শিরোনাম:
●   বাংলাদেশের দাবিতে ক্ষমা ও ক্ষতিপূরণের উল্লেখ নেই: পাকিস্তানের ভাষ্যে ●   চীনের শুল্ক নিয়ে আলোচনা বসতে নমনীয় ট্রাম্প ●   বেইজিং- ওয়াশিংটন বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু, এলএনজি কেনা বন্ধ করেছে চীন: রিপোর্ট ●   ধীরে ধীরে বাড়ছে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল ●   পাকিস্তান ১৯৭১ সালের গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাওয়ার এখনই উপযুক্ত সময় ●   বাংলাদেশের কিছু ঘটনার কারণে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ: ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ●   ভারতের মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করার আহ্বান বাংলাদেশের ●   পাকিস্তানের কাছে ক্ষমা চাওয়াসহ তিন বিষয়ে সুরাহা চেয়েছে বাংলাদেশ ●   বাংলাদেশ সরকারের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানাল যুক্তরাষ্ট্র ●   বাংলাদেশ-পাকিস্তান পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক কতটুকু সফল হবে!
ঢাকা, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

BBC24 News
শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » বাংলাদেশে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আলোচনায় শীর্ষে যারা
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » বাংলাদেশে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আলোচনায় শীর্ষে যারা
৩৯৯ বার পঠিত
শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বাংলাদেশে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আলোচনায় শীর্ষে যারা

---বিবিসি২৪নিউজ,অনুক সায়েদিঃ বাংলাদেশে পরবর্তী রাষ্ট্রপতি কে হচ্ছেন, এ নিয়ে নানা আলোচনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। আওয়ামী লীগের মনোনয়নের দিকে সবার নজর।ফেব্রুয়ারির মধ্যেই দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করতে হবে। সংসদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় রাষ্ট্রপতি হবেন আওয়ামী লীগের—এটা নিশ্চিত। ফলে রাষ্ট্রপতি পদে কে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাচ্ছেন, সেটাই আলোচনার মূল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থায় দলের ভেতরের খবর হচ্ছে—কয়েক মাস ধরে ডজনের বেশি ব্যক্তির নাম আলোচনায় ছিল। এখন তালিকা সংক্ষিপ্ত হয়ে চার–পাঁচজনে নেমে এসেছে। এর মধ্যে শীর্ষে আছে মসিউর রহমান, শিরীন শারমিন চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আনিসুল হক ও বিচারপতি খায়রুল হকের নাম।

সংসদীয় গণতন্ত্রের যুগে ১৯৯১ সালের পর আর কখনো রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটের প্রয়োজন হয়নি। বরাবরই ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হয়ে আসছেন। এখন নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরে সংসদে প্রতিনিধিত্বশীল অন্যান্য দল থেকে রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী দেওয়ার কোনো আলোচনা নেই। ফলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মানেই নিশ্চিত রাষ্ট্রপতি।আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সূত্র বলছে, যেসব নাম নিয়ে দলে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চলছে, সেগুলো খসড়া বলা চলে। চূড়ান্ত একজনকে বাছাই করবেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি এখনো নিজের পছন্দের কথা প্রকাশ করেননি।

তবে দলের নেতাদের কেউ বলছেন, সক্রিয় ও পরীক্ষিত রাজনীতিক এবার রাষ্ট্রপতি হবেন। কারও মতে, উপদেষ্টা পরিষদ থেকে হচ্ছেন রাষ্ট্রপতি। কেউ কেউ মনে করেন, এবার একজন নারীকে রাষ্ট্রপতি করা হতে পারে।

জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসনসহ মোট আসন ৩৫০টি। আওয়ামী লীগের মোট আসন ৩০২টি, জাতীয় পার্টির ২৬টি, ওয়ার্কার্স পার্টির ৪টি, জাসদের ২টি, গণফোরামের ২টি, বিকল্পধারার ২টি, তরিকত ফেডারেশনের ১টি ও জেপির ১টি আসন রয়েছে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রয়েছেন তিনজন। বিএনপির সাতজন সংসদ সদস্য পদত্যাগ করায় এখন সংসদে দলটির কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, তাঁরা রাষ্ট্রপতি পদে কোনো প্রার্থী দেবেন না। ফলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীর দিকেই সবার নজর।
রাষ্ট্রপতির নির্বাচন যেভাবে

রাষ্ট্রপতি হওয়ার সর্বনিম্ন বয়স ৩৫ বছর, সর্বোচ্চ সীমা উল্লেখ নেই। রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন সংসদ সদস্যদের ভোটে। তবে তাঁর সংসদ সদস্য হওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। তফসিল ঘোষণার আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অবশ্য জাতীয় সংসদের স্পিকারের সঙ্গে আলোচনা করে থাকেন।

১৯৯১ সালের রাষ্ট্রপতি আইন অনুসারে, ইসি ভোটার তালিকা প্রণয়ন করবে এবং যাচাই-বাছাই করবে মনোনয়নপত্র। প্রার্থী একজন হলে এবং যাচাইয়ে তার মনোনয়নপত্র বৈধ বিবেচিত হলে তাঁকে নির্বাচিত ঘোষণা করবে ইসি। একাধিক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হলে ভোট হবে। সর্বাধিক ভোটপ্রাপ্তকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে। আর সমান ভোট পেলে প্রার্থীদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে ফল নির্ধারণ করা হবে।

রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা

সংবিধানে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের অন্য সব ব্যক্তির ঊর্ধ্বে স্থান লাভ করবেন। সংবিধান ও অন্য কোনো আইনের দ্বারা তাঁকে দেওয়া ও অর্পিত সব ক্ষমতা প্রয়োগ ও কর্তব্য পালন করবেন। এ ছাড়া রাষ্ট্রীয় ও পররাষ্ট্রনীতি–সংক্রান্ত বিষয় রাষ্ট্রপতিকে অবহিত রাখবেন প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রপতি অনুরোধ করলে যেকোনো বিষয় মন্ত্রিসভায় বিবেচনার জন্য পেশ করবেন প্রধানমন্ত্রী।

এই থেকে মনে হতে পারে, রাষ্ট্রপতি অগাধ নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী। কিন্তু আদতে তা নয়। সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের (৩) দফায় বলা হয়েছে, শুধু প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির কারও পরামর্শ নেওয়ার দরকার নেই। বাকি সব দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করবেন।

এর সঙ্গে সংবিধান শর্তও জুড়ে দিয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে আদৌ কোনো পরামর্শ দিয়েছেন কি না কিংবা পরামর্শ দিয়ে থাকলে সেটা কোনো আদালত প্রশ্ন তুলতে পারবেন না।

পদটি আলংকারিক হলেও একজন রাষ্ট্রপতিকে অপসারণে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোট লাগবে। ভোটের আগে আলোচনা করে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের একমত হতে হবে যে রাষ্ট্রপতি আইন ভেঙেছেন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে বিএনপি অপসারণের উদ্যোগ নিলে তিনি নিজেই পদত্যাগ করেন। বর্তমানে সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। ফলে চাইলে যে কাউকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কিংবা অপসারণ ক্ষমতাসীন দলটির জন্য কঠিন কিছু নয়।



আর্কাইভ

বেইজিং- ওয়াশিংটন বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু, এলএনজি কেনা বন্ধ করেছে চীন: রিপোর্ট
ধীরে ধীরে বাড়ছে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
পাকিস্তানের কাছে ক্ষমা চাওয়াসহ তিন বিষয়ে সুরাহা চেয়েছে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ সরকারের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানাল যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশ-পাকিস্তান পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক কতটুকু সফল হবে!
সেভেন সিস্টার্স নিয়ে যে পদক্ষেপ নিল ভারত
বিশ্বে বায়ুদূষণে আজ শীর্ষে ঢাকা
গাজায় কোনো মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে দিচ্ছে না: ইসরাইল
প্রশাসন বিএনপির পক্ষে, এদের অধীন নির্বাচন করা সম্ভব নয়: নাহিদ
ইইউর ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ