শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩১

BBC24 News
বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » সম্পাদকীয় » ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা জরুরি
প্রথম পাতা » সম্পাদকীয় » ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা জরুরি
৬২৩ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা জরুরি

---বিবিসি২৪নিউজ, সম্পাদকীয়ঃ ড.আরিফুর রহমানঃ বিশেষ ছাড় দেওয়ার পরও ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ লাগামহীন থাকার বিষয়টি উদ্বেগজনক। উল্লেখ্য, করোনা ও বৈশ্বিক মন্দার নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় ব্যাংক ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারপরও চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খেলাপি ঋণ ১ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেল কেন-এ প্রশ্নের সদুত্তর খোঁজা জরুরি। সংকট মোকাবিলায় আইএমএফের কাছে সরকারের ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় খেলাপি ঋণের নীতিতে পরিবর্তন আনার তাগিদ দিয়েছে আইএমএফ।

অন্যদিকে বিশ্বব্যাংকের এশিয়াবিষয়ক এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের ব্যাংক খাত নিয়ে একই ধরনের মন্তব্য করে বলা হয়েছিল, ব্যাংকের ঋণ পরিশোধে গ্রাহককে অব্যাহতভাবে ছাড় দেওয়া হলে ব্যাংকের সম্পদ বা ঋণের মান কমে যাবে। উপরন্তু গ্রাহকরা ঋণ পরিশোধে অনাগ্রহী হয়ে উঠবেন। এর ফলে কোনো কোনো ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা অতিমাত্রায় দুর্বল হয়ে যেতে পারে। এতে আর্থিক খাতে সম্পদের মানে বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে, যা এ খাতকে বড় ধরনের দুর্বলতার দিকে নিয়ে যাবে।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুয়ায়ী, কোনো ব্যাংক ঋণের কিস্তি পরিশোধের শেষদিন থেকে তিন মাস অতিক্রম হলেই তাকে খেলাপি হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। তবে বাংলাদেশে ব্যাংক ঋণের কিস্তি পরিশোধের সময়সীমা ছয় মাস করা হয়েছে। করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সাল থেকেই মূলত ঋণ পরিশোধে ছাড় দেওয়া হচ্ছে, যা ২০২১ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এরপর ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে বৈশ্বিক মন্দা প্রকট হওয়ার প্রেক্ষাপটে উদ্যোক্তাদের দাবির মুখে ঋণ পরিশোধে বিভিন্ন খাতে ছাড় দেওয়া হয়েছে, যা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে। এ প্রেক্ষাপটে প্রায় তিন বছর ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের কাছ থেকে ঋণ আদায় করতে পারছে না। বলার অপেক্ষা রাখে না, গ্রাহকদের মধ্যে ঋণ পরিশোধের চাপ না থাকায় স্বাভাবিকভাবেই এক্ষেত্রে তারা শিথিলতা দেখাতে পারেন, যা পরবর্তী সময়ে ঋণ পরিশোধে গ্রাহকদের সক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। এ অবস্থায় ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের লাগাম টেনে ধরতে সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি হয়ে পড়েছে।

ইতঃপূর্বে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ১১ দশমিক ৪ শতাংশ খেলাপি ঋণ নিয়ে এক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, গত ১০ বছরে দেশে খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় সাড়ে চারগুণ। খেলাপি ঋণ না কমে বরং দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম কারণ হলো, ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া। এছাড়া ব্যাংকগুলোর শীর্ষ পর্যায়ে থাকা লোকজনের দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণেও ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ, অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম-জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের ঘটনা দিন দিন বাড়ছে, যা কঠোরভাবে রোধ করা প্রয়োজন। বস্তুত ঋণখেলাপিদের আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধতে ব্যাংক কোম্পানি আইন কঠোর করার পাশাপাশি এটি বাস্তবায়নে সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। খেলাপি ঋণমুক্ত দেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি সামনে রেখে সরকার এ ব্যাপারে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে, এটাই প্রত্যাশা।



আর্কাইভ

ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক স্বাভাবিক দিকে অগ্রসর হচ্ছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
নতুন আইজিপি বাহারুল ও ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত
পারমাণবিক আশ্রয়কেন্দ্র বানাচ্ছে রাশিয়া!
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ
ইলন মাস্কের রকেট উৎক্ষেপণ দেখতে হাজির ট্রাম্প
লেবাননে নিহত দুই শতাধিক শিশু: ইউনিসেফ
মার্তিনেজের ধাঁধানো গোলে জিতল আর্জেন্টিনা
পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের পরিধি বাড়ালেন পুতিন
বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ সফল হয়নি: হাসনাত
যুক্তরাষ্ট্র-ফিলিপাইন সামরিক গোয়েন্দা তথ্য চুক্তি স্বাক্ষর