শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩১

BBC24 News
সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | আর্ন্তজাতিক | এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » চীনের ঋণের প্রতিশ্রুতি আর অর্থ ছাড়ের মধ্যে বিশাল ফারাক
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | আর্ন্তজাতিক | এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » চীনের ঋণের প্রতিশ্রুতি আর অর্থ ছাড়ের মধ্যে বিশাল ফারাক
৪৩৪ বার পঠিত
সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

চীনের ঋণের প্রতিশ্রুতি আর অর্থ ছাড়ের মধ্যে বিশাল ফারাক

---বিবিসি২৪নিউজ,অর্থনৈতিক প্রতিবেদকঃ ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ককে বিশেষ উচ্চতায় নিতে ছয় বছর আগে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বাংলাদেশে এসেছিলেন। ঐতিহাসিক ওই সফরে পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ, কর্ণফুলী নদীর নিচে টানেল নির্মাণ, যোগাযোগ অবকাঠামো, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তিসহ নানা অবকাঠামো নির্মাণসংক্রান্ত ২৭টি প্রকল্পে চীন ২ হাজার ৪০০ কোটি ডলার বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।

তবে চীনের প্রেসিডেন্টের সফরের পর পেরিয়ে গেছে ছয় বছর। চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত চীনের প্রকল্পগুলোর মধ্যে আটটি প্রকল্পের ঋণচুক্তি সই হয়েছে। এসব প্রকল্পের ব্যয় ৭৮০ কোটি ডলার হলেও এ পর্যন্ত ছাড় হয়েছে ৩৩০ কোটি ডলার। অর্থাৎ চীন প্রতিশ্রুত অর্থের মাত্র ১৪ শতাংশ ছাড় দিয়েছে। আর ২৭ প্রকল্পের মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ প্রকল্পের কাজ এগিয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলেন, সম্প্রতি চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর সঙ্গে বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন প্রকল্প বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার ওপর জোর দেন। সংক্ষিপ্ত সফরে গত আগস্টে ওয়াং ই আগস্টে ঢাকায় এসেছিলেন।

সারা বিশ্বে চীন আর্থিক সহায়তার যে প্রতিশ্রুতি দেয়, তা তাদের মোট দেশজ উৎপাদনকে (জিডিপি) ছাড়িয়ে যায়। অর্থাৎ তাদের প্রতিশ্রুতি আর অর্থ ছাড়ের মধ্যে ফারাকটা বিপুল। ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলে তাদের দেশের প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদার পাঠায় না। এখানকার প্রকল্পগুলোর সঙ্গে রাজনীতি ও দুর্নীতির যোগসাজশ থাকে।
বিশ্বব্যাংক, এডিবিসহ বহুপক্ষীয় ঋণদানকারী সংস্থা এবং ইউরোপীয় দেশ থেকে ঋণ নিলে সাধারণত ৩২ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হয়। চীনের ক্ষেত্রে এই ঋণ ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হয়। এখানে বলে রাখা ভালো, ঋণের সুদের হার উভয় ক্ষেত্রে প্রায় কাছাকাছি হলেও ঋণ পরিশোধের সময় চীনের চেয়ে অনেক কম। এতে করে চীনের ঋণের বিপরীতে সুদাসল পরিশোধে বার্ষিক কিস্তির পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে অর্থনীতির ওপর বড় চাপ তৈরি হয়। বিদেশি ঋণ ব্যবস্থাপনার খরচ তুলনামূলক বেড়ে যায়।

বড় অবকাঠামোবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও সাবেক সচিব এম ফাওজুল কবির খান বলেন, সারা বিশ্বে চীন আর্থিক সহায়তার যে প্রতিশ্রুতি দেয়, তা তাদের মোট দেশজ উৎপাদনকে (জিডিপি) ছাড়িয়ে যায়। অর্থাৎ তাদের প্রতিশ্রুতি আর অর্থ ছাড়ের মধ্যে ফারাকটা বিপুল। ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলে তাদের দেশের প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদার পাঠায় না। এখানকার প্রকল্পগুলোর সঙ্গে রাজনীতি ও দুর্নীতির যোগসাজশ থাকে। শুরুতে তারা কম খরচে উন্নয়ন বাজেটের আওতায় প্রকল্পগুলোর কাজ নেয়। পরে প্রকল্প সংশোধন করে সময় ও খরচ—দুটিই তারা বাড়িয়ে নেয়।



আর্কাইভ

ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক স্বাভাবিক দিকে অগ্রসর হচ্ছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
নতুন আইজিপি বাহারুল ও ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত
পারমাণবিক আশ্রয়কেন্দ্র বানাচ্ছে রাশিয়া!
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ
ইলন মাস্কের রকেট উৎক্ষেপণ দেখতে হাজির ট্রাম্প
লেবাননে নিহত দুই শতাধিক শিশু: ইউনিসেফ
মার্তিনেজের ধাঁধানো গোলে জিতল আর্জেন্টিনা
পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের পরিধি বাড়ালেন পুতিন
বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ সফল হয়নি: হাসনাত
যুক্তরাষ্ট্র-ফিলিপাইন সামরিক গোয়েন্দা তথ্য চুক্তি স্বাক্ষর