সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | শিরোনাম | সাবলিড » সিরিয়া-তুরস্কে শক্তিশালী ভুমিকম্প, নিহত ২৩০০ ছাড়িয়েছে
সিরিয়া-তুরস্কে শক্তিশালী ভুমিকম্প, নিহত ২৩০০ ছাড়িয়েছে
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের গাজিয়ানতেপে সিরিয়া সীমান্তের কাছে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে এ পর্যন্ত সিরিয়া ও তুরস্ক মিলিয়ে অন্তত ২হাজার ৩ শতাধিক নিহতের খবর পাওয়া গেছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের গাজিয়ানতেপে সিরিয়া সীমান্তের কাছে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের গাজিয়ানতেপে সিরিয়া সীমান্তের কাছে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮ এবং এটি স্থানীয় সময় ভোর সোয়া চারটার দিকে আঘাত হানে। গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে এর গভীরতা ছিল মাত্র ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার।
ভূম্পিকম্পটি রাজধানী আঙ্কারা ও তুরস্কের অন্যান্য শহরেও অনুভূত হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট পুরো অঞ্চলজুড়েই কম্পন অনুভূত হয়েছে। বিভিন্ন প্রতিবেদনে জানানো হচ্ছে, অনেক ভবন ধসে পড়েছে এবং বহু মানুষ ভেতরে আটকা পড়েছে।
তুরস্কের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কমপক্ষে ২৩০০ জন নিহত হয়েছেন কিন্তু মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমন সইলু জানান, ১০টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো হচ্ছে গাজিয়ানতেপ, কাহরামানমারাস, হাতায়, ওসমানিয়ে, আদিয়ামান, মালাতিয়া, সানলিউরফা, আদানা, দিয়ারবাকির ও কিলিস।
প্রতিবেশি দেশ সিরিয়া, লেবানন ও সাইপ্রাসেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। লেবাননের রাজধানী বৈরুতের শিক্ষারী মোহামাদ এর ছামা বলেন, ‘আমি কিছু একটা লিখছিলাম এবং হঠাৎ করেই পুরো ভবন কাঁপতে শুরু করে। আমি বুঝতে পারছিলাম না যে কী হচ্ছে। আমি জানালার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম এবং আমার ভয় হচ্ছিলো যে সেগুলো ভেঙে পড়বে। প্রায় ৪-৫ মিনিট ধরে এটা চলে এবং পুরো বিষয়টি ভয়ংকর ছিল। এটা অভূতপূর্ব ছিল।’
তুরস্কের স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩০০ জনে দাঁড়িয়েছে। আহতের সংখ্যা কয়েক হাজার ।
দিয়ারবাকিরে থাকা বিবিসির তুরস্ক প্রতিনিধি জানান, শহরটির একটি শপিংমল ধসে পড়েছে। গাজা উপত্যকায় থাকা বিবিসির প্রযোজক রুশদি আবুয়ালুফ জানান, তিনি যে বাড়িতে থাকেন সেখানে প্রায় ৪৫ সেকেন্ড ধরে কম্পন অনুভূত হয়েছে।
স্থানীয় সিসমোলজিস্টরা ভূমিকম্পটির মাত্রা ৭ দশমিক ৪ ছিল বলে জানাচ্ছেন। তারা বলছেন, ভূমিকম্পটি আঘাত হানার কয়েক মিনিট পরেই দ্বিতীয় আরেকটি কম্পন অনুভূত হয়।
তুরস্ক পৃথিবীর অন্যতম সক্রিয় ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চলগুলোর একটিতে অবস্থিত। এর আগে ১৯৯৯ সালে দেশটির উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১৭ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিলেন।