রবিবার, ১ জানুয়ারী ২০২৩
প্রথম পাতা » পরিবেশ ও জলবায়ু | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড | স্বাস্থ্যকথা » চীন থেকে আগত বাংলাদেশে করোনার নতুন ধরণ বিএফ-৭ শনাক্ত
চীন থেকে আগত বাংলাদেশে করোনার নতুন ধরণ বিএফ-৭ শনাক্ত
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকাঃ সম্প্রতি চীন থেকে বাংলাদেশে আগত একজনের শরীরে করোনাভাইরাসের নতুন ধরণ বিএফ-৭ শনাক্ত হয়েছে। রোগতত্ত্ব রোগ-নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট- আইইডিসিআর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আইইডিসিআর এর পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরিন বিবিসিকে বলেছেন, আক্রান্ত ব্যক্তির শারীরিক পরিস্থিতি ভালো আছে।
সম্প্রতি করোনাভাইরাসের নতুন এই ধরণ চীনে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে বলে দেশটির সরকারি তথ্যে জানা যাচ্ছে।
সম্প্রতি ভারতেও কয়েকজনের শরীরে নতুন এই ধরণ শনাক্ত হয়।
নতুন করে কয়েকটি দেশে কোভিড সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ার পর ২৫শে ডিসেম্বর বাংলাদেশেন সরকার সব বিমান, স্থল ও সমুদ্রবন্দরে স্ক্রিনিং বাড়ানোর নির্দেশ দেয়।
বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের সব বন্দরে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে পরীক্ষা করে কারো শারীরিক উপসর্গ থাকলে তাকে আইসোলেশনে নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়।
সে সময় আক্রান্ত ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করে জেনোমিক সিকোয়েন্সিং করে কারো বিএফ–৭ করোনাভাইরাস রয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করতে আইইডিসিআর-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
সাথে হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
এরপর গত ২৬শে ডিসেম্বর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চীন থেকে আসা চারজন যাত্রীর অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হলে, তাদের রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
তখন তাদের মহাখালী ডিএনসিসি হাসপাতালে আইসোলেশনে পাঠানো হয়।তাদের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্স করে একজনের শরীরে নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট পাওয়ার খবর আজ জানালো আইইডিসিআর।নতুন ধরণটির বৈশিষ্ট্য
করোনাভাইরাসের নতুন এই ধরণটির মূল বৈশিষ্ট হল এটি অমিক্রনের চাইতে চার গুণ বেশি সংক্রামক।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আহমেদুল কবির বলেছেন, নতুন ভ্যারিয়ান্ট অল্প সময়ে খুব দ্রুত ছড়ায়।
তবে এর লক্ষণগুলো আগের ধরণগুলোর মতোই।
এমন অবস্থায় নতুন এই ধরণ থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যবিধি মানার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
সেইসাথে যারা করোনা ভাইরাসের টিকা গ্রহণ করেননি কিংবা দুই ডোজ সম্পন্ন করেননি তাদের নতুন এই ধরণে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি বলে জানানো হয়েছে।
এমন অবস্থায় তৃতীয় ডোজ এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে চতুর্থ ডোজ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মি. কবির।
এখানে তিনি ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী বলতে, যাদের বয়স ৬০ বছরের উপরে, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রোগে ভুগছেন অর্থাৎ কোমোর্বিডিটি আছে, তাদের কথা বলা হয়েছে।
চীনা ভ্রমণকারীদের জন্য অনেক দেশে বিধিনিষেধ
চীনে কোভিড সংক্রমণ বাড়তে থাকার ফলে আবার নতুন করে বিশ্বে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে - এ আশংকায় বিভিন্ন দেশ চীন থেকে আসা ভ্রমণকারীদের জন্য টেস্টিংএর নিয়ম চালু করেছে।
এসব দেশের মধ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, ইতালি, জাপান এবং তাইওয়ান।
সবশেষ ইংল্যান্ডের মন্ত্রীরাও নিশ্চিত করেছেন যে চীন থেকে যে যাত্রীরা আসবেন তাদেরকে বিমানে ওঠার আগেই একটি কোভিড নেগেটিভ টেস্টের প্রমাণ দেখাতে হবে।
চীনে যেসব কঠোর কোভিড বিধিনিষেধ ছিল তার অনেকগুলোই গত কয়েক সপ্তাহে তুলে নেয়া হয়েছে।
কিন্তু দেশটিতে এখন কেসের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়ে যাবার পর থেকেই বেশ কিছু দেশ চীন থেকে আসা ভ্রমণকারীদের স্ক্রিনিং করতে শুরু করেছে।