষুব্ধ দেখা যায়।
দুই দেশের শীর্ষ কর্মকর্তার এমন সময় মুখোমুখি বৈঠক হলো যখন, যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে চীনের একটি ‘নজরদারি’ বেলুন গুলি করে ভূপাতিত করে মার্কিন সামরিক বাহিনী। এ নিয়ে দুই দেশের সম্পর্কের তিক্ততা আরও বেড়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজের ‘মিট দ্য প্রেস উইভ চক টড’-এ রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন বলেন, ‘চীন রাশিয়াকে প্রাণঘাতী অস্ত্র দেওয়ার বিষয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র। এতে আমাদের সম্পর্কের পরিণতি গুরুতর হবে।’
এ বিষয়ে ওয়াশিংটন আরও বিস্তারিত জানাবে বলেও জানান ব্লিংকেন।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, ‘চীনের পক্ষ থেকে রাশিয়াকে পদ্ধতিগত নিষেধাজ্ঞা ফাঁকি দিয়ে বস্তুগত সহায়তা প্রদান করলে এর প্রভাব এবং পরিণতি সম্পর্কে বেশ স্পষ্টভাবে সতর্ক করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।’
ইউক্রেন রুশ অভিযানের প্রথম থেকেই বেইজিংয়ের ওপর নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের দেশগুলো। পশ্চিমাদের অভিযোগ, এই যুদ্ধে গোপনে মস্কোকে সহায়তা দিচ্ছে চীন। যদিও এ নিয়ে প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগেই সতর্ক করে দিয়েছিলেন, ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়াকে কোনভাবেই সহায়তা না করতে।
বেলুন প্রসঙ্গে টুইট বার্তায় মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আরও জানান, এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে সাক্ষাৎকারে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে সতর্ক করেন ব্লিংকেন।
চলতি মাসের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে একটি চীনের বিশালাকৃতির বেলুন গুলি করে ভূপাতিত করে মার্কিন সামরিক বাহিনী। বাইডেনের নির্দেশে তা ধ্বংস করা হয়। এটিকে গুপ্তচর বা নজরদারি বেলুন হিসেবে দাবি করেছে বাইডেন প্রাশাসন। যদিও চীন বলছে, আবহাওয়া গবেষণা সংক্রান্ত কাজে নিয়োজিত ছিল বেলুনটি। তবে ভুলবশত যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে ঢুকে পড়ে। এ ঘটনায় দুই দেশের কূটনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দেয়।
এনবিসিকে সাক্ষাৎকারে ব্লিংকেন আরও বলেন, ‘বেলুনকাণ্ডে ক্ষমা চাননি ওয়াং। আমি তাকে সহজভাবেই বলেছিলাম, এ ঘটনা একদমই অগ্রহণযোগ্য।’তবে ওয়াশিংটন বেলুন নিয়ে যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে তাতে দুই দেশের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেনকে জানান চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী।