শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » জ্বালানি ও খাদ্যনিরাপত্তায় বাংলাদেশের সঙ্গে জিসিসির সমঝোতা সই
জ্বালানি ও খাদ্যনিরাপত্তায় বাংলাদেশের সঙ্গে জিসিসির সমঝোতা সই
বিবিসি২৪নিউজ,কূটনীতিক প্রতিবেদক ঢাকাঃ দেশে জ্বালানি ও খাদ্যনিরাপত্তা জোরদারে উপসাগরীয় দেশগুলোর সহযোগিতা সংস্থার (জিসিসি) সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। তেলসমৃদ্ধ ছয় আরব দেশের এ জোটের সঙ্গে অংশীদারত্ব সংলাপে বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তায় নতুন দুয়ার উন্মুক্ত হয়েছে।
শুক্রবার বাহরাইনের রাজধানী মানামায় অনুষ্ঠিত মানামা সংলাপের ফাঁকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও জিসিসির মহাসচিব ড. নায়েফ ফালাহ এম আল-হাজরাফ এ সমঝোতা স্মারকে সই করেন। রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
রিয়াদভিত্তিক জিসিসি জোটের সদস্য দেশগুলো হলো, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, কাতার, বাহরাইন ও ওমান।
এদিকে সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস, বাহরাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম ও বাংলাদেশ এবং জিসিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, সমঝোতা স্মারক সইয়ের আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জিসিসির মহাসচিবের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে জিসিসি মহাসচিবকে বাংলাদেশে সফর করার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পরে জিসিসি মহাসচিব আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।
এসময় জিসিসি মহাসচিব বলেন, সমঝোতা স্মারকটি দুপক্ষের মধ্যে সহযোগিতার আইনি কাঠামো হিসেবে কাজ করবে। যৌথ কর্মপরিকল্পনা, জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ ও কারিগরি দল এবং যৌথ বাণিজ্য পরিষদ গঠনে সুযোগ তৈরি হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জ্বালানিনিরাপত্তা, খাদ্যনিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন ও তথ্যপ্রযুক্তি সহযোগিতায় বাংলাদেশ ও জিসিসির একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এ সমঝোতা সইয়ের মধ্য দিয়ে সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচিত হলো।
এছাড়া মানি লন্ডারিং ও অবৈধ পথে অর্থ প্রেরণ বন্ধ করার বিষয়ে জিসিসির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আব্দুল মোমেন বলেন, খাদ্যনিরাপত্তা জোরদারে অর্থনীতি কৃষিভিত্তিক ও খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ জিসিসির সঙ্গে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করতে ইচ্ছুক। এছাড়া বাংলাদেশ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তৈরি পোশাক, পাট, চামড়াজাত পণ্য, চা ও ওষুধ, চাল, সবজি, মাছ রপ্তানি করে। বাংলাদেশ জিসিসি দেশগুলোতেও অনেক পণ্য রপ্তানি করছে। এখন জিসিসির বাজারে পণ্য রপ্তানি আরো বৃদ্ধির সুযোগ হয়েছে।
বৈঠকে বাংলাদেশের আশ্রয়ে থাকা মিয়ানমারের প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিকের প্রত্যাবর্তনে জিসিসির সহযোগিতা চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।